জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর মন্তব্য করেছেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতন এখনও ভারত মেনে নিতে পারেনি। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশকে তাদের আশ্রিত রাজ্যের মতো বিবেচনা করত, যা এখন তাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান: জনগণের হাতে ক্ষমতা চাই, জনগণের সরকার–সংবিধান–রাষ্ট্র চাই’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে ভারত যা প্রয়োজন তা করেছে। এমনকি আশ্রয় দেওয়ার জন্য হাসিনাকে অন্যত্র পাঠানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে তাকে ভারতেই থাকতে দিয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, আওয়ামী লীগের সংগঠনগুলো পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে, তাই তাদের পুনরায় ক্ষমতায় ফেরা অসম্ভব।
তিনি বলেন, জুলাই-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যাপক ও আক্রমণাত্মক গণ–অভ্যুত্থান। গত ১৫ বছরে জনগণের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, তার কোনো নজির নেই। গণ-অভ্যুত্থানকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা হিসেবে অভিহিত করার বিষয়টি ‘আজগুবি’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, "এটি দ্বিতীয় স্বাধীনতা নয়, কারণ নতুন কোনো রাষ্ট্র গঠন হয়নি।"
শেখ হাসিনার পালানোর পর বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙা এবং ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে আগুন দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে তাঁর মেয়ে শেখ হাসিনাই মুজিবকে এ পরিস্থিতিতে এনেছেন।
তিনি আরও বলেন, ৭ মার্চ এবং ১৫ আগস্টসহ সম্প্রতি যেসব দিবস বাতিল করা হয়েছে, তা সঠিক সিদ্ধান্ত। ১৫ আগস্টকে জাতীয় ছুটি রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বর্তমান সরকার নিয়ে বদরুদ্দীন উমর বলেন, ইউনূস সরকার কোনো শূন্যতা পূরণে এসেছে এবং সামরিক সরকারের চেয়ে এটি ভালো বিকল্প। তবে বিদ্যমান সংবিধানকে বাতিল করে নতুন সংবিধান রচনার দাবি জানান তিনি, যা দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, রেশনিং পদ্ধতি চালু করা ছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এছাড়া ছাত্ররাজনীতি বন্ধের চেষ্টা ‘পাগলামি’ বলে অভিহিত করেন এবং আওয়ামী লীগের করা গুণ্ডামির রাজনীতি বন্ধ করার আহ্বান জানান।
আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর মন্তব্য করেছেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতন এখনও ভারত মেনে নিতে পারেনি। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশকে তাদের আশ্রিত রাজ্যের মতো বিবেচনা করত, যা এখন তাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান: জনগণের হাতে ক্ষমতা চাই, জনগণের সরকার–সংবিধান–রাষ্ট্র চাই’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে ভারত যা প্রয়োজন তা করেছে। এমনকি আশ্রয় দেওয়ার জন্য হাসিনাকে অন্যত্র পাঠানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে তাকে ভারতেই থাকতে দিয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, আওয়ামী লীগের সংগঠনগুলো পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে, তাই তাদের পুনরায় ক্ষমতায় ফেরা অসম্ভব।
তিনি বলেন, জুলাই-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যাপক ও আক্রমণাত্মক গণ–অভ্যুত্থান। গত ১৫ বছরে জনগণের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, তার কোনো নজির নেই। গণ-অভ্যুত্থানকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা হিসেবে অভিহিত করার বিষয়টি ‘আজগুবি’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, "এটি দ্বিতীয় স্বাধীনতা নয়, কারণ নতুন কোনো রাষ্ট্র গঠন হয়নি।"
শেখ হাসিনার পালানোর পর বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙা এবং ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে আগুন দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে তাঁর মেয়ে শেখ হাসিনাই মুজিবকে এ পরিস্থিতিতে এনেছেন।
তিনি আরও বলেন, ৭ মার্চ এবং ১৫ আগস্টসহ সম্প্রতি যেসব দিবস বাতিল করা হয়েছে, তা সঠিক সিদ্ধান্ত। ১৫ আগস্টকে জাতীয় ছুটি রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বর্তমান সরকার নিয়ে বদরুদ্দীন উমর বলেন, ইউনূস সরকার কোনো শূন্যতা পূরণে এসেছে এবং সামরিক সরকারের চেয়ে এটি ভালো বিকল্প। তবে বিদ্যমান সংবিধানকে বাতিল করে নতুন সংবিধান রচনার দাবি জানান তিনি, যা দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, রেশনিং পদ্ধতি চালু করা ছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এছাড়া ছাত্ররাজনীতি বন্ধের চেষ্টা ‘পাগলামি’ বলে অভিহিত করেন এবং আওয়ামী লীগের করা গুণ্ডামির রাজনীতি বন্ধ করার আহ্বান জানান।
আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।