ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলাকে ‘ভুল হিসাব’ বলে আখ্যা দিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তেহরানের একটি অনুষ্ঠানে রোববার দেওয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, “ইরানকে নিয়ে ইসরায়েলের যে ভুল হিসাব-নিকাশ, তা তাদের জন্য চড়া মূল্যে পরিণত হবে। তারা এখনো ইরানি জাতির শক্তি, ক্ষমতা ও ইচ্ছাশক্তির গভীরতা পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারেনি। আমাদেরকেই তাদেরকে সেটি বুঝতে বাধ্য করতে হবে।”
শনিবার মধ্যরাতে ইসরায়েল প্রায় ১০০টি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে তেহরান ও ইরানের পশ্চিমাঞ্চলের সামরিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানে। ইসরায়েলের দাবি, এই হামলায় তাদের নিশানা ছিল ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা ও অন্যান্য সামরিক স্থাপনা। হামলায় চার ইরানি সেনা নিহত এবং সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা। ইরানের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই হামলা প্রতিহত করতে তাদের সামরিক বাহিনী পর্যাপ্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, তাদের এ হামলা ইরানের গত ১ অক্টোবরের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে চালানো হয়েছে। ইরান ওই সময় ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে দুই শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। এরই প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল তাদের সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে পাল্টা আঘাত হানে।
ইসরায়েলের এই হামলা প্রসঙ্গে খামেনি বলেন, “দুই রাত আগে ইহুদিরা যে হামলা চালিয়েছে, তা বাড়িয়ে বা খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। ইরান এই হামলাকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং এটি অবজ্ঞা করবে না।”
তিনি আরও বলেন, ইরানের জনগণ এবং সামরিক বাহিনী ইসরায়েল ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে সবসময়ই প্রস্তুত রয়েছে এবং দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা প্রয়োজনে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। “ইরান শক্তিশালী জাতি, আমাদের আঘাতের ভয় ইসরায়েল এখনও পুরোপুরি বুঝতে পারেনি,” তিনি যোগ করেন।
এমন উত্তেজনার মধ্যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার এই পাল্টাপাল্টি হামলা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার শঙ্কা বাড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই দেশের এমন মনোভাব এই অঞ্চলের শান্তি প্রক্রিয়াকে আরো বিপজ্জনক অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে, যেখানে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলাকে ‘ভুল হিসাব’ বলে আখ্যা দিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তেহরানের একটি অনুষ্ঠানে রোববার দেওয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, “ইরানকে নিয়ে ইসরায়েলের যে ভুল হিসাব-নিকাশ, তা তাদের জন্য চড়া মূল্যে পরিণত হবে। তারা এখনো ইরানি জাতির শক্তি, ক্ষমতা ও ইচ্ছাশক্তির গভীরতা পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারেনি। আমাদেরকেই তাদেরকে সেটি বুঝতে বাধ্য করতে হবে।”
শনিবার মধ্যরাতে ইসরায়েল প্রায় ১০০টি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে তেহরান ও ইরানের পশ্চিমাঞ্চলের সামরিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানে। ইসরায়েলের দাবি, এই হামলায় তাদের নিশানা ছিল ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা ও অন্যান্য সামরিক স্থাপনা। হামলায় চার ইরানি সেনা নিহত এবং সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা। ইরানের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই হামলা প্রতিহত করতে তাদের সামরিক বাহিনী পর্যাপ্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, তাদের এ হামলা ইরানের গত ১ অক্টোবরের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে চালানো হয়েছে। ইরান ওই সময় ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে দুই শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। এরই প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল তাদের সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে পাল্টা আঘাত হানে।
ইসরায়েলের এই হামলা প্রসঙ্গে খামেনি বলেন, “দুই রাত আগে ইহুদিরা যে হামলা চালিয়েছে, তা বাড়িয়ে বা খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। ইরান এই হামলাকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং এটি অবজ্ঞা করবে না।”
তিনি আরও বলেন, ইরানের জনগণ এবং সামরিক বাহিনী ইসরায়েল ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে সবসময়ই প্রস্তুত রয়েছে এবং দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা প্রয়োজনে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। “ইরান শক্তিশালী জাতি, আমাদের আঘাতের ভয় ইসরায়েল এখনও পুরোপুরি বুঝতে পারেনি,” তিনি যোগ করেন।
এমন উত্তেজনার মধ্যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার এই পাল্টাপাল্টি হামলা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার শঙ্কা বাড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই দেশের এমন মনোভাব এই অঞ্চলের শান্তি প্রক্রিয়াকে আরো বিপজ্জনক অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে, যেখানে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।