দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন। প্রাণে বেঁচে গেছেন দুজন ফ্লাইট ক্রু। দেশটির জিওলা প্রদেশের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে বেরিয়ে বিমানবন্দরের দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং অগ্নিগোলকে পরিণত হয়। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন যে, পাখির আঘাত ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্লাইট ৭-সি২২১৬ এর ১৭৫ আরোহীদের মধ্যে ১৭৩ জনই ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। বাকি দুজন ২২ ও ৪৫ বছর বয়সী থাই নারী। জেজু এয়ারের ওই ফ্লাইটে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু ছিলেন। তাদের মধ্যে কেবল দুজন বিমান কর্মীকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। নিহত ১৭৯ জনের মধ্য ৮৫ নারী, ৮৪ পুরুষ রয়েছেন। তবে ১০ জনের লিঙ্গ শনাক্ত করা যায়নি বলে নিশ্চিত করেছে ন্যাশনাল ফায়ার এজেন্সি।
থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে এসে স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৯টার দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনায় পড়ে। অবতরণের সময় পাখির সঙ্গে সংঘর্ষে উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ারে জটিলতা তৈরি হয়। চাকা না খোলায় অবতরণের পর বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি রানওয়েতে ছেঁচড়ে গিয়ে বিমানবন্দরের দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং অগ্নিগোলকে পরিণত হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থার বরাতে রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। অগ্নিনির্বাপক সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এ পর্যন্ত দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে’। মুয়ান বিমানবন্দর রাজধানী সিউল থেকে ২৮৮ কিলোমিটার দূরে। দুর্ঘটনার পর সেখানে সব ধরনের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি লিখেছে, উড়োজাহাজটি বিমানবন্দরে অবতরণের প্রস্তুতি নেয়ার সময় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের সতর্কবার্তা দেয়া হয়। ফলে পাইলট না নেমে আকাশে ভেসে থাকতে বাধ্য হন। দুই মিনিট পর পাইলট ‘মে ডে’ ঘোষণা করলে (বিপদে পড়ার সংকেত) এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল অবতরণের অনুমতি দেয়। উড়োজাহাজটি উল্টো দিক থেকে রানওয়েতে নেমে এলেও ল্যান্ডিং গিয়ার কাজ না করায় চাকা ছাড়াই সেটি নেমে আসে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, জোড়া ইঞ্জিনের উড়োজাহাজটি চাকা ছাড়াই রানওয়ে দিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত ছেঁচড়ে যায়, তারপর রানওয়ে থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিমানবন্দরের দেয়ালে ধাক্কা খায়। সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণে উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায় ও এর ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন দিকে।
মুয়ানের ফায়ার সার্ভিস প্রধান লি জুং-হিউন বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর কেবল লেজের কিছুটা অংশ আস্ত আছে, বাকি অংশ আর চেনার উপায় নেই।’ উদ্ধার কাজে সেনাসদস্যসহ কয়েকশ’ অগ্নিনির্বাপণ ও অন্যান্য জরুরি বিভাগের কর্মীরা অংশ নিয়েছেন। দেশটি ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট দুর্ঘটনাস্থলকে বিশেষ দুর্যোগ এলাকা ঘোষণা করেছেন। কর্তৃপক্ষগুলো জানিয়েছে, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা মুয়ান বিমানবন্দরের প্রথম তলায় অপেক্ষা করছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পাখির আঘাতের ত্রুটি নিয়ে উড়োজাহাজটি যেভাবে অবতরণ করার চেষ্টা করেছিল, তা উত্তরের চেয়ে বেশি প্রশ্ন তুলছে। এয়ারলাইন নিউজের সম্পাদক জিওফ্রে থমাস বলেছেন, ‘পাখির আঘাত অস্বাভাবিক নয়, একটি আন্ডারক্যারেজ সমস্যা। পাখির আঘাত অনেকই ঘটে, তবে সাধারণত পাখিরা একটি উড়োজাহাজের ক্ষতির কারণ হয় না।’
