জাপান সাগরে উদ্ভূত ঘূর্ণিঝড় শানশান প্রবল বিধ্বংসী শক্তি নিয়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে আছড়ে পড়েছে। এতে এখন পর্যন্ত তিন জন নিহত এবং ৩৯ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ কিউশু’র কাগোশিমা শহরের উপকূলে আছড়ে পড়ে শানশান। তার আগে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপক বর্ষণ হয়েছে কিউশু এবং তার আশপাশের অঞ্চলে। জাপানের আবহাওয়া দপ্তরের (জেএমএ) রেকর্ড বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কিউশু ও তার আশপাশের এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৬০০ মিলিমিটার।
কিউশু দ্বীপের বিভিন্ন গ্রাম-শহরে বাসবাস করেন অন্তত ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষ। ঝড়-বৃষ্টির কারণে বর্তমানে দ্বীপটির প্রায় ২ লাখ ৫৫ হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের সংবাদমাধ্যম এনএইচকে।
আবহাওয়াগত কারণে ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের যাবতীয় ফ্লাইট বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বেশকিছু উচ্চগতির ট্রেনের চলাচলও স্থগিত করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে কাগোশিমা ও পার্শ্ববর্তী মিয়াজাকি শহরে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে এনএইচকে।
গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের আবহাওয়া দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা সাতাশি সুগিমোতো জানিয়েছিলেন, দেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এই শানশান। স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার পর এই ঝড়ের প্রভাবে উপদ্রুত এলাকায় বাতাসের গতিবেগ উঠতে পারে ঘণ্টায় ২৫২ কিলোমিটার পর্যন্ত।
“তীব্র বাতাস, প্রবল বর্ষণ এবং সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস নিয়ে আসছে শানশান। স্থানীয় প্রশাসনের উচিত হবে এই ঝড় মোকাবিলার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা ও প্রস্তুতি রাখা। নিকট অতীতে দেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে এত বড় ঘূর্নিঝড় দেখা যায়নি,” সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন সুগিমোতো।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, কিউশুর উপকূলে আছড়ে পড়ার পরও শান্ত হবে না শানশান; বরং কিউশুতে তাণ্ডব চালানোর পর ক্রমশ দেশের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের দিকে এগোতে থাকবে ঘূর্ণিঝড়টি।
সূত্র : বিবিসি
বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০২৪
জাপান সাগরে উদ্ভূত ঘূর্ণিঝড় শানশান প্রবল বিধ্বংসী শক্তি নিয়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে আছড়ে পড়েছে। এতে এখন পর্যন্ত তিন জন নিহত এবং ৩৯ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ কিউশু’র কাগোশিমা শহরের উপকূলে আছড়ে পড়ে শানশান। তার আগে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপক বর্ষণ হয়েছে কিউশু এবং তার আশপাশের অঞ্চলে। জাপানের আবহাওয়া দপ্তরের (জেএমএ) রেকর্ড বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কিউশু ও তার আশপাশের এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৬০০ মিলিমিটার।
কিউশু দ্বীপের বিভিন্ন গ্রাম-শহরে বাসবাস করেন অন্তত ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষ। ঝড়-বৃষ্টির কারণে বর্তমানে দ্বীপটির প্রায় ২ লাখ ৫৫ হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের সংবাদমাধ্যম এনএইচকে।
আবহাওয়াগত কারণে ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের যাবতীয় ফ্লাইট বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বেশকিছু উচ্চগতির ট্রেনের চলাচলও স্থগিত করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে কাগোশিমা ও পার্শ্ববর্তী মিয়াজাকি শহরে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে এনএইচকে।
গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের আবহাওয়া দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা সাতাশি সুগিমোতো জানিয়েছিলেন, দেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এই শানশান। স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার পর এই ঝড়ের প্রভাবে উপদ্রুত এলাকায় বাতাসের গতিবেগ উঠতে পারে ঘণ্টায় ২৫২ কিলোমিটার পর্যন্ত।
“তীব্র বাতাস, প্রবল বর্ষণ এবং সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস নিয়ে আসছে শানশান। স্থানীয় প্রশাসনের উচিত হবে এই ঝড় মোকাবিলার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা ও প্রস্তুতি রাখা। নিকট অতীতে দেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে এত বড় ঘূর্নিঝড় দেখা যায়নি,” সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন সুগিমোতো।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, কিউশুর উপকূলে আছড়ে পড়ার পরও শান্ত হবে না শানশান; বরং কিউশুতে তাণ্ডব চালানোর পর ক্রমশ দেশের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের দিকে এগোতে থাকবে ঘূর্ণিঝড়টি।
সূত্র : বিবিসি