দীর্ঘ ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে আগামী রোববার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে।
নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, পূর্ণ মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হবে। তবে তিনি এটাও স্বীকার করেন যে, এই চুক্তি ইসরায়েলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসবে।
যদি এই চুক্তি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়, তবে গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত জনগণের জন্য এটি কিছুটা স্বস্তি বয়ে আনবে। সংঘাতের কারণে ইতোমধ্যেই গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে অধিকাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিতিশীলতা কমতে পারে। কারণ, গাজা যুদ্ধ ঘিরেই ইসরায়েল লেবানন, ইয়েমেন ও ইরাকে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে।
তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন
চুক্তিটি তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রথম ধাপে (৬ সপ্তাহ) হামাস ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। এর বদলে ইসরায়েল নিজেদের কারাগারে আটক ১৯ বছরের কম বয়সী নারী ও শিশু ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দেবে। পাশাপাশি, ইসরায়েলি বাহিনীর একটি অংশ গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
দ্বিতীয় ধাপে হামাস বাকি জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেবে। এর বদলে ইসরায়েল আরও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেবে এবং গাজা থেকে সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করবে।
তৃতীয় ও চুক্তির শেষ ধাপে মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে। একই সঙ্গে, গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে।
যদিও সরকারের বেশির ভাগ সদস্য চুক্তির পক্ষে ভোট দিয়েছেন, তবে ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী নেতারা এতে আপত্তি তুলেছেন। জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মরিচ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, যদি চুক্তি কার্যকর করা হয়, তবে তারা সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন।
এমনকি চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে গিয়ে একদিন দেরি হয়েছে, কারণ ইসরায়েল দাবি করেছিল যে, হামাস তাদের কিছু শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১,২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫০ জনকে জিম্মি নেয়। ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাসের কাছে এখনো ৯৮ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে, জীবিত বা মৃত অবস্থায়।
এর ফলে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪৬,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,১০,০০০-এর বেশি আহত হয়েছে।
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
দীর্ঘ ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে আগামী রোববার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে।
নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, পূর্ণ মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হবে। তবে তিনি এটাও স্বীকার করেন যে, এই চুক্তি ইসরায়েলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসবে।
যদি এই চুক্তি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়, তবে গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত জনগণের জন্য এটি কিছুটা স্বস্তি বয়ে আনবে। সংঘাতের কারণে ইতোমধ্যেই গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে অধিকাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিতিশীলতা কমতে পারে। কারণ, গাজা যুদ্ধ ঘিরেই ইসরায়েল লেবানন, ইয়েমেন ও ইরাকে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে।
তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন
চুক্তিটি তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রথম ধাপে (৬ সপ্তাহ) হামাস ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। এর বদলে ইসরায়েল নিজেদের কারাগারে আটক ১৯ বছরের কম বয়সী নারী ও শিশু ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দেবে। পাশাপাশি, ইসরায়েলি বাহিনীর একটি অংশ গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
দ্বিতীয় ধাপে হামাস বাকি জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেবে। এর বদলে ইসরায়েল আরও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেবে এবং গাজা থেকে সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করবে।
তৃতীয় ও চুক্তির শেষ ধাপে মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে। একই সঙ্গে, গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে।
যদিও সরকারের বেশির ভাগ সদস্য চুক্তির পক্ষে ভোট দিয়েছেন, তবে ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী নেতারা এতে আপত্তি তুলেছেন। জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মরিচ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, যদি চুক্তি কার্যকর করা হয়, তবে তারা সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন।
এমনকি চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে গিয়ে একদিন দেরি হয়েছে, কারণ ইসরায়েল দাবি করেছিল যে, হামাস তাদের কিছু শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১,২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫০ জনকে জিম্মি নেয়। ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাসের কাছে এখনো ৯৮ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে, জীবিত বা মৃত অবস্থায়।
এর ফলে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪৬,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,১০,০০০-এর বেশি আহত হয়েছে।