তেল আবিবের কাছে বৃসন্দেহভাজন সন্ত্রাসী হামলায় তিনটি খালি বাস বিস্ফোরণের পর পশ্চিম তীরে অভিযান চালাতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
সিএনএন লিখেছে, ইসরায়েলের অর্থনৈতিক কেন্দ্রের দক্ষিণে ব্যাট ইয়াম ও হোলন শহরে বৃহস্পতিবার খালি গাড়িতে লাগানো বিস্ফোরক ডিভাইস পরপর বিস্ফোরিত হয়। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং তাৎক্ষণিকভাবে কেউ বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্যাট ইয়ামের একটি ডিপোতে পার্ক করা বাসে দুটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। আর হোলনে তৃতীয় একটি বাসে লাগানো বিস্ফোরক ডিভাইস থেকে আরেকটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
ব্যাট ইয়ামের ছবিতে ডিপোতে থাকা দুটি পুড়ে যাওয়া বাস এবং ঘটনাস্থলে ফরেনসিক কর্মীদের কাজ করতে দেখা গেছে।
এদিকে চতুর্থ একটি বাসে অবিস্ফোরিত একটি বিস্ফোরক ডিভাইস পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
সিএনএন লিখেছে, বিস্ফোরণের পর নিরাপত্তা জোরদার করার পাশারপাশি দেশজুড়ে বাস ও ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে এই নাশকতাকে ‘বাসে গণ বোমা হামলার চেষ্টা’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রধান এবং শীর্ষ নিরাপত্তা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরে সন্ত্রাসী কেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে নিবিড় অভিযান চালাতে আইডিএফকে নির্দেশ’ দিয়েছেন।
ইসরায়েলি শহরগুলোতে আরও হামলা ঠেকাতে প্রতিরোধমূলক তৎপরতা বাড়াতে পুলিশ ও ইসরায়েল নিরাপত্তা সংস্থাকে নেতানিয়াহু নির্দেশ দিয়েছেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
সিএনএন লিখেছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার পর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গাজায় চার জিম্মির দেহ হস্তান্তর করার কয়েক ঘণ্টা পর এই বাস বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।
গত মাসে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে দেহগুলো হস্তান্তর করা হয়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ইসরায়েল ও হামাস একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলায় চুক্তিটি নিয়ে একধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, কোনো জিম্মির সঙ্গে মেলে না এমন এক দেহাবশেষ দিয়ে হামাস চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
পশ্চিম তীরে নিরাপত্তা জোরদার
বাসে বোমা হামলার পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা শুক্রবার সকালে পশ্চিম তীরে আরও তিন ব্যাটালিয়ন সেনা মোতায়েন করবে।
আইডিএফ চলমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছে এবং সামরিক কার্যক্রম বিস্তৃত করতে প্রস্তুত।
হামাসের ৭ অক্টোবর হামলার পর থেকে ইসরায়েল সামরিক অভিযান বাড়িয়েছে। এর অংশ হিসেবে পশ্চিম তীরের সন্ত্রাসীদের/জঙ্গিদের নিশানা করা হয়েছে; বিমান হামলার মতো কৌশলও নেওয়া হয়েছে- যা একসময় সেখানে প্রায় শোনা যায়নি।
গত মাসে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরুর মাত্র দুদিন পর পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে ‘অপারেশন আয়রন ওয়াল’ নামে একটি বড় ধরনের অভিযান শুরু করে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী-আইডিএফ। বলা হচ্ছে, ‘সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ নির্মূলের পাশাপাশি অভিযান শেষে যাতে সন্ত্রাস ফিরে না আসে তা নিশ্চিত করাই এই অভিযানের লক্ষ্য।
জাতিসংঘের হিসাবে, এই অভিযানের ফলে পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে কমপক্ষে ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ গত সপ্তাহে সতর্ক করে বলেছে, পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ‘উদ্বেগজনক গতিতে’ বাড়ছে।
সংস্থাটি বলেছে, পশ্চিম তীরে কেবল এই বছরই ৩৮টি বিমান হামলা হয়েছে; উন্নত অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার এবং নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে, যা ‘গাজার যুদ্ধের বাড়তি’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
