দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানবন্দরে ১৮১ জন আরোহীসহ একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত বিমান থেকে এ পর্যন্ত কেবল ২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অন্তত ৯৬ জনের মৃত্যুর খবর দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। অনেকেই বাকী সবার মৃত্যুর শংকা করছে।
দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের দেওয়ালের সাথে সংঘর্ষ হয় বিমানটির। এসময় বিমানটিতে মোট ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয় জন ক্রু ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, উড়োজাহাজের আরোহীদের মধ্যে দুজন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে।
ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর বলছে, ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা দুজন ছাড়া আরোহী সকলেই মারা গেছেন বলে সবার আশংকা।
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ বলছে, দেশটির অগ্নিনির্বাপক কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে- বোয়িং ৭৩৭ ফ্লাইটটিতে থাকা দুজন ছাড়া বাকি সকলেই নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ এই দুর্ঘটনাটিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান বিপর্যয়গুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করা হচ্ছে।
রোববার সকালে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে জেজু এয়ারের ৭সি২২১৬ ফ্লাইটটি ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু নিয়ে দেশের দক্ষিণে সিউল থেকে প্রায় ২৮৮ মাইল দূরে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নেমে আসার পর বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োহাজটি রানওয়ে থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিমানবন্দরের দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং অগ্নিগোলকে পরিণত হয়।বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ফ্লাইট ৭সি২২১৬ এর আরোহীদের মধ্যে ১৭৩ জনই ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক, বাকি দুজন থাই।
দুর্ঘটনার পর দুই জনকে জীবিত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা ইয়োনহাপ। উদ্ধারকৃত ওই দুই ব্যক্তির একজন যাত্রী এবং অন্য একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট বলে অন্য এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।
দ্য মিরর বলছে, ধ্বংসস্তূপ থেকে দুজনকে জীবিত টেনে বের করা সম্ভব হয়েছে। তবে দমকল কর্মীরা আরও লোককে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে লড়াই করছিল। বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানটি কার্যত বিস্ফোরিত হয়, এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং আগুন ধরে যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল ফায়ার এজেন্সি জানিয়েছে, পাখির আঘাতের কারণে বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে এবং ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, অবতরণের সময় মাটিতে চাকা না থাকায় বিমানটি রানওয়েতে পিছলে যাচ্ছিল।
দুর্ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে টুইন-ইঞ্জিন এই প্লেনটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি দেওয়ালে বিধ্বস্ত হতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
এরপর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে আকাশে বিশাল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠেতে দেখা যায়। দুর্ঘটনার পর ছড়িয়ে পড়া এসব ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, প্লেনের কিছু অংশে আগুন লেগেছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে ‘বেলি ল্যান্ডিং’ (বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার সম্পূর্ণভাবে প্রসারিত না করে) অবতরণ করার চেষ্টা করেছে। পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানবন্দরে ১৮১ জন আরোহীসহ একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত বিমান থেকে এ পর্যন্ত কেবল ২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অন্তত ৯৬ জনের মৃত্যুর খবর দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। অনেকেই বাকী সবার মৃত্যুর শংকা করছে।
দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের দেওয়ালের সাথে সংঘর্ষ হয় বিমানটির। এসময় বিমানটিতে মোট ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয় জন ক্রু ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, উড়োজাহাজের আরোহীদের মধ্যে দুজন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে।
ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর বলছে, ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা দুজন ছাড়া আরোহী সকলেই মারা গেছেন বলে সবার আশংকা।
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ বলছে, দেশটির অগ্নিনির্বাপক কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে- বোয়িং ৭৩৭ ফ্লাইটটিতে থাকা দুজন ছাড়া বাকি সকলেই নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ এই দুর্ঘটনাটিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান বিপর্যয়গুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করা হচ্ছে।
রোববার সকালে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে জেজু এয়ারের ৭সি২২১৬ ফ্লাইটটি ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু নিয়ে দেশের দক্ষিণে সিউল থেকে প্রায় ২৮৮ মাইল দূরে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নেমে আসার পর বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োহাজটি রানওয়ে থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিমানবন্দরের দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং অগ্নিগোলকে পরিণত হয়।বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ফ্লাইট ৭সি২২১৬ এর আরোহীদের মধ্যে ১৭৩ জনই ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক, বাকি দুজন থাই।
দুর্ঘটনার পর দুই জনকে জীবিত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা ইয়োনহাপ। উদ্ধারকৃত ওই দুই ব্যক্তির একজন যাত্রী এবং অন্য একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট বলে অন্য এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।
দ্য মিরর বলছে, ধ্বংসস্তূপ থেকে দুজনকে জীবিত টেনে বের করা সম্ভব হয়েছে। তবে দমকল কর্মীরা আরও লোককে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে লড়াই করছিল। বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানটি কার্যত বিস্ফোরিত হয়, এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং আগুন ধরে যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল ফায়ার এজেন্সি জানিয়েছে, পাখির আঘাতের কারণে বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে এবং ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, অবতরণের সময় মাটিতে চাকা না থাকায় বিমানটি রানওয়েতে পিছলে যাচ্ছিল।
দুর্ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে টুইন-ইঞ্জিন এই প্লেনটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি দেওয়ালে বিধ্বস্ত হতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
এরপর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে আকাশে বিশাল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠেতে দেখা যায়। দুর্ঘটনার পর ছড়িয়ে পড়া এসব ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, প্লেনের কিছু অংশে আগুন লেগেছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে ‘বেলি ল্যান্ডিং’ (বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার সম্পূর্ণভাবে প্রসারিত না করে) অবতরণ করার চেষ্টা করেছে। পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।