alt

আন্তর্জাতিক

শুরুতে হম্বিতম্বি, এখন চীনের প্রতি নরম সুর ট্রাম্পের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবেন বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তার বক্তব্য এবং সিদ্ধান্তে কিছুটা নমনীয়তার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা চীনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই, চীনের সঙ্গে ভালোভাবে চলতে চাই।’ তার এই মন্তব্যে ইঙ্গিত মিলছে যে, বেইজিং হয়তো ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি এবং পরমাণু অস্ত্র কমানোর ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারে।

প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে কঠোর বাণিজ্য নীতি গ্রহণ করেছিলেন এবং চড়া শুল্ক আরোপ করেছিলেন। এবারের নির্বাচনী প্রচারের সময়ও তিনি চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত চীনের বিরুদ্ধে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথাই বলছেন, যা মূলত চীনে উৎপাদিত ফেন্টানাইল সংশ্লিষ্ট রাসায়নিকের প্রতিক্রিয়ায় নেওয়া হতে পারে।

তবে চীনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

চীনা বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্পের এই অবস্থানকে বাস্তবসম্মত হিসেবে দেখছেন। যুক্তরাষ্ট্রে কার্টার সেন্টারের চীনা উপদেষ্টা লিউ ইয়াওয়েই বলেছেন, নির্বাচনের সময় থেকে অভিষেক পর্যন্ত ট্রাম্পের অবস্থান অনেকটাই ইতিবাচক মনে হচ্ছে, যা অনেকের প্রত্যাশার চেয়ে ভালো।

প্রথম মেয়াদে বন্ধুত্বের পর শীতল সম্পর্ক

২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানান ট্রাম্প। পরে নিজেও বেইজিং সফরও করেন। তবে ২০১৮ সালে তিনি চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেন, যা দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।

এরপর কোভিড-১৯ মহামারি এবং তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে। জো বাইডেনের প্রশাসনও চীনের বিরুদ্ধে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে এবং মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে কৌশলগত জোট গঠন করে চীনের প্রভাব মোকাবিলার চেষ্টা চালায়।

রুবিওর কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ

দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। চীনের প্রতি বরাবরই কঠোর মনোভাব পোষণকারী রুবিও বলেছেন, চীন আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী, তারা প্রতারণা করে, সাইবার হামলা চালায় এবং আমাদের কাছ থেকে প্রযুক্তি চুরি করে নিজেদের সুপার পাওয়ার বানিয়েছে।

তবে তিনি স্বীকার করেছেন, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক যোগাযোগ রাখা গুরুত্বপূর্ণ। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই রুবিও অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বাইডেন প্রশাসনের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল ট্রাম্পের আমলেও বজায় থাকবে।

চীনের কৌশলগত প্রস্তুতি

বেইজিং ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের সুযোগ খুঁজছে; পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য উত্তেজনার জন্যেও প্রস্তুতি নিচ্ছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ থেকে শিক্ষা নিয়ে চীন এমন আইন পাস করেছে, যা প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হবে।

হাডসন ইনস্টিটিউটের চীন কেন্দ্রের পরিচালক মাইলস ইউ বলেন, ট্রাম্প এখন আরও সূক্ষ্ম এবং কৌশলীভাবে চীনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব বজায় রাখতে চান, কিন্তু অপ্রয়োজনীয় সংঘাত চান না।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে ভবিষ্যতে বৈঠক হতে পারে, যা দুই দেশের সম্পর্ক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চীন এরই মধ্যে টিকটকের ভবিষ্যৎ নিয়ে নমনীয় মনোভাব দেখিয়েছে, যা বেইজিংয়ের কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ হতে পারে।

তবে চীন জানে, ট্রাম্প যে কোনো সময় কঠোর নীতি গ্রহণ করতে পারেন। তাই বেইজিং যেমন ইতিবাচক সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতিও রাখছে।

সূত্র: এপি

ছবি

মায়ানমারে জান্তার নির্বাচন পরিকল্পনা: গৃহযুদ্ধের মধ্যে সহিংসতার শঙ্কা

ছবি

ওয়াশিংটনে মাঝ আকাশে বিমানের সংঘর্ষ: যা যা জানা গেল

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে হেলিকপ্টারের সঙ্গে বিমানের সংঘর্ষ, ১৮ মরদেহ উদ্ধার

ছবি

গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার

ছবি

ওয়াশিংটনে মাঝ আকাশে হেলিকপ্টারের সঙ্গে যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষ

ছবি

মহাকুম্ভ মেলায় পদদলনের শিকার হয়ে নিহত অন্তত ৭

ছবি

ক্ষমতায় এসেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি নেতানিয়াহুকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানালেন ট্রাম্প

ছবি

ইউরোপ থেকে পণ্য সরিয়ে নিচ্ছে কোকা-কোলা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন বিরোধী অভিযান, একদিনে গ্রেফতার ৯৫৬

ছবি

সহায়তা বন্ধের পর এবার নিশানায় ইউএসএইডের ৬০ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা

ছবি

কলম্বিয়া মেনে নিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে অভিবাসী প্রত্যাবাসন পরিকল্পনা

ছবি

নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহত ১৮

ছবি

গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলছে একের পর এক লাশ, নিহত ছাড়াল ৪৭ হাজার ৩০০

ছবি

কলম্বিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রিতে নতুন রেকর্ড, নেপথ্যে ২ যুদ্ধ

