হঠাৎই সামরিক আইন জারি করে বিপাকে পড়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে সরাতে দ্বিতীয় দফার অভিশংসন প্রস্তাবে অবশেষে সায় দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। তবে এখনই বরখাস্ত হচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট ইউন। চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে সাংবিধানিক আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য।
এএফপি জানায়, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিরোধীদলের নেতৃত্বাধীন পার্লামেন্টে আনা দ্বিতীয় দফা অভিশংসন প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ অর্থাৎ মোট ২০৪ জন সদস্য অভিশংসনের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে। একে ‘জনগণের জয়’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিরোধীরা।
এই ভোটাভুটিতে ইউনের ক্ষমতাসীন পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) কিছু সদস্য বিরোধীদলগুলোর সঙ্গে যোগ দেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ৩০০ সদস্যের আইন পরিষদে বিরোধীদলগুলোর নিয়ন্ত্রণে আছে ১৯২টি আসন। পিপিসির কিছু সদস্য প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়ায় অভিশংসন জন্য প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন নিশ্চিত হয়।
রয়টার্স জানায়, অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন ২০৪ জন আইনপ্রণেতা, প্রস্তাবের বিপক্ষে ছিলেন ৮৫ জন, আটটি ভোট বাতিল হয় এবং তিনজন ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন।
ভোটের এই ফলাফলের মধ্যে দিয়ে ইউনকে অবিলম্বে বরখাস্ত করার প্রাথমিক পথ খুলল। তাকে সরানো হলে সংবিধান অনুযায়ী দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হবেন প্রধানমন্ত্রী হান দক-সু। হানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইউনই নিয়োগ দিয়েছিলেন।
তবে আইন প্রণেতাদের এই রায় প্রেসিডেন্টকে স্থায়ীভাবে সরানোর নিশ্চিয়তা দেয় না। কারণ এখানে আইনি মারপ্যাঁচও রয়েছে। অভিশংসনের পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। বরখাস্ত হলেও এসময় ইউন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বেই থাকবেন। তাকে দায়িত্ব থেকে সরানো হবে কিনা, দেশটির সাংবিধানিক আদালত আগামী ছয় মাসের মধ্যে কোনো এক সময় সে সিদ্ধান্ত দেবেন। এ বিষয়ে সাংবিধানিক আদালতে শুনানি হবে। যদি আদালতের নয় সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিলের ছয়জন অভিসংশন প্রস্তাবের পক্ষে মত দেন, তখনই কেবল প্রেসিডেন্টকে স্থায়ীভাবে পদ ছাড়তে হবে।
তেমন পরিস্থিতিতে ৬০ দিনের মধ্যে আগাম নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় টানা অভিশংসিত হতে যাওয়া দ্বিতীয় রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট ইউন। এর আগে ২০১৭ সালে আরেক রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়েন হাইকে অভিংশনের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়।
গত ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে’ সমূলে উৎপাটনের কথা বলে হঠাৎ করেই সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন ইউন। তার এ ঘোষণায় পুরো দক্ষিণ কোরিয়া স্তম্ভিত হয়ে যায়। পরে প্রবল বিরোধিতার মুখে সামরিক আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট।
কিন্তু তার এই পদক্ষেপে দক্ষিণ কোরিয়া কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে। বিরোধী দলের অভিশংসন প্রস্তাবের মুখে পড়েন ইউন। ১৩ ডিসেম্বর শনিবার ইউন বিরোধীদল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে প্রথম দফা অভিশংসন উদ্যোগ থেকে রক্ষা পান। তার ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) আইন প্রণেতারা পার্লামেন্টের ওই অধিবেশন বয়কট করায় ওই যাত্রায় বেঁচে যান ইউন।
পরে নিজের সিদ্ধান্তের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চান তিনি। কিন্তু একইসঙ্গে নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়ে পদত্যাগের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন ইউন। জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে ‘শেষ পর্যন্ত লড়াই করার’ প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন দক্ষিণ কোরিয়ার কট্টরভাবাপন্ন এই প্রেসিডেন্ট।
রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
হঠাৎই সামরিক আইন জারি করে বিপাকে পড়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে সরাতে দ্বিতীয় দফার অভিশংসন প্রস্তাবে অবশেষে সায় দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। তবে এখনই বরখাস্ত হচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট ইউন। চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে সাংবিধানিক আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য।
এএফপি জানায়, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিরোধীদলের নেতৃত্বাধীন পার্লামেন্টে আনা দ্বিতীয় দফা অভিশংসন প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ অর্থাৎ মোট ২০৪ জন সদস্য অভিশংসনের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে। একে ‘জনগণের জয়’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিরোধীরা।
এই ভোটাভুটিতে ইউনের ক্ষমতাসীন পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) কিছু সদস্য বিরোধীদলগুলোর সঙ্গে যোগ দেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ৩০০ সদস্যের আইন পরিষদে বিরোধীদলগুলোর নিয়ন্ত্রণে আছে ১৯২টি আসন। পিপিসির কিছু সদস্য প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়ায় অভিশংসন জন্য প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন নিশ্চিত হয়।
রয়টার্স জানায়, অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন ২০৪ জন আইনপ্রণেতা, প্রস্তাবের বিপক্ষে ছিলেন ৮৫ জন, আটটি ভোট বাতিল হয় এবং তিনজন ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন।
ভোটের এই ফলাফলের মধ্যে দিয়ে ইউনকে অবিলম্বে বরখাস্ত করার প্রাথমিক পথ খুলল। তাকে সরানো হলে সংবিধান অনুযায়ী দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হবেন প্রধানমন্ত্রী হান দক-সু। হানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইউনই নিয়োগ দিয়েছিলেন।
তবে আইন প্রণেতাদের এই রায় প্রেসিডেন্টকে স্থায়ীভাবে সরানোর নিশ্চিয়তা দেয় না। কারণ এখানে আইনি মারপ্যাঁচও রয়েছে। অভিশংসনের পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। বরখাস্ত হলেও এসময় ইউন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বেই থাকবেন। তাকে দায়িত্ব থেকে সরানো হবে কিনা, দেশটির সাংবিধানিক আদালত আগামী ছয় মাসের মধ্যে কোনো এক সময় সে সিদ্ধান্ত দেবেন। এ বিষয়ে সাংবিধানিক আদালতে শুনানি হবে। যদি আদালতের নয় সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিলের ছয়জন অভিসংশন প্রস্তাবের পক্ষে মত দেন, তখনই কেবল প্রেসিডেন্টকে স্থায়ীভাবে পদ ছাড়তে হবে।
তেমন পরিস্থিতিতে ৬০ দিনের মধ্যে আগাম নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় টানা অভিশংসিত হতে যাওয়া দ্বিতীয় রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট ইউন। এর আগে ২০১৭ সালে আরেক রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়েন হাইকে অভিংশনের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়।
গত ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে’ সমূলে উৎপাটনের কথা বলে হঠাৎ করেই সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন ইউন। তার এ ঘোষণায় পুরো দক্ষিণ কোরিয়া স্তম্ভিত হয়ে যায়। পরে প্রবল বিরোধিতার মুখে সামরিক আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট।
কিন্তু তার এই পদক্ষেপে দক্ষিণ কোরিয়া কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে। বিরোধী দলের অভিশংসন প্রস্তাবের মুখে পড়েন ইউন। ১৩ ডিসেম্বর শনিবার ইউন বিরোধীদল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে প্রথম দফা অভিশংসন উদ্যোগ থেকে রক্ষা পান। তার ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) আইন প্রণেতারা পার্লামেন্টের ওই অধিবেশন বয়কট করায় ওই যাত্রায় বেঁচে যান ইউন।
পরে নিজের সিদ্ধান্তের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চান তিনি। কিন্তু একইসঙ্গে নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়ে পদত্যাগের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন ইউন। জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে ‘শেষ পর্যন্ত লড়াই করার’ প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন দক্ষিণ কোরিয়ার কট্টরভাবাপন্ন এই প্রেসিডেন্ট।