আজারবাইজান থেকে রাশিয়ার উদ্দেশে গমনকারী একটি এমব্রায়ার-১৯০ যাত্রীবাহী যে উড়োজাহাজটি কাজাখস্তানে বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটিকে ‘ভূপাতিত’ করেছে রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় আজারবাইজানের তদন্তের প্রাথমিক ফলাফলের বিষয়ে অবগত চারটি সূত্র গতকাল বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছে।তবে অনুমানের ওপর নির্ভর করে করে দোষ চাপানোর ব্যাপারে সতর্ক করেছে মস্কো।
বুধবার যাত্রীবাহী বিমানটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে ৬৯ জন আরোহী নিয়ে চেচনিয়ার গ্রজনিতে যাচ্ছিল। কিন্তু কাজাখস্তানের আকতাউ বিমানবন্দরের তিন কিলোমিটার দূরে সেটি জরুরি অবতরণের চেষ্টা করে। পরে কাস্পিয়ান সাগরের অপর প্রান্তে বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজটি। এ ঘটনায় ৩৮ জন নিহত হয়।
তবে রাশিয়ার বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দাবি, বিমানটি সম্ভবত পাখির আঘাতের কারণে জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল।
কিন্তু উড়োজাহাজটি কেন সাগর পার হয়ে বিপরীত দিকে চলে গিয়েছিল সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
দুর্ঘটনার বিষয়ে আজারবাইজানের তদন্তের সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত ফলাফলে দেখা গেছে, বিমানটি রাশিয়ার প্যান্টসির-এস বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার দায় কেউ স্বীকার করেনি। তবে নিশ্চিত তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাকু আশা করছে, আজারবাইজানের বিমান ভূপাতিত করার দায় স্বীকার করবে রাশিয়া।
অন্য তিনটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, আজেরি তদন্তও একই প্রাথমিক উপসংহারে এসেছে। এদিকে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
অন্যদিকে কানাডা বলেছে, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা বিমানটিতে আঘাত হানতে পারে এমন খবরে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
রুশ বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী বিমানটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে এমন সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে কাজাখ পরিবহন প্রসিকিউটর বলেন, তদন্ত থেকে এখনও নিশ্চিত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।
রুশ বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনের আগে ক্রেমলিনকে প্রশ্ন করা হলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী রুশ টেলিভিশনকে বলেছেন, তার ধারণা পাইলট দুবার ঘন কুয়াশার মধ্যে অবতরণের চেষ্টা করেছিলেন। তৃতীয়বার কিছু একটা বিস্ফোরিত হয়।
রিস্ক অ্যাডভাইজরি কোম্পানি সিবিলিনের জাস্টিন ক্রাম্প বলেন, বিমানের ভেতরে ও বাইরে ক্ষয়ক্ষতির ধরন দেখে মনে হচ্ছে রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার জন্য দায়ী হয়ে থাকতে পারে। বিবিসি রেডিও ৪-কে তিনি বলেন, আপনি যদি শার্পনেলের প্যাটার্ন দেখেন তাহলে বুঝবেন এটি অনেকটা বিমান ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণের মতো।
কাজাখস্তানে ৭২ আরোহী নিয়ে আজারবাইজানের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, ২৭ জনকে জীবিত উদ্ধার
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
আজারবাইজান থেকে রাশিয়ার উদ্দেশে গমনকারী একটি এমব্রায়ার-১৯০ যাত্রীবাহী যে উড়োজাহাজটি কাজাখস্তানে বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটিকে ‘ভূপাতিত’ করেছে রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় আজারবাইজানের তদন্তের প্রাথমিক ফলাফলের বিষয়ে অবগত চারটি সূত্র গতকাল বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছে।তবে অনুমানের ওপর নির্ভর করে করে দোষ চাপানোর ব্যাপারে সতর্ক করেছে মস্কো।
বুধবার যাত্রীবাহী বিমানটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে ৬৯ জন আরোহী নিয়ে চেচনিয়ার গ্রজনিতে যাচ্ছিল। কিন্তু কাজাখস্তানের আকতাউ বিমানবন্দরের তিন কিলোমিটার দূরে সেটি জরুরি অবতরণের চেষ্টা করে। পরে কাস্পিয়ান সাগরের অপর প্রান্তে বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজটি। এ ঘটনায় ৩৮ জন নিহত হয়।
তবে রাশিয়ার বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দাবি, বিমানটি সম্ভবত পাখির আঘাতের কারণে জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল।
কিন্তু উড়োজাহাজটি কেন সাগর পার হয়ে বিপরীত দিকে চলে গিয়েছিল সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
দুর্ঘটনার বিষয়ে আজারবাইজানের তদন্তের সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত ফলাফলে দেখা গেছে, বিমানটি রাশিয়ার প্যান্টসির-এস বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার দায় কেউ স্বীকার করেনি। তবে নিশ্চিত তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাকু আশা করছে, আজারবাইজানের বিমান ভূপাতিত করার দায় স্বীকার করবে রাশিয়া।
অন্য তিনটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, আজেরি তদন্তও একই প্রাথমিক উপসংহারে এসেছে। এদিকে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
অন্যদিকে কানাডা বলেছে, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা বিমানটিতে আঘাত হানতে পারে এমন খবরে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
রুশ বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী বিমানটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে এমন সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে কাজাখ পরিবহন প্রসিকিউটর বলেন, তদন্ত থেকে এখনও নিশ্চিত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।
রুশ বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনের আগে ক্রেমলিনকে প্রশ্ন করা হলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী রুশ টেলিভিশনকে বলেছেন, তার ধারণা পাইলট দুবার ঘন কুয়াশার মধ্যে অবতরণের চেষ্টা করেছিলেন। তৃতীয়বার কিছু একটা বিস্ফোরিত হয়।
রিস্ক অ্যাডভাইজরি কোম্পানি সিবিলিনের জাস্টিন ক্রাম্প বলেন, বিমানের ভেতরে ও বাইরে ক্ষয়ক্ষতির ধরন দেখে মনে হচ্ছে রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার জন্য দায়ী হয়ে থাকতে পারে। বিবিসি রেডিও ৪-কে তিনি বলেন, আপনি যদি শার্পনেলের প্যাটার্ন দেখেন তাহলে বুঝবেন এটি অনেকটা বিমান ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণের মতো।
কাজাখস্তানে ৭২ আরোহী নিয়ে আজারবাইজানের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, ২৭ জনকে জীবিত উদ্ধার