ছবি

কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ, ১৩ শান্তিরক্ষী নিহত

ছবি

হামাসের মুক্তি দেওয়া ৪ নারী সেনা ইসরায়েলে, পাল্টা মুক্তি পাচ্ছে ২০০ ফিলিস্তিনি

ছবি

আগামী দশকে বিশ্বের পাঁচজন হবেন ট্রিলিয়নেয়ার

ছবি

ভাইস প্রেসিডেন্টের টাই-ব্রেকিং ভোটে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হলেন পিট হেগসেথ

ছবি

বিদেশে প্রায় সব সহায়তা স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা

ছবি

রাশিয়ার তেল শোধনাগারে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা

ছবি

মার্কিন কোম্পানি আর্জেন্ট থেকে এলএনজি কেনার চুক্তি করলো বাংলাদেশ

ছবি

অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে নথিপত্রহীন পাঁচ শতাধিক অভিবাসী গ্রেপ্তার: হোয়াইট হাউস

ছবি

ভারতে অস্ত্র কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৮

ছবি

বাংলাদেশ নিয়ে এখন কোনো বক্তব্য দেবো না: অমর্ত্য সেন

ছবি

২০২৬ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়বে যুক্তরাষ্ট্র, নিশ্চিত করল জাতিসংঘ

ছবি

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দায়িত্বে কে এই প্যাট্রিক কেনেডি

ছবি

বাংলাদেশে আসছে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট

ছবি

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের হুমকিতে নতুন কিছু নেই, বলছে রাশিয়া

ছবি

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে ট্রাম্পের আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত

ছবি

ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প-মোদী বৈঠকের সম্ভাবনা

ছবি

ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব সৌদি আরবের

ছবি

থাইল্যান্ডে সমলিঙ্গের বিয়ের বৈধতা

ছবি

নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কী কথা হলো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওর

tab

আন্তর্জাতিক

শুরুতে হম্বিতম্বি, এখন চীনের প্রতি নরম সুর ট্রাম্পের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবেন বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তার বক্তব্য এবং সিদ্ধান্তে কিছুটা নমনীয়তার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা চীনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই, চীনের সঙ্গে ভালোভাবে চলতে চাই।’ তার এই মন্তব্যে ইঙ্গিত মিলছে যে, বেইজিং হয়তো ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি এবং পরমাণু অস্ত্র কমানোর ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারে।

প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে কঠোর বাণিজ্য নীতি গ্রহণ করেছিলেন এবং চড়া শুল্ক আরোপ করেছিলেন। এবারের নির্বাচনী প্রচারের সময়ও তিনি চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত চীনের বিরুদ্ধে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথাই বলছেন, যা মূলত চীনে উৎপাদিত ফেন্টানাইল সংশ্লিষ্ট রাসায়নিকের প্রতিক্রিয়ায় নেওয়া হতে পারে।

তবে চীনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

চীনা বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্পের এই অবস্থানকে বাস্তবসম্মত হিসেবে দেখছেন। যুক্তরাষ্ট্রে কার্টার সেন্টারের চীনা উপদেষ্টা লিউ ইয়াওয়েই বলেছেন, নির্বাচনের সময় থেকে অভিষেক পর্যন্ত ট্রাম্পের অবস্থান অনেকটাই ইতিবাচক মনে হচ্ছে, যা অনেকের প্রত্যাশার চেয়ে ভালো।

প্রথম মেয়াদে বন্ধুত্বের পর শীতল সম্পর্ক

২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানান ট্রাম্প। পরে নিজেও বেইজিং সফরও করেন। তবে ২০১৮ সালে তিনি চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেন, যা দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।

এরপর কোভিড-১৯ মহামারি এবং তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে। জো বাইডেনের প্রশাসনও চীনের বিরুদ্ধে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে এবং মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে কৌশলগত জোট গঠন করে চীনের প্রভাব মোকাবিলার চেষ্টা চালায়।

রুবিওর কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ

দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। চীনের প্রতি বরাবরই কঠোর মনোভাব পোষণকারী রুবিও বলেছেন, চীন আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী, তারা প্রতারণা করে, সাইবার হামলা চালায় এবং আমাদের কাছ থেকে প্রযুক্তি চুরি করে নিজেদের সুপার পাওয়ার বানিয়েছে।

তবে তিনি স্বীকার করেছেন, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক যোগাযোগ রাখা গুরুত্বপূর্ণ। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই রুবিও অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বাইডেন প্রশাসনের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল ট্রাম্পের আমলেও বজায় থাকবে।

চীনের কৌশলগত প্রস্তুতি

বেইজিং ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের সুযোগ খুঁজছে; পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য উত্তেজনার জন্যেও প্রস্তুতি নিচ্ছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ থেকে শিক্ষা নিয়ে চীন এমন আইন পাস করেছে, যা প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হবে।

হাডসন ইনস্টিটিউটের চীন কেন্দ্রের পরিচালক মাইলস ইউ বলেন, ট্রাম্প এখন আরও সূক্ষ্ম এবং কৌশলীভাবে চীনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব বজায় রাখতে চান, কিন্তু অপ্রয়োজনীয় সংঘাত চান না।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে ভবিষ্যতে বৈঠক হতে পারে, যা দুই দেশের সম্পর্ক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চীন এরই মধ্যে টিকটকের ভবিষ্যৎ নিয়ে নমনীয় মনোভাব দেখিয়েছে, যা বেইজিংয়ের কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ হতে পারে।

তবে চীন জানে, ট্রাম্প যে কোনো সময় কঠোর নীতি গ্রহণ করতে পারেন। তাই বেইজিং যেমন ইতিবাচক সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতিও রাখছে।

সূত্র: এপি

back to top