গাজা যুদ্ধের অবসান ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে দ্বিরাষ্ট্র সমাধান এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ইউরোপের দেশ স্পেনে একটি বৈঠক হয়েছে। দুই ইউরোপীয় দেশের পাশাপাশি কয়েকটি মুসলিম দেশের নেতারা শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে অংশ নেন।
সম্প্রতি নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ডের পাশাপাশি ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয় স্পেন। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের লক্ষ্যে শুক্রবার বৈঠকের আয়োজন করলো দেশটির সরকার। নরওয়ে ও স্লোভেনিয়ার দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বৈঠকে অংশ নেন।
ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফার পাশাপাশি অংশ নেন মিশর, সৌদি আরব, কাতার, জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া ও তুরস্কের সমন্বয়ে গঠিত আরব-ইসলামিক কনট্যাক্ট গ্রুপ ফর গাজার সদস্যরা। তবে এখানে ইসরাইলের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
বৈঠকের আয়োজক দেশ হিসেবে স্পেন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসানে দ্বিরাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছে ও সেই লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একটি স্পষ্ট সময়সূচী নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছে।
স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসে ম্যানুয়েল আলবারেস সাংবাদিকদের বলেন, আমরা গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি এগিয়ে নিতে এখানে মিলিত হয়েছি। ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে সহিংসতা বন্ধের কার্যকরী উপায় বের করতেই আমরা আজ এখানে। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানের একটিই পথ, আর সেটা হলো দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের বাস্তবায়ন।
‘বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কথাকে কাজে রূপান্তর ও একটি দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের কার্যকর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি সুস্পষ্ট সময়সূচীর দিকে অগ্রসর হওয়ার একটা পরিষ্কার ইচ্ছা দেখা গেছে।’
আলবারেস আরও বলেন, ইসরায়েলকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কারণ তারা আরব-ইসলামিক কনট্যাক্ট গ্রুপের অংশ নয়। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, যে কোনো আলোচনায় যেখানে শান্তি এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে ইসরায়েলকে পাশে পেলে আমরা আনন্দিত হবো।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪১ হাজার ১১৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েলের গাজা আক্রমণের বিরুদ্ধে সোচ্চার স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।
সানচেজের তৎপরতায় স্পেন গত ২৮ মে আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীর নিয়ে গঠিত একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়।
এরপর চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনি ঘোষণা করেন, এ বছরের শেষ দিকে প্রথম স্পেন ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেই সঙ্গে আশা প্রকাশ করেন, সম্মেলনে স্পেন ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বেশ কিছু সহযোগিতা চুক্তি সই হবে।
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গাজা যুদ্ধের অবসান ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে দ্বিরাষ্ট্র সমাধান এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ইউরোপের দেশ স্পেনে একটি বৈঠক হয়েছে। দুই ইউরোপীয় দেশের পাশাপাশি কয়েকটি মুসলিম দেশের নেতারা শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে অংশ নেন।
সম্প্রতি নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ডের পাশাপাশি ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয় স্পেন। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের লক্ষ্যে শুক্রবার বৈঠকের আয়োজন করলো দেশটির সরকার। নরওয়ে ও স্লোভেনিয়ার দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বৈঠকে অংশ নেন।
ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফার পাশাপাশি অংশ নেন মিশর, সৌদি আরব, কাতার, জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া ও তুরস্কের সমন্বয়ে গঠিত আরব-ইসলামিক কনট্যাক্ট গ্রুপ ফর গাজার সদস্যরা। তবে এখানে ইসরাইলের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
বৈঠকের আয়োজক দেশ হিসেবে স্পেন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসানে দ্বিরাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছে ও সেই লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একটি স্পষ্ট সময়সূচী নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছে।
স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসে ম্যানুয়েল আলবারেস সাংবাদিকদের বলেন, আমরা গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি এগিয়ে নিতে এখানে মিলিত হয়েছি। ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে সহিংসতা বন্ধের কার্যকরী উপায় বের করতেই আমরা আজ এখানে। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানের একটিই পথ, আর সেটা হলো দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের বাস্তবায়ন।
‘বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কথাকে কাজে রূপান্তর ও একটি দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের কার্যকর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি সুস্পষ্ট সময়সূচীর দিকে অগ্রসর হওয়ার একটা পরিষ্কার ইচ্ছা দেখা গেছে।’
আলবারেস আরও বলেন, ইসরায়েলকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কারণ তারা আরব-ইসলামিক কনট্যাক্ট গ্রুপের অংশ নয়। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, যে কোনো আলোচনায় যেখানে শান্তি এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে ইসরায়েলকে পাশে পেলে আমরা আনন্দিত হবো।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪১ হাজার ১১৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েলের গাজা আক্রমণের বিরুদ্ধে সোচ্চার স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।
সানচেজের তৎপরতায় স্পেন গত ২৮ মে আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীর নিয়ে গঠিত একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়।
এরপর চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনি ঘোষণা করেন, এ বছরের শেষ দিকে প্রথম স্পেন ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেই সঙ্গে আশা প্রকাশ করেন, সম্মেলনে স্পেন ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বেশ কিছু সহযোগিতা চুক্তি সই হবে।