প্রথমবারের মতো সূর্যের সবথেকে কাছাকাছি পৌঁছে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পার্কার সোলার প্রোব।
কয়েকদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর সোলার প্রোব সূর্যপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৩৮ লাখ (৩.৮ মিলিয়ন) মাইলের মধ্যে পৌঁছে সংকেত পাঠিয়েছে। বাহনটি ১ হাজার ৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও বিকিরণ সহ্য করেও টিকে আছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, বিজ্ঞানীরা গ্রিনিচ মান সময় শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোর ৫টায় পার্কার সোলার প্রোব থেকে সংকেত পেয়েছেন। এর মাধ্যমে সূর্য নিয়ে মানুষের গবেষণা আর বোঝাপড়ার নতুন দিগন্ত খুলল।
নাসা বলছে, পার্কার সোলার প্রোব নিরাপদ এবং স্বাভাবিকভাবেই সূর্যপৃষ্ঠ থেকে ৩৮ লাখ মাইলের মধ্যে পৌঁছাতে পেরেছে। অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আর চরম বিকিরণ সহ্য করে ক্রিসমাসের প্রাক্কালে যানটি সূর্যের বায়ুম-লের বাইরের অংশে প্রবেশ করে।
সূর্যের কাছাকাছি চরম প্রতিকূল পরিবেশে ‘পার্কার সোলার প্রোব’ টিকে থাকবে কিনা, সেটি নিয়ে বিজ্ঞানীদের সংশয় ছিল। যদি সেটি টিকে থাকে, তবে গ্রিনিচ মান সময় ২৮ ডিসেম্বর ৫টায় সংকেত পাঠাবে বলে এর আগে জানিয়েছিল নাসা। নাসার বিজ্ঞানীরা অধীর ছিলেন ওই সংকেতের জন্য, আর একদিন আগে সেটি তারা পেলেন।
পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ৯ কোটি ৩০ লাখ মাইল বা ১৪ কোটি ৯০ লাখ কিলোমিটার। নাসার মহাকাশযানটি পৃথিবী থেকে সূর্যের দিকে ছুটে গেছে ঘণ্টায় ৪ লাখ ৩০ হাজার মাইল (৬৯২,০০০ কিলোমিটার) গতিতে। এই যাত্রায় সেটিকে ১৮ হাজার ফারেনহাইট (৯৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে হয়েছে।
সূর্যপৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রায় ৬,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও বেশি। কিন্তু সূর্যের বাইরের বায়ুম-লে থাকা করোনার এমনও কিছু অংশ রয়েছে, যেখানের তাপমাত্রা মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নাসা বলছে, সূর্য নিয়ে এই পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারবেন, সূর্যের বাইরের বায়ুম-লে তাপমাত্রা কেন ও কীভাবে মিলিয়ন ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যায়। সৌর বাতাসের উৎস সম্পর্কে ধারণার পাশাপাশি জ্বলন্ত কণাগুলো কীভাবে আলোকবর্ষের গতিতে ছুটে যায়, সে সম্পর্কেও ধারণা পাবেন বিজ্ঞানীরা।
নাসার প্রধান বিজ্ঞানী নিকোলা ফক্স বিবিসিকে বলেন, ‘শত শত বছর ধরে মানুষ সূর্য নিয়ে গবেষণা করেছে। কিন্তু কোনো জায়গার পরিবেশ আসলে কেমন, সেখানে না গেলে আপনি আসলে বুঝতে পারবেন না। সে কারণে আমরা সূর্যের বায়ুম-ল ঘুরে না আসা পর্যন্ত সে সম্পর্কে ধারণা করতে পারব না।’
পার্কার সোলার প্রোব ২০১৮ সালে সৌরজগতের কেন্দ্রভাগ অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। যানটি ইতোমধ্যে ২১বার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে এর আরও কাছাকাছি পৌঁছেছে। তবে এবার বড়দিনের আগে দিয়ে মহাকাশযানটির যাত্রা অভাবনীয়।
