পূর্ব রোমানিয়ায় চলমান বন্যায় এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং হাজারো বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাস্তুচ্যুতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন এবং নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সামরিক নৌকা ও প্লেনের সহায়তায় দুর্গতদের উদ্ধার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্সেল সিওলাকু। তিনি বলেছেন, মানুষের জীবন বাঁচানোই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
গত কয়েকদিন ধরে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে, যার ফলে চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, স্লোভাকিয়া এবং হাঙ্গেরিতে নদীগুলোর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে এবং বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
রোমানিয়ার জরুরি পরিষেবা সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব গালাতি এলাকা থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশের ১৯টি এলাকায় জরুরি উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে বেশ কয়েকজনকে বাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, পোল্যান্ডের কিছু অংশেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের বিয়ালা নদীর পানি বিপৎসীমার দুই মিটার উপর দিয়ে বইছে, যা আশপাশের মোরো এবং গ্লুকোলাজি শহরগুলোকে ঝুঁকিতে ফেলেছে।
পোল্যান্ডের বাসিন্দা পিওটর জাকুবিয়েক জানিয়েছেন, তিনি বালুর বস্তা ও পাম্প ব্যবহার করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কী ঘটতে যাচ্ছে, তা অনুমান করা কঠিন। গ্লুকোলজির আরও এক বাসিন্দা জোফিয়া ওসিয়াকা বলেন, শহরের সবাই বৃষ্টির কারণে ভীত-সন্ত্রস্ত্র এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় আছে।
এদিকে, চেক প্রজাতন্ত্রের ৩৮টি এলাকায় বন্যার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দেশটির রাজধানী প্রাহায় ‘ডেভিলস ক্যানাল’ নামে পরিচিত খালের ভারী ইস্পাতের গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাহার ঐতিহাসিক মালা স্ট্রানা জেলা রক্ষায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৯৯৭ ও ২০০২ সালের ভয়াবহ বন্যার পুনরাবৃত্তি এড়াতে এই গেইট নির্মাণে প্রায় ১ বিলিয়ন ইউরো খরচ করা হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে ইউরোপে ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যার প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উষ্ণ বায়ুমণ্ডল বেশি আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে, যা অতি ভারি বৃষ্টির কারণ হতে পারে এবং বন্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পূর্ব রোমানিয়ায় চলমান বন্যায় এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং হাজারো বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাস্তুচ্যুতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন এবং নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সামরিক নৌকা ও প্লেনের সহায়তায় দুর্গতদের উদ্ধার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্সেল সিওলাকু। তিনি বলেছেন, মানুষের জীবন বাঁচানোই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
গত কয়েকদিন ধরে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে, যার ফলে চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, স্লোভাকিয়া এবং হাঙ্গেরিতে নদীগুলোর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে এবং বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
রোমানিয়ার জরুরি পরিষেবা সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব গালাতি এলাকা থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশের ১৯টি এলাকায় জরুরি উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে বেশ কয়েকজনকে বাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, পোল্যান্ডের কিছু অংশেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের বিয়ালা নদীর পানি বিপৎসীমার দুই মিটার উপর দিয়ে বইছে, যা আশপাশের মোরো এবং গ্লুকোলাজি শহরগুলোকে ঝুঁকিতে ফেলেছে।
পোল্যান্ডের বাসিন্দা পিওটর জাকুবিয়েক জানিয়েছেন, তিনি বালুর বস্তা ও পাম্প ব্যবহার করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কী ঘটতে যাচ্ছে, তা অনুমান করা কঠিন। গ্লুকোলজির আরও এক বাসিন্দা জোফিয়া ওসিয়াকা বলেন, শহরের সবাই বৃষ্টির কারণে ভীত-সন্ত্রস্ত্র এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় আছে।
এদিকে, চেক প্রজাতন্ত্রের ৩৮টি এলাকায় বন্যার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দেশটির রাজধানী প্রাহায় ‘ডেভিলস ক্যানাল’ নামে পরিচিত খালের ভারী ইস্পাতের গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাহার ঐতিহাসিক মালা স্ট্রানা জেলা রক্ষায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৯৯৭ ও ২০০২ সালের ভয়াবহ বন্যার পুনরাবৃত্তি এড়াতে এই গেইট নির্মাণে প্রায় ১ বিলিয়ন ইউরো খরচ করা হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে ইউরোপে ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যার প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উষ্ণ বায়ুমণ্ডল বেশি আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে, যা অতি ভারি বৃষ্টির কারণ হতে পারে এবং বন্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।