গ্লোবাল এভিয়েশনের নীতি অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার এই বিমান দুর্ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হবে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ডকে সঙ্গে নিয়ে উড়োজাহাজটির ডিজাইন ও নির্মাণ নিয়ে তদন্ত করবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বোয়িং কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের এভিয়েশন খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাৎক্ষণিকভাবে এ দুর্ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। জেজু এয়ারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তারা দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখছেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। এ দুর্ঘটনায় ‘ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারের কাছে মাথা নত করে ক্ষমা’ চেয়েছে ও দুঃখ প্রকাশ করেছে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি লিখেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার উড়োজাহাজ চলাচলের নিরাপত্তায় বেশ সুনাম রয়েছে। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জেজু এয়ার দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম শীর্ষ বাজেট এয়ারলাইন। তাদের কোনো উড়োজাহাজ এই প্রথম প্রাণঘাতী দুর্ঘটনায় পড়ল। দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজটি ২০০৯ সালে তৈরি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবহন মন্ত্রী।
এর আগে, জেজু এয়ারের বোম্বার্ডিয়ার কিউ-৪০০ মডেলের একটি উড়োজাহাজ ৭৪ যাত্রী নিয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়েছিল। প্রবল বাতাস ছিল এ দুর্ঘটনার কারণ। দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের বুসান-গিমহে বিমানবন্দরে ২০০৭ সালের ১২ আগস্টের এই দুর্ঘটনায় অনেকে আহত হলেও কেউ নিহত হননি।
দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালে গুয়ামে কোরিয়ান এয়ার দুর্ঘটনায় দুই শতাধিক লোকের প্রাণহানির পর এটিই দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশ পরিবহন খাতে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা।
এমন এক সময়ে এই দুর্ঘটনা ঘটল, যখন দক্ষিণ কোরিয়া ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। একমাসের মধ্যে দেশটি তিনজন প্রেসিডেন্ট দেখল। নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সুং-মককে দায়িত্ব নেয়ার দুইদিনের মাথায় এই সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে। উদ্ধার অভিযান ও অন্যান্য করণীয় নিয়ে আলোচনা করতে তিনি এরই মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেছেন এবং দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘোষণা করা হয়েছে সাত দিনের শোক। এ সময় সরকারি অফিসে পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং সরকারি কর্মচারীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।
সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন। প্রাণে বেঁচে গেছেন দুজন ফ্লাইট ক্রু। দেশটির জিওলা প্রদেশের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে বেরিয়ে বিমানবন্দরের দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং অগ্নিগোলকে পরিণত হয়। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন যে, পাখির আঘাত ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্লাইট ৭-সি২২১৬ এর ১৭৫ আরোহীদের মধ্যে ১৭৩ জনই ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। বাকি দুজন ২২ ও ৪৫ বছর বয়সী থাই নারী। জেজু এয়ারের ওই ফ্লাইটে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু ছিলেন। তাদের মধ্যে কেবল দুজন বিমান কর্মীকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। নিহত ১৭৯ জনের মধ্য ৮৫ নারী, ৮৪ পুরুষ রয়েছেন। তবে ১০ জনের লিঙ্গ শনাক্ত করা যায়নি বলে নিশ্চিত করেছে ন্যাশনাল ফায়ার এজেন্সি।
থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে এসে স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৯টার দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনায় পড়ে। অবতরণের সময় পাখির সঙ্গে সংঘর্ষে উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ারে জটিলতা তৈরি হয়। চাকা না খোলায় অবতরণের পর বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি রানওয়েতে ছেঁচড়ে গিয়ে বিমানবন্দরের দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং অগ্নিগোলকে পরিণত হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থার বরাতে রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। অগ্নিনির্বাপক সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এ পর্যন্ত দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে’। মুয়ান বিমানবন্দর রাজধানী সিউল থেকে ২৮৮ কিলোমিটার দূরে। দুর্ঘটনার পর সেখানে সব ধরনের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি লিখেছে, উড়োজাহাজটি বিমানবন্দরে অবতরণের প্রস্তুতি নেয়ার সময় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের সতর্কবার্তা দেয়া হয়। ফলে পাইলট না নেমে আকাশে ভেসে থাকতে বাধ্য হন। দুই মিনিট পর পাইলট ‘মে ডে’ ঘোষণা করলে (বিপদে পড়ার সংকেত) এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল অবতরণের অনুমতি দেয়। উড়োজাহাজটি উল্টো দিক থেকে রানওয়েতে নেমে এলেও ল্যান্ডিং গিয়ার কাজ না করায় চাকা ছাড়াই সেটি নেমে আসে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, জোড়া ইঞ্জিনের উড়োজাহাজটি চাকা ছাড়াই রানওয়ে দিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত ছেঁচড়ে যায়, তারপর রানওয়ে থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিমানবন্দরের দেয়ালে ধাক্কা খায়। সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণে উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায় ও এর ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন দিকে।
মুয়ানের ফায়ার সার্ভিস প্রধান লি জুং-হিউন বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর কেবল লেজের কিছুটা অংশ আস্ত আছে, বাকি অংশ আর চেনার উপায় নেই।’ উদ্ধার কাজে সেনাসদস্যসহ কয়েকশ’ অগ্নিনির্বাপণ ও অন্যান্য জরুরি বিভাগের কর্মীরা অংশ নিয়েছেন। দেশটি ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট দুর্ঘটনাস্থলকে বিশেষ দুর্যোগ এলাকা ঘোষণা করেছেন। কর্তৃপক্ষগুলো জানিয়েছে, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা মুয়ান বিমানবন্দরের প্রথম তলায় অপেক্ষা করছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পাখির আঘাতের ত্রুটি নিয়ে উড়োজাহাজটি যেভাবে অবতরণ করার চেষ্টা করেছিল, তা উত্তরের চেয়ে বেশি প্রশ্ন তুলছে। এয়ারলাইন নিউজের সম্পাদক জিওফ্রে থমাস বলেছেন, ‘পাখির আঘাত অস্বাভাবিক নয়, একটি আন্ডারক্যারেজ সমস্যা। পাখির আঘাত অনেকই ঘটে, তবে সাধারণত পাখিরা একটি উড়োজাহাজের ক্ষতির কারণ হয় না।’
গ্লোবাল এভিয়েশনের নীতি অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার এই বিমান দুর্ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হবে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ডকে সঙ্গে নিয়ে উড়োজাহাজটির ডিজাইন ও নির্মাণ নিয়ে তদন্ত করবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বোয়িং কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের এভিয়েশন খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাৎক্ষণিকভাবে এ দুর্ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। জেজু এয়ারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তারা দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখছেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। এ দুর্ঘটনায় ‘ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারের কাছে মাথা নত করে ক্ষমা’ চেয়েছে ও দুঃখ প্রকাশ করেছে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি লিখেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার উড়োজাহাজ চলাচলের নিরাপত্তায় বেশ সুনাম রয়েছে। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জেজু এয়ার দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম শীর্ষ বাজেট এয়ারলাইন। তাদের কোনো উড়োজাহাজ এই প্রথম প্রাণঘাতী দুর্ঘটনায় পড়ল। দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজটি ২০০৯ সালে তৈরি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবহন মন্ত্রী।
এর আগে, জেজু এয়ারের বোম্বার্ডিয়ার কিউ-৪০০ মডেলের একটি উড়োজাহাজ ৭৪ যাত্রী নিয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়েছিল। প্রবল বাতাস ছিল এ দুর্ঘটনার কারণ। দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের বুসান-গিমহে বিমানবন্দরে ২০০৭ সালের ১২ আগস্টের এই দুর্ঘটনায় অনেকে আহত হলেও কেউ নিহত হননি।
দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালে গুয়ামে কোরিয়ান এয়ার দুর্ঘটনায় দুই শতাধিক লোকের প্রাণহানির পর এটিই দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশ পরিবহন খাতে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা।
এমন এক সময়ে এই দুর্ঘটনা ঘটল, যখন দক্ষিণ কোরিয়া ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। একমাসের মধ্যে দেশটি তিনজন প্রেসিডেন্ট দেখল। নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সুং-মককে দায়িত্ব নেয়ার দুইদিনের মাথায় এই সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে। উদ্ধার অভিযান ও অন্যান্য করণীয় নিয়ে আলোচনা করতে তিনি এরই মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেছেন এবং দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘোষণা করা হয়েছে সাত দিনের শোক। এ সময় সরকারি অফিসে পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং সরকারি কর্মচারীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।