তেল আবিবের কাছে বৃসন্দেহভাজন সন্ত্রাসী হামলায় তিনটি খালি বাস বিস্ফোরণের পর পশ্চিম তীরে অভিযান চালাতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
সিএনএন লিখেছে, ইসরায়েলের অর্থনৈতিক কেন্দ্রের দক্ষিণে ব্যাট ইয়াম ও হোলন শহরে বৃহস্পতিবার খালি গাড়িতে লাগানো বিস্ফোরক ডিভাইস পরপর বিস্ফোরিত হয়। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং তাৎক্ষণিকভাবে কেউ বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্যাট ইয়ামের একটি ডিপোতে পার্ক করা বাসে দুটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। আর হোলনে তৃতীয় একটি বাসে লাগানো বিস্ফোরক ডিভাইস থেকে আরেকটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
ব্যাট ইয়ামের ছবিতে ডিপোতে থাকা দুটি পুড়ে যাওয়া বাস এবং ঘটনাস্থলে ফরেনসিক কর্মীদের কাজ করতে দেখা গেছে।
এদিকে চতুর্থ একটি বাসে অবিস্ফোরিত একটি বিস্ফোরক ডিভাইস পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
সিএনএন লিখেছে, বিস্ফোরণের পর নিরাপত্তা জোরদার করার পাশারপাশি দেশজুড়ে বাস ও ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে এই নাশকতাকে ‘বাসে গণ বোমা হামলার চেষ্টা’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রধান এবং শীর্ষ নিরাপত্তা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরে সন্ত্রাসী কেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে নিবিড় অভিযান চালাতে আইডিএফকে নির্দেশ’ দিয়েছেন।
ইসরায়েলি শহরগুলোতে আরও হামলা ঠেকাতে প্রতিরোধমূলক তৎপরতা বাড়াতে পুলিশ ও ইসরায়েল নিরাপত্তা সংস্থাকে নেতানিয়াহু নির্দেশ দিয়েছেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
সিএনএন লিখেছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার পর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গাজায় চার জিম্মির দেহ হস্তান্তর করার কয়েক ঘণ্টা পর এই বাস বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।
গত মাসে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে দেহগুলো হস্তান্তর করা হয়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ইসরায়েল ও হামাস একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলায় চুক্তিটি নিয়ে একধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, কোনো জিম্মির সঙ্গে মেলে না এমন এক দেহাবশেষ দিয়ে হামাস চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
পশ্চিম তীরে নিরাপত্তা জোরদার
বাসে বোমা হামলার পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা শুক্রবার সকালে পশ্চিম তীরে আরও তিন ব্যাটালিয়ন সেনা মোতায়েন করবে।
আইডিএফ চলমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছে এবং সামরিক কার্যক্রম বিস্তৃত করতে প্রস্তুত।
হামাসের ৭ অক্টোবর হামলার পর থেকে ইসরায়েল সামরিক অভিযান বাড়িয়েছে। এর অংশ হিসেবে পশ্চিম তীরের সন্ত্রাসীদের/জঙ্গিদের নিশানা করা হয়েছে; বিমান হামলার মতো কৌশলও নেওয়া হয়েছে- যা একসময় সেখানে প্রায় শোনা যায়নি।
গত মাসে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরুর মাত্র দুদিন পর পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে ‘অপারেশন আয়রন ওয়াল’ নামে একটি বড় ধরনের অভিযান শুরু করে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী-আইডিএফ। বলা হচ্ছে, ‘সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ নির্মূলের পাশাপাশি অভিযান শেষে যাতে সন্ত্রাস ফিরে না আসে তা নিশ্চিত করাই এই অভিযানের লক্ষ্য।
জাতিসংঘের হিসাবে, এই অভিযানের ফলে পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে কমপক্ষে ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ গত সপ্তাহে সতর্ক করে বলেছে, পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ‘উদ্বেগজনক গতিতে’ বাড়ছে।
সংস্থাটি বলেছে, পশ্চিম তীরে কেবল এই বছরই ৩৮টি বিমান হামলা হয়েছে; উন্নত অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার এবং নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে, যা ‘গাজার যুদ্ধের বাড়তি’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।