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রথমবারের মতো সূর্যের সবথেকে কাছাকাছি পৌঁছে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পার্কার সোলার প্রোব।
কয়েকদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর সোলার প্রোব সূর্যপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৩৮ লাখ (৩.৮ মিলিয়ন) মাইলের মধ্যে পৌঁছে সংকেত পাঠিয়েছে। বাহনটি ১ হাজার ৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও বিকিরণ সহ্য করেও টিকে আছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, বিজ্ঞানীরা গ্রিনিচ মান সময় শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোর ৫টায় পার্কার সোলার প্রোব থেকে সংকেত পেয়েছেন। এর মাধ্যমে সূর্য নিয়ে মানুষের গবেষণা আর বোঝাপড়ার নতুন দিগন্ত খুলল।
নাসা বলছে, পার্কার সোলার প্রোব নিরাপদ এবং স্বাভাবিকভাবেই সূর্যপৃষ্ঠ থেকে ৩৮ লাখ মাইলের মধ্যে পৌঁছাতে পেরেছে। অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আর চরম বিকিরণ সহ্য করে ক্রিসমাসের প্রাক্কালে যানটি সূর্যের বায়ুম-লের বাইরের অংশে প্রবেশ করে।
সূর্যের কাছাকাছি চরম প্রতিকূল পরিবেশে ‘পার্কার সোলার প্রোব’ টিকে থাকবে কিনা, সেটি নিয়ে বিজ্ঞানীদের সংশয় ছিল। যদি সেটি টিকে থাকে, তবে গ্রিনিচ মান সময় ২৮ ডিসেম্বর ৫টায় সংকেত পাঠাবে বলে এর আগে জানিয়েছিল নাসা। নাসার বিজ্ঞানীরা অধীর ছিলেন ওই সংকেতের জন্য, আর একদিন আগে সেটি তারা পেলেন।
পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ৯ কোটি ৩০ লাখ মাইল বা ১৪ কোটি ৯০ লাখ কিলোমিটার। নাসার মহাকাশযানটি পৃথিবী থেকে সূর্যের দিকে ছুটে গেছে ঘণ্টায় ৪ লাখ ৩০ হাজার মাইল (৬৯২,০০০ কিলোমিটার) গতিতে। এই যাত্রায় সেটিকে ১৮ হাজার ফারেনহাইট (৯৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে হয়েছে।
সূর্যপৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রায় ৬,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও বেশি। কিন্তু সূর্যের বাইরের বায়ুম-লে থাকা করোনার এমনও কিছু অংশ রয়েছে, যেখানের তাপমাত্রা মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নাসা বলছে, সূর্য নিয়ে এই পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারবেন, সূর্যের বাইরের বায়ুম-লে তাপমাত্রা কেন ও কীভাবে মিলিয়ন ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যায়। সৌর বাতাসের উৎস সম্পর্কে ধারণার পাশাপাশি জ্বলন্ত কণাগুলো কীভাবে আলোকবর্ষের গতিতে ছুটে যায়, সে সম্পর্কেও ধারণা পাবেন বিজ্ঞানীরা।
নাসার প্রধান বিজ্ঞানী নিকোলা ফক্স বিবিসিকে বলেন, ‘শত শত বছর ধরে মানুষ সূর্য নিয়ে গবেষণা করেছে। কিন্তু কোনো জায়গার পরিবেশ আসলে কেমন, সেখানে না গেলে আপনি আসলে বুঝতে পারবেন না। সে কারণে আমরা সূর্যের বায়ুম-ল ঘুরে না আসা পর্যন্ত সে সম্পর্কে ধারণা করতে পারব না।’
পার্কার সোলার প্রোব ২০১৮ সালে সৌরজগতের কেন্দ্রভাগ অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। যানটি ইতোমধ্যে ২১বার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে এর আরও কাছাকাছি পৌঁছেছে। তবে এবার বড়দিনের আগে দিয়ে মহাকাশযানটির যাত্রা অভাবনীয়।