বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে হাজারও তরুণ ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের খবরেও তিনি উদ্বিগ্ন।
সোমবার নিউ ইয়র্কে এক ব্রিফিংয়ে মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এসব কথা বলেন।
মহাসচিবের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে ডুজারিক বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের খবরে তিনি উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মহাসচিব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আজকে (সোমবার) ছাত্র বিক্ষোভ পুনরায় শুরুর খবর তিনি জেনেছেন এবং শান্ত ও নিবৃত্ত থাকার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বর্তমান ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হাজার তরুণ ও রাজনৈতিক বিরোধীকে গণগ্রেপ্তারের খবরেও মহাসচিব উদ্বিগ্ন। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ, মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের গুরুত্বের বিষয় তিনি তুলে ধরেছেন।
সব ধরনের সহিংসতার ঘটনার ‘দ্রুত, স্বচ্ছ ও পক্ষপাতহীন’ তদন্ত এবং দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র ডুজারিক বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতির বিষয়ে রাজধানী ঢাকায় এবং নিউ ইয়র্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে যাচ্ছি। আমরা আশা রাখছি, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে প্রধান সৈন্য প্রেরণকারী দেশ হিসাবে বাংলাদেশ মানবাধিকারকে সম্মান ও রক্ষা করবে।’
জাতিসংঘের মুখপাত্র জানান, বিক্ষোভ দমনে ‘ইউএন’ লেখা বাহন আর ব্যবহার হচ্ছে না বলে বাংলাদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের লোগো-সংবলিত বাহন যে কেবল শান্তিরক্ষী মিশনে ব্যবহার হতে পারে, সে বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষতির বিষয়ে জাতিসংঘ কোনো সহায়তা করবে কি-না, এমন প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, সংকটের সময় সংলাপের ক্ষেত্রে যে কোনো দেশকে সহযোগিতা দিতে আমরা সবসময় প্রস্তুত। পৃথিবীর কোথাও বিক্ষোভের সময় দুঃখজনকভাবে মৃত্যু বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের কোনো স্কিম জাতিসংঘের নাই।
সহিংসতার ঘটনার তদন্তে হস্তক্ষেপের বিষয়ে এক প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, ম্যান্ডেটের আলোকে সহায়তা দিতে প্রস্তত আছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে হাজারও তরুণ ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের খবরেও তিনি উদ্বিগ্ন।
সোমবার নিউ ইয়র্কে এক ব্রিফিংয়ে মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এসব কথা বলেন।
মহাসচিবের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে ডুজারিক বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের খবরে তিনি উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মহাসচিব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আজকে (সোমবার) ছাত্র বিক্ষোভ পুনরায় শুরুর খবর তিনি জেনেছেন এবং শান্ত ও নিবৃত্ত থাকার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বর্তমান ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হাজার তরুণ ও রাজনৈতিক বিরোধীকে গণগ্রেপ্তারের খবরেও মহাসচিব উদ্বিগ্ন। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ, মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের গুরুত্বের বিষয় তিনি তুলে ধরেছেন।
সব ধরনের সহিংসতার ঘটনার ‘দ্রুত, স্বচ্ছ ও পক্ষপাতহীন’ তদন্ত এবং দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র ডুজারিক বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতির বিষয়ে রাজধানী ঢাকায় এবং নিউ ইয়র্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে যাচ্ছি। আমরা আশা রাখছি, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে প্রধান সৈন্য প্রেরণকারী দেশ হিসাবে বাংলাদেশ মানবাধিকারকে সম্মান ও রক্ষা করবে।’
জাতিসংঘের মুখপাত্র জানান, বিক্ষোভ দমনে ‘ইউএন’ লেখা বাহন আর ব্যবহার হচ্ছে না বলে বাংলাদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের লোগো-সংবলিত বাহন যে কেবল শান্তিরক্ষী মিশনে ব্যবহার হতে পারে, সে বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষতির বিষয়ে জাতিসংঘ কোনো সহায়তা করবে কি-না, এমন প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, সংকটের সময় সংলাপের ক্ষেত্রে যে কোনো দেশকে সহযোগিতা দিতে আমরা সবসময় প্রস্তুত। পৃথিবীর কোথাও বিক্ষোভের সময় দুঃখজনকভাবে মৃত্যু বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের কোনো স্কিম জাতিসংঘের নাই।
সহিংসতার ঘটনার তদন্তে হস্তক্ষেপের বিষয়ে এক প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, ম্যান্ডেটের আলোকে সহায়তা দিতে প্রস্তত আছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।