ভারতের রাজধানী দিল্লির নিউ দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে দুটি ট্রেনের দেরির কারণে অতিরিক্ত ভিড় সৃষ্টি হলে হঠাৎ চাপ বেড়ে যায়। নিহতদের মধ্যে ১১ জন নারী এবং ৪ শিশু রয়েছে। দিল্লির এলএনজেপি হাসপাতালের প্রধান জরুরি চিকিৎসা কর্মকর্তা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে। ধর্মীয় আয়োজন বা কোনও সমাবেশকে ঘিরে ভারতে বেশ কয়েকটি ভয়াবহ পদদলনের ঘটনা রয়েছে। দেশটিতে গত ২০ বছরে মর্মান্তিক পদদলনের ঘটনাগুলো তালিকাবদ্ধ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ : মানব সভ্যতার ইতিহাসে বৃহত্তম ধর্মীয় জনসমাগম ঘটে উত্তর প্রদেশে আয়োজিত কুম্ভমেলায়। এবারের আয়োজনে ২৯ জানুয়ারি পদপিষ্ট হয়ে কয়েক ডজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
জানুয়ারি ৮, ২০২৫ : ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের একটি স্বনামধন্য মন্দিরে বিনামূল্যে দর্শনের অনুমোদন নিতে উপস্থিত হয় হাজারো মানুষ। সেখানে হুড়োহুড়ি থেকে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ৬ জন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
জুলাই, ২০২৪ : উত্তর প্রদেশে হাথ্রাস জেলায় এক প্রখ্যাত ধর্মগুরুর কাছে যাওয়ার চেষ্টায় হুড়োহুড়ি শুরু হয়। পরে সেখানে পদদলনে অন্তত ১২১ জন মানুষ মারা যান।
জানুয়ারি, ২০২২ : জম্মু ও কাশ্মীরে বৈষ্ণু দেবী মন্দিরে শত শত মানুষ হুড়োহুড়ি করে প্রবেশের চেষ্টা করলে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২ জন নিহত হন।
অক্টোবর, ২০১৩ : দুর্গাপূজায় মধ্যপ্রদেশের রতনগড় মন্দিরে নাভরাতি পালনের সময় প্রায় দেড় লাখ মানুষ উপস্থিত হন। সেখানে পদদলিত হয়ে প্রায় ১১৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছিলেন শতাধিক।
ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : সেবারের কুম্ভমেলায় অন্তত ৩৬ জন পদপিষ্ট হয়ে মারা যান। তাদের মধ্যে আট বছর বয়সী এক শিশুসহ নারী ছিলেন ২৭ জন।
মার্চ, ২০১০ : উত্তর প্রদেশের একটি মন্দিরে বিনামূল্যের খাদ্য ও বস্ত্র পাওয়ার জন্য হুড়োহুড়িকে কেন্দ্র করে পদদলনে অন্তত ৬৩ জনের মৃত্যু হয়।
নিহতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ছিল শিশু।
সেপ্টেম্বর, ২০০৮ : নাভরাতি পালনের জন্য রাজস্থানের চামুনদাগার মন্দিরে উপস্থিত হন হাজারো তীর্থযাত্রী। সেখানে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ২৫০ জন মানুষ প্রাণ হারান।
আগস্ট, ২০০৮ : হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ের চূড়ায় নয়ন দেবী মন্দিরে গুজব থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভূমিধসের ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কিত মানুষের হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়।
জানুয়ারি, ২০০৫ : সে সময় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত খবরে জানা যায়, মহারাষ্ট্র প্রদেশের মান্ধার দেবী মন্দিরে যাওয়ার পিচ্ছিল পাথুরে রাস্তায় পা হড়কানো থেকে সমস্যার সূত্রপাত । সেদিন পদদলনে ২৬৫ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান এবং আহত হন কয়েক শ জন।
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ভারতের রাজধানী দিল্লির নিউ দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে দুটি ট্রেনের দেরির কারণে অতিরিক্ত ভিড় সৃষ্টি হলে হঠাৎ চাপ বেড়ে যায়। নিহতদের মধ্যে ১১ জন নারী এবং ৪ শিশু রয়েছে। দিল্লির এলএনজেপি হাসপাতালের প্রধান জরুরি চিকিৎসা কর্মকর্তা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে। ধর্মীয় আয়োজন বা কোনও সমাবেশকে ঘিরে ভারতে বেশ কয়েকটি ভয়াবহ পদদলনের ঘটনা রয়েছে। দেশটিতে গত ২০ বছরে মর্মান্তিক পদদলনের ঘটনাগুলো তালিকাবদ্ধ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ : মানব সভ্যতার ইতিহাসে বৃহত্তম ধর্মীয় জনসমাগম ঘটে উত্তর প্রদেশে আয়োজিত কুম্ভমেলায়। এবারের আয়োজনে ২৯ জানুয়ারি পদপিষ্ট হয়ে কয়েক ডজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
জানুয়ারি ৮, ২০২৫ : ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের একটি স্বনামধন্য মন্দিরে বিনামূল্যে দর্শনের অনুমোদন নিতে উপস্থিত হয় হাজারো মানুষ। সেখানে হুড়োহুড়ি থেকে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ৬ জন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
জুলাই, ২০২৪ : উত্তর প্রদেশে হাথ্রাস জেলায় এক প্রখ্যাত ধর্মগুরুর কাছে যাওয়ার চেষ্টায় হুড়োহুড়ি শুরু হয়। পরে সেখানে পদদলনে অন্তত ১২১ জন মানুষ মারা যান।
জানুয়ারি, ২০২২ : জম্মু ও কাশ্মীরে বৈষ্ণু দেবী মন্দিরে শত শত মানুষ হুড়োহুড়ি করে প্রবেশের চেষ্টা করলে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২ জন নিহত হন।
অক্টোবর, ২০১৩ : দুর্গাপূজায় মধ্যপ্রদেশের রতনগড় মন্দিরে নাভরাতি পালনের সময় প্রায় দেড় লাখ মানুষ উপস্থিত হন। সেখানে পদদলিত হয়ে প্রায় ১১৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছিলেন শতাধিক।
ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : সেবারের কুম্ভমেলায় অন্তত ৩৬ জন পদপিষ্ট হয়ে মারা যান। তাদের মধ্যে আট বছর বয়সী এক শিশুসহ নারী ছিলেন ২৭ জন।
মার্চ, ২০১০ : উত্তর প্রদেশের একটি মন্দিরে বিনামূল্যের খাদ্য ও বস্ত্র পাওয়ার জন্য হুড়োহুড়িকে কেন্দ্র করে পদদলনে অন্তত ৬৩ জনের মৃত্যু হয়।
নিহতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ছিল শিশু।
সেপ্টেম্বর, ২০০৮ : নাভরাতি পালনের জন্য রাজস্থানের চামুনদাগার মন্দিরে উপস্থিত হন হাজারো তীর্থযাত্রী। সেখানে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ২৫০ জন মানুষ প্রাণ হারান।
আগস্ট, ২০০৮ : হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ের চূড়ায় নয়ন দেবী মন্দিরে গুজব থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভূমিধসের ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কিত মানুষের হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়।
জানুয়ারি, ২০০৫ : সে সময় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত খবরে জানা যায়, মহারাষ্ট্র প্রদেশের মান্ধার দেবী মন্দিরে যাওয়ার পিচ্ছিল পাথুরে রাস্তায় পা হড়কানো থেকে সমস্যার সূত্রপাত । সেদিন পদদলনে ২৬৫ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান এবং আহত হন কয়েক শ জন।