রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই আগামী সপ্তাহে এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হতে যাচ্ছেন ইউরোপীয় নেতারা। কারণ তাদের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় ইউরোপকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া হতে পারে। শনিবার মিউনিখ সম্মেলনে ট্রাম্পের ইউক্রেন বিষয়ক বিশেষ দূত কিথ কেলগের এমন ইঙ্গিত পাওয়ার পরপরই, এ বৈঠক ডাকেন ইউরোপীয় নেতারা। বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য এই শীর্ষ সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি ইউরোপীয় নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এই মাসের শেষে হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পরিকল্পনা করছেন। স্যার কিয়ের স্টারমারের লক্ষ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে একত্রিত করা এবং ইউক্রেনের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ শান্তি নীতি নিশ্চিত করা।
তিনি যুক্তরাজ্যের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আমরা এমনভাবে কাজ করব যেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ একসঙ্গে থাকে। আমাদের জোটে কোনও বিভাজন তৈরি হলে, সেটি বাহ্যিক শত্রুদের জন্য সুযোগ তৈরি করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এক অনন্য মুহূর্ত, যেখানে আমাদের বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে এবং রাশিয়ার হুমকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ইউরোপকে অবশ্যই ন্যাটোতে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে, যেন আমরা ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করতে পারি এবং রাশিয়ার হুমকি মোকাবিলা করতে পারি।’
এর আগে মিউনিখ সম্মেলনে কেলেগ বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে পূর্ববর্তী শান্তি আলোচনাগুলো ব্যর্থ হয়েছিল। কারণ ওই আলোচনাগুলোর সঙ্গে অনেক দেশ যুক্ত ছিল। ওই দেশগুলোর এ ধরনের আলোচনা কার্যকর করার কোনও যোগ্যতা ছিল না। এবার আলোচনার ক্ষেত্রের আগের ওই পথ অনুসরণ করা হবে না।
ইউরোপ এখনো মিনস্ক চুক্তির স্মৃতি দ্বারা তাড়িত, যা ছিল ২০১৫ সালে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি ব্যর্থ যুদ্ধবিরতি চুক্তি। এই চুক্তি ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যস্থতায় হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে যুদ্ধ বন্ধ করা। পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাদোস্লাও সিকোরস্কি জানান, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ ইউরোপীয় নেতাদের একত্রিত করতে এই জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন।
এর আগে শনিবার, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউরোপীয় সেনাবাহিনী গঠনের আহ্বান জানান। ইউরোপের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো ভবিষ্যতে আর ইউরোপের নিরাপত্তায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে না।
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই আগামী সপ্তাহে এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হতে যাচ্ছেন ইউরোপীয় নেতারা। কারণ তাদের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় ইউরোপকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া হতে পারে। শনিবার মিউনিখ সম্মেলনে ট্রাম্পের ইউক্রেন বিষয়ক বিশেষ দূত কিথ কেলগের এমন ইঙ্গিত পাওয়ার পরপরই, এ বৈঠক ডাকেন ইউরোপীয় নেতারা। বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য এই শীর্ষ সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি ইউরোপীয় নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এই মাসের শেষে হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পরিকল্পনা করছেন। স্যার কিয়ের স্টারমারের লক্ষ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে একত্রিত করা এবং ইউক্রেনের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ শান্তি নীতি নিশ্চিত করা।
তিনি যুক্তরাজ্যের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আমরা এমনভাবে কাজ করব যেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ একসঙ্গে থাকে। আমাদের জোটে কোনও বিভাজন তৈরি হলে, সেটি বাহ্যিক শত্রুদের জন্য সুযোগ তৈরি করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এক অনন্য মুহূর্ত, যেখানে আমাদের বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে এবং রাশিয়ার হুমকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ইউরোপকে অবশ্যই ন্যাটোতে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে, যেন আমরা ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করতে পারি এবং রাশিয়ার হুমকি মোকাবিলা করতে পারি।’
এর আগে মিউনিখ সম্মেলনে কেলেগ বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে পূর্ববর্তী শান্তি আলোচনাগুলো ব্যর্থ হয়েছিল। কারণ ওই আলোচনাগুলোর সঙ্গে অনেক দেশ যুক্ত ছিল। ওই দেশগুলোর এ ধরনের আলোচনা কার্যকর করার কোনও যোগ্যতা ছিল না। এবার আলোচনার ক্ষেত্রের আগের ওই পথ অনুসরণ করা হবে না।
ইউরোপ এখনো মিনস্ক চুক্তির স্মৃতি দ্বারা তাড়িত, যা ছিল ২০১৫ সালে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি ব্যর্থ যুদ্ধবিরতি চুক্তি। এই চুক্তি ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যস্থতায় হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে যুদ্ধ বন্ধ করা। পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাদোস্লাও সিকোরস্কি জানান, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ ইউরোপীয় নেতাদের একত্রিত করতে এই জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন।
এর আগে শনিবার, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউরোপীয় সেনাবাহিনী গঠনের আহ্বান জানান। ইউরোপের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো ভবিষ্যতে আর ইউরোপের নিরাপত্তায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে না।