যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে বেছে নিয়েছেন। কেনেডি, যিনি কোভিড মহামারির সময় টিকাবিরোধী মন্তব্যের জন্য আলোচিত হয়েছিলেন, এবার স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের (এইচএইচএস) দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র এই পদে মনোনীত হয়েছেন। তাঁর মনোনয়ন সিনেট অনুমোদন করলে, তিনি খাদ্য নিরাপত্তা, চিকিৎসা গবেষণা এবং কল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনার দায়িত্ব পাবেন। সিনেট বর্তমানে রিপাবলিকান পার্টির নিয়ন্ত্রণে থাকায় তাঁর মনোনয়ন নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আশা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, কেনেডি জুনিয়রের নিয়োগ দিতে পেরে তিনি আনন্দিত। ট্রাম্প আরও বলেন, কেনেডি মার্কিন জনগণের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে চান। নির্বাচনের পর বিজয় উদযাপন অনুষ্ঠানে ট্রাম্প সমর্থকদের জানান, কেনেডি তাঁর প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হবেন এবং স্বাস্থ্য খাতে তাঁর বিশেষ ভূমিকা থাকবে।
২০২৩ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ডেমোক্রেটিক মনোনয়ন পাওয়ার লড়াই শুরু করেছিলেন কেনেডি জুনিয়র। কিন্তু বাইডেনের পুনঃনির্বাচনের প্রেক্ষিতে কেনেডির পরিবার তাঁর টিকাবিরোধী অবস্থান এবং বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্বের সমালোচনা করেন। পরবর্তীতে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী দৌড়ে অংশ নেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পকে সমর্থন দেন। নির্বাচনের আগে শেষ দুই মাসে তিনি ট্রাম্পের প্রচারণায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন, যা মেইক আমেরিকা হেলদি এগেইন উদ্যোগের অধীনে পরিচালিত হয়েছিল।
কেনেডি জুনিয়র দীর্ঘদিন ধরে শিশুদের টিকাদানের ঘোর বিরোধী। তিনি বিশ্বাস করেন, টিকার কারণে শিশুদের অটিজম হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় জনস্বাস্থ্য সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC) বলেছে, টিকার সঙ্গে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের (ASD) কোনো সম্পর্ক নেই।
এই নিয়োগ নিয়ে ইতোমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। ট্রাম্পের সমর্থকরা কেনেডির নিয়োগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন, কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এবং ডেমোক্রেটরা তাঁর টিকাবিরোধী অবস্থান নিয়ে শঙ্কিত।
কেনেডি জুনিয়রের মনোনয়ন সিনেটে অনুমোদন পেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের দায়িত্ব তাঁর হাতে থাকবে, যা ভবিষ্যতে মার্কিন স্বাস্থ্যনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে বেছে নিয়েছেন। কেনেডি, যিনি কোভিড মহামারির সময় টিকাবিরোধী মন্তব্যের জন্য আলোচিত হয়েছিলেন, এবার স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের (এইচএইচএস) দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র এই পদে মনোনীত হয়েছেন। তাঁর মনোনয়ন সিনেট অনুমোদন করলে, তিনি খাদ্য নিরাপত্তা, চিকিৎসা গবেষণা এবং কল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনার দায়িত্ব পাবেন। সিনেট বর্তমানে রিপাবলিকান পার্টির নিয়ন্ত্রণে থাকায় তাঁর মনোনয়ন নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আশা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, কেনেডি জুনিয়রের নিয়োগ দিতে পেরে তিনি আনন্দিত। ট্রাম্প আরও বলেন, কেনেডি মার্কিন জনগণের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে চান। নির্বাচনের পর বিজয় উদযাপন অনুষ্ঠানে ট্রাম্প সমর্থকদের জানান, কেনেডি তাঁর প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হবেন এবং স্বাস্থ্য খাতে তাঁর বিশেষ ভূমিকা থাকবে।
২০২৩ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ডেমোক্রেটিক মনোনয়ন পাওয়ার লড়াই শুরু করেছিলেন কেনেডি জুনিয়র। কিন্তু বাইডেনের পুনঃনির্বাচনের প্রেক্ষিতে কেনেডির পরিবার তাঁর টিকাবিরোধী অবস্থান এবং বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্বের সমালোচনা করেন। পরবর্তীতে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী দৌড়ে অংশ নেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পকে সমর্থন দেন। নির্বাচনের আগে শেষ দুই মাসে তিনি ট্রাম্পের প্রচারণায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন, যা মেইক আমেরিকা হেলদি এগেইন উদ্যোগের অধীনে পরিচালিত হয়েছিল।
কেনেডি জুনিয়র দীর্ঘদিন ধরে শিশুদের টিকাদানের ঘোর বিরোধী। তিনি বিশ্বাস করেন, টিকার কারণে শিশুদের অটিজম হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় জনস্বাস্থ্য সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC) বলেছে, টিকার সঙ্গে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের (ASD) কোনো সম্পর্ক নেই।
এই নিয়োগ নিয়ে ইতোমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। ট্রাম্পের সমর্থকরা কেনেডির নিয়োগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন, কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এবং ডেমোক্রেটরা তাঁর টিকাবিরোধী অবস্থান নিয়ে শঙ্কিত।
কেনেডি জুনিয়রের মনোনয়ন সিনেটে অনুমোদন পেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের দায়িত্ব তাঁর হাতে থাকবে, যা ভবিষ্যতে মার্কিন স্বাস্থ্যনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।