alt

ফের অভিশংসন ভোটের মুখে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের স্বল্পকালীন সামরিক আইন জারিকে কেন্দ্র করে ফের অভিশংসন ভোটের মুখোমুখি তিনি।

শনিবার পার্লামেন্টে আবাবও অভিশংসন প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে বলে জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা মিউং।

শুক্রবার প্রেসিডেন্টের দলের সদস্যদেরকে অভিশংসন সমর্থন করার আহ্বান জানিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা মিউং এই ঘোষণা দেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

গত ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে’ সমূলে উৎপাটনের কথা বলে হঠাৎ করেই সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন ইউন। তার এ ঘোষণায় পুরো দক্ষিণ কোরিয়া স্তম্ভিত হয়ে যায়।

পরে প্রবল বিরোধিতার মুখে সামরিক আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট।

কিন্তু তার এই পদক্ষেপে দক্ষিণ কোরিয়া কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে। গণতান্ত্রিক সাফল্যের গাথা রচনাকারী দক্ষিণ কোরিয়ার অর্জিত সুনাম নষ্ট হওয়ার হুমকি তৈরি হয়। বিরোধী দলের অভিশংসন প্রস্তাবের মুখে পড়েন ইউন।

এর আগে, গত শনিবার ইউন বিরোধীদল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে অভিশংসন উদ্যোগ থেকে রক্ষা পান। তার ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্টের ওই অধিবেশন বয়কট করায় বেঁচে যান। কিন্তু শনিবারের অভিশংসন উদ্যোগ থেকে ইউন রক্ষা নাও পেতে পারেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, বিরোধী দলগুলো স্থানীয় সময় শনিবার বিকা0ল ৪টায় অভিশংসন ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে।

প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাসীন পিপিপি’র অন্তত ৭ জন সদস্য এই ভোটে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি পাস হতে হলে পিপিপির কমপক্ষে আটজন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। আপাতত সেই সংখ্যার প্রায় কাছাকাছিই সমর্থন দেখা যাচ্ছে।

ইউনের অভিশংসনের সমর্থনকারী পিপিপির আইনপ্রণেতা আন চেওল-সু এক ফেইসবুক পোস্টে বলেন, জনগণের জীবিকা, অর্থনীতি ও কূটনীতি দ্রুত স্থিতিশীলতার স্বার্থে তিনি অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেবেন।

অন্যদিকে, শনিবার দেশটির প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি বলেছে, “ইউনের ‘পাগলামি’ আর সহ্য করা যাবে না।”

ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে অভিশংসনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দলটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “অভিশংসন প্রত্যাখ্যান করা জনগণের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা।”

দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধীদল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লি জায়ে-মিউং বলেছেন, দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার সর্বোত্তম উপায় হল প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে অভিশংসন করা।

তবে, ইউন বৃহস্পতিবারই দ্বিতীয় অভিশংসন প্রচেষ্টার মুখে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। সরকারকে পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য তিনি বিরোধী দলকে দোষারোপ করেন। এমনকি নির্বাচন কমিশনে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং এপ্রিলের পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার দলের শোচনীয় পরাজয় ডেকে এনেছে বলে ইউন দাবি করেন।

ওদিকে, বিরোধীদল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লি জায়ে-মিউং প্রেসিডেন্ট ইউনের মন্তব্যকে ‘জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা’ আখ্যা দেন।

তিনি বলেন, “ইউনের এমন কথাই প্রমাণ করেছে যে, এই বিভ্রান্তি সবচেয়ে দ্রুত দূর করার সর্বোত্তম পন্থা হল অভিশংসন।”

ছবি

মামদানির নিউইয়র্ক পরিকল্পনায় বাদ সাধতে পারেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় মৃত্যু ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে, ইসরায়েলি সেনার মৃতদেহ উদ্ধার করলো হামাস

ছবি

পাকিস্তানে বিতর্কিত ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল সিনেটে উপস্থাপন

ছবি

সংবিধান সংশোধনীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভের ঘোষণা বিরোধী জোটের

ছবি

লেবাননে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ছবি

সিরিয়া- যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের নতুন অধ্যায়, ওয়াশিংটনে আল শারা

ছবি

তীব্র দূষণের ঝুঁকিতে গাজার জনস্বাস্থ্য

ছবি

কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখোমুখি ইংল্যান্ড

ছবি

মামদানির প্রচারকৌশলে এগোনোর চেষ্টা ট্রাম্পের

ছবি

২৬ মার্কিন ধনকুবেরের সোয়া দুই কোটি ডলারও মামদানির জয় ঠেকাতে পারেনি

ছবি

আফগানিস্তান-পাকিস্তান শান্তি আলোচনা ব্যর্থ, যুদ্ধবিরতি এখনও বহাল

ছবি

পুতিনের সঙ্গে এখনও বৈঠকের সুযোগ আছে : ট্রাম্প

ছবি

ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা

ছবি

সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের নাম মুছলো যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

অ্যান্টার্কটিকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে

ছবি

ভেস্তে গেলো আফগানিস্তান-পাকিস্তান আলোচনা

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত : রাজনাথ সিং

ছবি

প্রভাবশালী মার্কিন ডানপন্থিরা মামদানিকে আইএসের সঙ্গে জড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন

