জনসমক্ষে নিজেকে সমকামী বলে ঘোষণা করা বিশ্বের প্রথম ইমাম মুহসীন হেনড্রিক্সকে দক্ষিণ আফ্রিকায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ৫৭ বছর বয়সী হেনড্রিক্স কেপ টাউনে যে মসজিদটি চালাতেন, তা সমকামী ও প্রান্তিক মুসলমানদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠেছিল।
শনিবার, স্থানীয় সময় সকালে, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কোয়েবেরার কাছে তাকে বহন করা গাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়, এমন তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, "মুখ ঢাকা দুই অজ্ঞাত সন্দেহভাজন একটি গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে হেনড্রিক্সকে বহন করা গাড়ির দিকে গুলি ছুড়তে শুরু করেন।"
হেনড্রিক্সের মৃত্যুর খবর এলজিবিটি সম্প্রদায় এবং অন্যান্যদের মধ্যে শোকের ছায়া ফেলেছে। তার পরিবারের কাছে শোকবার্তা পাঠাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। ইন্টারন্যাশনাল লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্স অ্যান্ড ইন্টারসেক্স অ্যাসোসিয়েশনের (ইলগা) নির্বাহী পরিচালক লিয়া ইয়োলিয়া এরট বলেছেন, “আমরা ধারণা করছি এটি সম্ভবত একটি বিদ্বেষমূলক অপরাধ,” এবং ঘটনার বিস্তৃত তদন্তের অনুরোধ করেছেন।
কিছু খবর অনুযায়ী, হেনড্রিক্সকে হত্যার কারণ হিসেবে দুটি সমকামী নারীর মধ্যে বিয়ে পড়ানোর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে চাউর হয়েছে, তবে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যে গাড়িতে হেনড্রিক্স ছিলেন, অন্য একটি গাড়ি এসে সেটি আটকে দেয়। এরপর এক হামলাকারী তাদের গাড়ি থেকে বেরিয়ে ছুটে এসে হেনড্রিক্সের গাড়ির পেছনের জানালা বরাবর একাধিক গুলি ছোড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, হেনড্রিক্স গাড়ির পেছনের সিটেই ছিলেন।
হেনড্রিক্স কেপ টাউনের ওয়েনবার্গে মসজিদুল গুরবাহ নামক একটি মসজিদ পরিচালনা করতেন, যা আল-গুরবাহ ফাউন্ডেশনের অধীনে ছিল। ওই ফাউন্ডেশনই তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে এবং জানায়, শনিবার সকালে পরিকল্পিত একটি হামলায় হেনড্রিক্স নিহত হন।
হেনড্রিক্স ১৯৯৬ সালে প্রকাশ্যে নিজেকে সমকামী বলে ঘোষণা দেন, যা কেপ টাউন ও অন্যান্য এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়কে হতবাক করে দেয়। একই বছর, তিনি ‘ইনার সার্কেল’ নামক একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন, যা সমকামী মুসলমানদের সহায়তা এবং নিরাপদ স্থান প্রদানের কাজ করত। এরপর তিনি গুরবাহ মসজিদ প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেন, যা কেপ টাউনের সমকামী মুসলমানদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় হয়ে ওঠে।
হেনড্রিক্সের মৃত্যু এলজিবিটি সম্প্রদায় এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক শোকের সৃষ্টি করেছে।
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
জনসমক্ষে নিজেকে সমকামী বলে ঘোষণা করা বিশ্বের প্রথম ইমাম মুহসীন হেনড্রিক্সকে দক্ষিণ আফ্রিকায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ৫৭ বছর বয়সী হেনড্রিক্স কেপ টাউনে যে মসজিদটি চালাতেন, তা সমকামী ও প্রান্তিক মুসলমানদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠেছিল।
শনিবার, স্থানীয় সময় সকালে, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কোয়েবেরার কাছে তাকে বহন করা গাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়, এমন তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, "মুখ ঢাকা দুই অজ্ঞাত সন্দেহভাজন একটি গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে হেনড্রিক্সকে বহন করা গাড়ির দিকে গুলি ছুড়তে শুরু করেন।"
হেনড্রিক্সের মৃত্যুর খবর এলজিবিটি সম্প্রদায় এবং অন্যান্যদের মধ্যে শোকের ছায়া ফেলেছে। তার পরিবারের কাছে শোকবার্তা পাঠাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। ইন্টারন্যাশনাল লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্স অ্যান্ড ইন্টারসেক্স অ্যাসোসিয়েশনের (ইলগা) নির্বাহী পরিচালক লিয়া ইয়োলিয়া এরট বলেছেন, “আমরা ধারণা করছি এটি সম্ভবত একটি বিদ্বেষমূলক অপরাধ,” এবং ঘটনার বিস্তৃত তদন্তের অনুরোধ করেছেন।
কিছু খবর অনুযায়ী, হেনড্রিক্সকে হত্যার কারণ হিসেবে দুটি সমকামী নারীর মধ্যে বিয়ে পড়ানোর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে চাউর হয়েছে, তবে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যে গাড়িতে হেনড্রিক্স ছিলেন, অন্য একটি গাড়ি এসে সেটি আটকে দেয়। এরপর এক হামলাকারী তাদের গাড়ি থেকে বেরিয়ে ছুটে এসে হেনড্রিক্সের গাড়ির পেছনের জানালা বরাবর একাধিক গুলি ছোড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, হেনড্রিক্স গাড়ির পেছনের সিটেই ছিলেন।
হেনড্রিক্স কেপ টাউনের ওয়েনবার্গে মসজিদুল গুরবাহ নামক একটি মসজিদ পরিচালনা করতেন, যা আল-গুরবাহ ফাউন্ডেশনের অধীনে ছিল। ওই ফাউন্ডেশনই তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে এবং জানায়, শনিবার সকালে পরিকল্পিত একটি হামলায় হেনড্রিক্স নিহত হন।
হেনড্রিক্স ১৯৯৬ সালে প্রকাশ্যে নিজেকে সমকামী বলে ঘোষণা দেন, যা কেপ টাউন ও অন্যান্য এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়কে হতবাক করে দেয়। একই বছর, তিনি ‘ইনার সার্কেল’ নামক একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন, যা সমকামী মুসলমানদের সহায়তা এবং নিরাপদ স্থান প্রদানের কাজ করত। এরপর তিনি গুরবাহ মসজিদ প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেন, যা কেপ টাউনের সমকামী মুসলমানদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় হয়ে ওঠে।
হেনড্রিক্সের মৃত্যু এলজিবিটি সম্প্রদায় এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক শোকের সৃষ্টি করেছে।