লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ২০০ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭২৭ জন। হতাহতদের মধ্যে নারী এবং শিশু রয়েছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর ) সকালে দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন শহর ও গ্রামের ৩০০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়। অব্যাহত হামলার মুখে দক্ষিণ লেবানন থেকে লোকজনকে সরে যেতে দেখা গেছে। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে একটি পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধের উদ্বেগ বাড়লো।
হামলার আগে হিজবুল্লাহ সক্রিয় এমন এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে মোবাইলে মেসেজ ও কল দেয়া হয়েছিল। লেবাননের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর অগেরো প্রায় ৮০ হাজার সন্দেহজনক মেসেজ শনাক্ত করেছে। মানসিক চাপের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতেই এ ধরনের মেসেজ করা হতে পারে বলে ধারণা প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের।
বিবিসির খবরে বলা হয়, দেশটির তথ্যমন্ত্রী জিয়াদ মাকারির অফিসেও এ ধরনের ম্যাসেজ এবং ফোন কল এসেছে। তিনি এটিকে‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছেন।
হামলার বিষয় নিশ্চিত করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, লেবাননজুড়ে তিন শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। সামরিক মুখপাত্র ইসরায়েল ভূখ-ের বিরোধিতাকারীদের ‘আক্রমণ ঠেকাতে’ হিজবুল্লাহর ওপর নজরদারি বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে তাদের হামলা পরিকল্পিতভাবে এগোচ্ছে।
লক্ষ্য অর্জন না হওয়া অবধি হামলা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের ব্যবহৃত পেজার এবং ওয়াকিটকি বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে গত সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যে একটি সর্বাত্মক আঞ্চলিক সংঘাত নিশ্চিত রূপ নিয়েছে। এরপর থেকে আন্তঃসীমান্ত হামলাও বেড়েছে।
হামলার পর বৈরুতের সিটি সেন্টারের কাছের সড়কে ব্যাপক যানজট দেখা গেছে। অনেক বাসিন্দাকেই শহর ছাড়তে দেখা গেছে। শহরটির হামরা নামক স্থানের বাসিন্দাদেরও ঘরবাড়ি খালি করতে বলা হয়েছে। এই এলাকাটিতেই তথ্য মন্ত্রণালয়, ব্যাংক, বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা আছে। জায়গাটিতে হিজবুল্লাহ তেমন একটা সক্রিয় নয়।
ইসরায়েলের এ হামলার জবাব দেয়ার কথা জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলে বিভিন্ন সামরিক চৌকিতে রকেট হামলার কথা জানিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। বৈরুত, ত্রিপোলি, পূর্ব এবং দক্ষিণ লেবাননের ভবনগুলো বাস্তুচ্যুতদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। মাউন্ট লেবানন, সিডন এবং টায়ারের স্কুলগুলো খোলা হয়েছে বলে লেবানন সরকার নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েল ও লেবানন সীমান্তে কয়েক দশক ধরে সংঘাত চলছে। ১৯৪৮ সালে সৃষ্টির সময় থেকেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লেবানন ও আরব দেশগুলো লড়াই করছে। ২০০৬ সালের ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধের পর এটিতেই সবচেয়ে বেশি লেবানিজ মৃত্যুর ঘটনা। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে গত এক বছর ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যে লেবাননে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ২০০ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭২৭ জন। হতাহতদের মধ্যে নারী এবং শিশু রয়েছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর ) সকালে দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন শহর ও গ্রামের ৩০০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়। অব্যাহত হামলার মুখে দক্ষিণ লেবানন থেকে লোকজনকে সরে যেতে দেখা গেছে। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে একটি পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধের উদ্বেগ বাড়লো।
হামলার আগে হিজবুল্লাহ সক্রিয় এমন এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে মোবাইলে মেসেজ ও কল দেয়া হয়েছিল। লেবাননের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর অগেরো প্রায় ৮০ হাজার সন্দেহজনক মেসেজ শনাক্ত করেছে। মানসিক চাপের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতেই এ ধরনের মেসেজ করা হতে পারে বলে ধারণা প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের।
বিবিসির খবরে বলা হয়, দেশটির তথ্যমন্ত্রী জিয়াদ মাকারির অফিসেও এ ধরনের ম্যাসেজ এবং ফোন কল এসেছে। তিনি এটিকে‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছেন।
হামলার বিষয় নিশ্চিত করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, লেবাননজুড়ে তিন শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। সামরিক মুখপাত্র ইসরায়েল ভূখ-ের বিরোধিতাকারীদের ‘আক্রমণ ঠেকাতে’ হিজবুল্লাহর ওপর নজরদারি বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে তাদের হামলা পরিকল্পিতভাবে এগোচ্ছে।
লক্ষ্য অর্জন না হওয়া অবধি হামলা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের ব্যবহৃত পেজার এবং ওয়াকিটকি বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে গত সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যে একটি সর্বাত্মক আঞ্চলিক সংঘাত নিশ্চিত রূপ নিয়েছে। এরপর থেকে আন্তঃসীমান্ত হামলাও বেড়েছে।
হামলার পর বৈরুতের সিটি সেন্টারের কাছের সড়কে ব্যাপক যানজট দেখা গেছে। অনেক বাসিন্দাকেই শহর ছাড়তে দেখা গেছে। শহরটির হামরা নামক স্থানের বাসিন্দাদেরও ঘরবাড়ি খালি করতে বলা হয়েছে। এই এলাকাটিতেই তথ্য মন্ত্রণালয়, ব্যাংক, বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা আছে। জায়গাটিতে হিজবুল্লাহ তেমন একটা সক্রিয় নয়।
ইসরায়েলের এ হামলার জবাব দেয়ার কথা জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলে বিভিন্ন সামরিক চৌকিতে রকেট হামলার কথা জানিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। বৈরুত, ত্রিপোলি, পূর্ব এবং দক্ষিণ লেবাননের ভবনগুলো বাস্তুচ্যুতদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। মাউন্ট লেবানন, সিডন এবং টায়ারের স্কুলগুলো খোলা হয়েছে বলে লেবানন সরকার নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েল ও লেবানন সীমান্তে কয়েক দশক ধরে সংঘাত চলছে। ১৯৪৮ সালে সৃষ্টির সময় থেকেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লেবানন ও আরব দেশগুলো লড়াই করছে। ২০০৬ সালের ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধের পর এটিতেই সবচেয়ে বেশি লেবানিজ মৃত্যুর ঘটনা। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে গত এক বছর ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যে লেবাননে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।