alt

আন্তর্জাতিক

প্রথমদিনই চীন-মেক্সিকো-কানাডার ওপর বাড়তি শুল্ক বসাবেন ট্রাম্প

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

দায়িত্বগ্রহণের প্রথমদিনেই মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ এবং চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) তিনি এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, তার প্রশাসনের প্রথম দিন থেকেই এই পদক্ষেপ কার্যকর হবে।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, অনিয়মিত সীমান্ত অতিক্রম এবং মাদক পাচারের বিরুদ্ধে এটি একটি শক্তিশালী বার্তা। তার দাবি, এই সমস্যাগুলো সমাধানে মেক্সিকো ও কানাডার ‘সম্পূর্ণ সক্ষমতা’ থাকলেও তারা তা করছে না।

রিপাবলিকান নেতা আরও ঘোষণা দেন, চীনের ফেন্টানাইল পাচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। তিনি বলেন, চীন মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তারা তা বাস্তবায়ন করেনি। মেক্সিকোর মধ্য দিয়ে আগে কখনো দেখা যায়নি এমন মাত্রায় মাদক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে।

কানাডা-চীনের প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্পের ঘোষণার পর কানাডার উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য এবং সীমান্ত নিরাপত্তায় গভীর সহযোগিতা রয়েছে। এই সম্পর্ক উভয় দেশের জন্যই পারস্পরিকভাবে লাভজনক।

তবে অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শুল্ককে উভয় দেশের শ্রমিক ও চাকরির জন্য ‘বিধ্বংসী’ বলে উল্লেখ করেছেন।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনের দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা পারস্পরিক লাভজনক। কোনো পক্ষই বাণিজ্যযুদ্ধে জয়ী হবে না।

অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ওপর বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

২০২২ সালে মেক্সিকো, কানাডা ও চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৩০ বিলিয়ন ডলার। ট্রাম্পের শুল্ক পরিকল্পনা কার্যকর হলে উত্তর আমেরিকার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (ইউএসএমসিএ)-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

ছবি

‘আমি জ্বালানির সুইচ বন্ধ করিনি’: বিধ্বস্তের আগে পাইলট

ছবি

‘মিথ্যা অভিযোগে আটক ও মানহানি’, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে গেলেন ফিলিস্তিনি ছাত্রনেতা

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বয়স্করা

গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ‘আশাবাদী’ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ইউক্রেইনে যাবে, নেটো দেবে অর্থ: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

ছবি

সৌদিতে বিদেশিদের জন্য সুখবর, কিনতে পারবেন সম্পত্তি

রাশিয়ার ওপর দ্রুত নিষেধাজ্ঞা চান জেলেনস্কি

ছবি

সিন্ধুর পানিপ্রবাহ বন্ধ নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কি সংঘাত অনিবার্য

ইয়েমেনে খেয়ে না-খেয়ে থাকছেন পৌনে ২ কোটি মানুষ

ছবি

নেটোর মাধ্যমে ইউক্রেইনকে অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র, ব্যয় বহন করবে জোট: ট্রাম্প

ছবি

অভিবাসী সংকট ও ইউক্রেইন ইস্যুতে একমত ফ্রান্স–যুক্তরাজ্য

ছবি

ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টা: ছয় সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট সাময়িক বরখাস্ত

ছবি

কিম জং উনের বিরুদ্ধে মামলা করছেন পক্ষত্যাগী উত্তর কোরীয় নারী

আরও ১০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস, হামলায় নিহত ৭৪

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ‘পুষ্টিকর সাপ্লিমেন্টের জন্য লাইনে দাঁড়ানো ৮ শিশু নিহত’

রিয়াদ ও জেদ্দায় সম্পত্তির মালিক হতে পারবেন বিদেশিরাও

ছবি

চলতি বছরে ভারতীয়দের তৃতীয় জাগুয়ার দুর্ঘটনায় প্রাণহানি

ভদোদরায় ৪৩ বছরের পুরোনো সেতু ভেঙে বিপর্যয়, কয়েকটি যান নদীতে

ছবি

মায়ানমারের বিরল খনিজ ঘিরে চীনের হুমকি

এক রাতে ৭ শতাধিক ড্রোন নিয়ে ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা রাশিয়ার

ছবি

ইরান ও সৌদির মধ্যে ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনা

তালেবান নেতাদের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ইরানে অস্ত্র সরবরাহ শুরু করল চীন

ছবি

কোন পথে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

ছবি

নারী নিপীড়নের অভিযোগে তালেবান নেতাদের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

চীনের সহায়তায় আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তি পেল ইরান

ছবি

ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি

ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

সাইপ্রাসে গড়ে উঠছে ‘মিনি ইসরায়েল’

বিশ্বজুড়ে একের পর এক খনি কিনছে চীন

সিরিয়ার এইচটিএস গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী তকমা প্রত্যাহার করল যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে কী আছে, এটা কি গাজায় যুদ্ধ থামাতে পারবে

ছবি

পাকিস্তানে বৃষ্টি ও ভূমিধসে ১৯ জনের মৃত্যু, বন্যা সতর্কতা জারি

ছবি

টেক্সাসে হড়পা বানে শতাধিক মানুষের মৃত্যু, নিখোঁজ বহু

ছবি

নেতানিয়াহুর অনড় অবস্থান, ট্রাম্প চান দ্রুত চুক্তি

গাজায় ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের মধ্যেই শুরু হচ্ছে যুদ্ধবিরতি আলোচনা

tab

আন্তর্জাতিক

প্রথমদিনই চীন-মেক্সিকো-কানাডার ওপর বাড়তি শুল্ক বসাবেন ট্রাম্প

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

দায়িত্বগ্রহণের প্রথমদিনেই মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ এবং চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) তিনি এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, তার প্রশাসনের প্রথম দিন থেকেই এই পদক্ষেপ কার্যকর হবে।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, অনিয়মিত সীমান্ত অতিক্রম এবং মাদক পাচারের বিরুদ্ধে এটি একটি শক্তিশালী বার্তা। তার দাবি, এই সমস্যাগুলো সমাধানে মেক্সিকো ও কানাডার ‘সম্পূর্ণ সক্ষমতা’ থাকলেও তারা তা করছে না।

রিপাবলিকান নেতা আরও ঘোষণা দেন, চীনের ফেন্টানাইল পাচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। তিনি বলেন, চীন মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তারা তা বাস্তবায়ন করেনি। মেক্সিকোর মধ্য দিয়ে আগে কখনো দেখা যায়নি এমন মাত্রায় মাদক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে।

কানাডা-চীনের প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্পের ঘোষণার পর কানাডার উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য এবং সীমান্ত নিরাপত্তায় গভীর সহযোগিতা রয়েছে। এই সম্পর্ক উভয় দেশের জন্যই পারস্পরিকভাবে লাভজনক।

তবে অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শুল্ককে উভয় দেশের শ্রমিক ও চাকরির জন্য ‘বিধ্বংসী’ বলে উল্লেখ করেছেন।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনের দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা পারস্পরিক লাভজনক। কোনো পক্ষই বাণিজ্যযুদ্ধে জয়ী হবে না।

অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ওপর বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

২০২২ সালে মেক্সিকো, কানাডা ও চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৩০ বিলিয়ন ডলার। ট্রাম্পের শুল্ক পরিকল্পনা কার্যকর হলে উত্তর আমেরিকার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (ইউএসএমসিএ)-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

back to top