প্রথম ধাপে ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মি ও এক হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তির প্রস্তুতি
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘ ১৫ মাস পর গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির প্রথম ধাপে হামাসের হাতে বন্দি থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে, আর ইসরায়েল পাল্টা প্রতিশ্রুতিতে প্রায় এক হাজার ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দেবে। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মাধ্যমে গাজাযুদ্ধের অবসান ঘটানোর লক্ষ্য নিয়েই এ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
কাতারের মধ্যস্থতায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চুক্তির আওতায় প্রথম ধাপে আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এই ধাপ ৪২ দিনব্যাপী চলবে এবং পরবর্তী ধাপগুলোতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জসিম আল-থানি বলেছেন, চুক্তির প্রথম ধাপে নারী, শিশু, বয়স্ক এবং আহত বেসামরিক লোকদের অগ্রাধিকার দিয়ে মুক্তি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “এটি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রূপান্তরিত করার প্রচেষ্টা চালানো হবে।”
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সরকারি মুখপাত্র ডেভিড মেনসার জানিয়েছেন, ৩৩ জন জিম্মির বিনিময়ে তারা কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। যদিও চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ভর করছে মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের জীবিত অবস্থার ওপর।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,২১০ জন নিহত হন এবং ২৪১ জনকে গাজায় জিম্মি করা হয়। এর মধ্যে ৩৪ জনকে মৃত ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। বাকি ৯৪ জন এখনও বন্দি অবস্থায় আছেন। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, এদের মধ্যে ৩৩ জন জীবিত।
হামলার পর থেকেই ইসরায়েল গাজায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে এ পর্যন্ত ৪৬,৭০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী চুক্তির প্রথম ধাপে গাজা থেকে প্রত্যাহার করা হবে। তবে তারা সীমান্তের কাছে অবস্থান করবে এবং বন্দিবিনিময় ও বাস্তুচ্যুত মানুষের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে।
হামাসঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার ৮০০ মিটার ভেতরে সীমাবদ্ধ থাকবে। এছাড়া, গাজার দক্ষিণ থেকে উত্তরে বাস্তুচ্যুত মানুষদের ফিরিয়ে আনার সুযোগ দেওয়া হবে।
প্রথম ধাপ কার্যকর হওয়ার ১৬তম দিনে দ্বিতীয় ধাপের জন্য আলোচনা শুরু হবে। এ ধাপে বাকি জিম্মিদের মুক্তি এবং নিহত জিম্মিদের মৃতদেহ ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হবে।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার চুক্তি বাস্তবায়ন তদারকি করতে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের একটি প্রতিনিধি পর্ষদ গাজায় কাজ করবে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বলেছেন, “আমরা আশা করি, এটাই যুদ্ধের শেষ অধ্যায় হবে। একই সঙ্গে সব পক্ষ চুক্তির শর্ত পূরণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।”
চুক্তির মাধ্যমে গাজার বাসিন্দারা তাদের স্থান পুনরুদ্ধার এবং সহিংসতা থেকে মুক্তি পাবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে এটি কতটা স্থায়ী হবে, তা নির্ভর করবে চুক্তির সফল বাস্তবায়ন ও ভবিষ্যৎ আলোচনার ওপর।
প্রথম ধাপে ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মি ও এক হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তির প্রস্তুতি
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘ ১৫ মাস পর গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির প্রথম ধাপে হামাসের হাতে বন্দি থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে, আর ইসরায়েল পাল্টা প্রতিশ্রুতিতে প্রায় এক হাজার ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দেবে। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মাধ্যমে গাজাযুদ্ধের অবসান ঘটানোর লক্ষ্য নিয়েই এ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
কাতারের মধ্যস্থতায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চুক্তির আওতায় প্রথম ধাপে আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এই ধাপ ৪২ দিনব্যাপী চলবে এবং পরবর্তী ধাপগুলোতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জসিম আল-থানি বলেছেন, চুক্তির প্রথম ধাপে নারী, শিশু, বয়স্ক এবং আহত বেসামরিক লোকদের অগ্রাধিকার দিয়ে মুক্তি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “এটি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রূপান্তরিত করার প্রচেষ্টা চালানো হবে।”
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সরকারি মুখপাত্র ডেভিড মেনসার জানিয়েছেন, ৩৩ জন জিম্মির বিনিময়ে তারা কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। যদিও চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ভর করছে মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের জীবিত অবস্থার ওপর।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,২১০ জন নিহত হন এবং ২৪১ জনকে গাজায় জিম্মি করা হয়। এর মধ্যে ৩৪ জনকে মৃত ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। বাকি ৯৪ জন এখনও বন্দি অবস্থায় আছেন। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, এদের মধ্যে ৩৩ জন জীবিত।
হামলার পর থেকেই ইসরায়েল গাজায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে এ পর্যন্ত ৪৬,৭০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী চুক্তির প্রথম ধাপে গাজা থেকে প্রত্যাহার করা হবে। তবে তারা সীমান্তের কাছে অবস্থান করবে এবং বন্দিবিনিময় ও বাস্তুচ্যুত মানুষের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে।
হামাসঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার ৮০০ মিটার ভেতরে সীমাবদ্ধ থাকবে। এছাড়া, গাজার দক্ষিণ থেকে উত্তরে বাস্তুচ্যুত মানুষদের ফিরিয়ে আনার সুযোগ দেওয়া হবে।
প্রথম ধাপ কার্যকর হওয়ার ১৬তম দিনে দ্বিতীয় ধাপের জন্য আলোচনা শুরু হবে। এ ধাপে বাকি জিম্মিদের মুক্তি এবং নিহত জিম্মিদের মৃতদেহ ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হবে।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার চুক্তি বাস্তবায়ন তদারকি করতে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের একটি প্রতিনিধি পর্ষদ গাজায় কাজ করবে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বলেছেন, “আমরা আশা করি, এটাই যুদ্ধের শেষ অধ্যায় হবে। একই সঙ্গে সব পক্ষ চুক্তির শর্ত পূরণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।”
চুক্তির মাধ্যমে গাজার বাসিন্দারা তাদের স্থান পুনরুদ্ধার এবং সহিংসতা থেকে মুক্তি পাবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে এটি কতটা স্থায়ী হবে, তা নির্ভর করবে চুক্তির সফল বাস্তবায়ন ও ভবিষ্যৎ আলোচনার ওপর।