ছবি

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প

ছবি

ট্রাম্প-মামদানি কি সমানে সমান

ছবি

কেন দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন সুদানের নাগরিকরা

ছবি

গাজার নিরাপত্তায় আইএসএফ গঠনের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো জাতিসংঘ

ছবি

ইতিহাসের সবচেয়ে গরম বছরগুলোর একটি হতে যাচ্ছে ২০২৫

ছবি

ইতিহাসে সর্বোচ্চ বেতন-ভাতা মাস্কের

ছবি

পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির নির্দেশ পুতিনের

ছবি

মামদানির জয়, নিউইয়র্কের ইহুদিদের দেশে চলে আসতে বললেন ইসরায়েলি মন্ত্রী

ছবি

মামদানি সম্মানজনক আচরণ করলে তাঁকে সহায়তা করব: ট্রাম্প

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ প্রায় শেষ

ছবি

১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবে সৌদি আরব

ছবি

নিউইয়র্কে ইতিহাস: পাঁচ নারী নিয়ে মেয়র মামদানির প্রশাসনের সূচনা

ছবি

নিউইয়র্কের মেয়র মামদানি: নতুন ইতিহাস, ট্রাম্পের জন্য বড় ধাক্কা

ছবি

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রথম দিনই দিয়েছিলাম: ভারত

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে উড্ডয়নের পরপরই বিমান বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ৩

ছবি

মামদানিকে সমর্থন দেয়া ইহুদিদের ‘স্টুপিড’ বললেন ট্রাম্প

tab

ফের অভিশংসন ভোটের মুখে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের স্বল্পকালীন সামরিক আইন জারিকে কেন্দ্র করে ফের অভিশংসন ভোটের মুখোমুখি তিনি।

শনিবার পার্লামেন্টে আবাবও অভিশংসন প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে বলে জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা মিউং।

শুক্রবার প্রেসিডেন্টের দলের সদস্যদেরকে অভিশংসন সমর্থন করার আহ্বান জানিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা মিউং এই ঘোষণা দেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

গত ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে’ সমূলে উৎপাটনের কথা বলে হঠাৎ করেই সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন ইউন। তার এ ঘোষণায় পুরো দক্ষিণ কোরিয়া স্তম্ভিত হয়ে যায়।

পরে প্রবল বিরোধিতার মুখে সামরিক আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট।

কিন্তু তার এই পদক্ষেপে দক্ষিণ কোরিয়া কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে। গণতান্ত্রিক সাফল্যের গাথা রচনাকারী দক্ষিণ কোরিয়ার অর্জিত সুনাম নষ্ট হওয়ার হুমকি তৈরি হয়। বিরোধী দলের অভিশংসন প্রস্তাবের মুখে পড়েন ইউন।

এর আগে, গত শনিবার ইউন বিরোধীদল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে অভিশংসন উদ্যোগ থেকে রক্ষা পান। তার ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্টের ওই অধিবেশন বয়কট করায় বেঁচে যান। কিন্তু শনিবারের অভিশংসন উদ্যোগ থেকে ইউন রক্ষা নাও পেতে পারেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, বিরোধী দলগুলো স্থানীয় সময় শনিবার বিকা0ল ৪টায় অভিশংসন ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে।

প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাসীন পিপিপি’র অন্তত ৭ জন সদস্য এই ভোটে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি পাস হতে হলে পিপিপির কমপক্ষে আটজন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। আপাতত সেই সংখ্যার প্রায় কাছাকাছিই সমর্থন দেখা যাচ্ছে।

ইউনের অভিশংসনের সমর্থনকারী পিপিপির আইনপ্রণেতা আন চেওল-সু এক ফেইসবুক পোস্টে বলেন, জনগণের জীবিকা, অর্থনীতি ও কূটনীতি দ্রুত স্থিতিশীলতার স্বার্থে তিনি অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেবেন।

অন্যদিকে, শনিবার দেশটির প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি বলেছে, “ইউনের ‘পাগলামি’ আর সহ্য করা যাবে না।”

ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে অভিশংসনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দলটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “অভিশংসন প্রত্যাখ্যান করা জনগণের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা।”

দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধীদল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লি জায়ে-মিউং বলেছেন, দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার সর্বোত্তম উপায় হল প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে অভিশংসন করা।

তবে, ইউন বৃহস্পতিবারই দ্বিতীয় অভিশংসন প্রচেষ্টার মুখে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। সরকারকে পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য তিনি বিরোধী দলকে দোষারোপ করেন। এমনকি নির্বাচন কমিশনে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং এপ্রিলের পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার দলের শোচনীয় পরাজয় ডেকে এনেছে বলে ইউন দাবি করেন।

ওদিকে, বিরোধীদল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লি জায়ে-মিউং প্রেসিডেন্ট ইউনের মন্তব্যকে ‘জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা’ আখ্যা দেন।

তিনি বলেন, “ইউনের এমন কথাই প্রমাণ করেছে যে, এই বিভ্রান্তি সবচেয়ে দ্রুত দূর করার সর্বোত্তম পন্থা হল অভিশংসন।”

back to top