মায়ানমারের কাচিন রাজ্যের ভামো শহরে অবস্থিত জান্তা সেনাদের ‘পদাতিক ব্যাটালিয়ন ২৩৬’ দখল করে নিয়েছে কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ) ও তার মিত্ররা। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে, মঙ্গলবার এই ঘাঁটির পতন হয়। সেই সঙ্গে ‘আর্টিলারি ব্যাটালিয়ন ৩৬৬’ পুনর্দখল করতে তীব্র লড়াই চলছে।
প্রতিবেদন বলছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে কেআইএ ও তার মিত্ররা ‘৩৬৬’ ঘাঁটিটি দখল করে নেয়। কিন্তু জান্তা সেনারা ঘাঁটিটি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কয়েকদিন পর বিদ্রোহী যোদ্ধারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। তবে গোষ্ঠীগুলো মঙ্গলবার পদাতিক সেই ঘাঁটির অধিকাংশ আবার দখল করতে সক্ষম হয়। বিদ্রোহীরা এখন জান্তার ‘মিলিটারি অপারেশনস কমান্ড ২১’ (এমওসি-২১) এর ওপর তীব্রভাবে হামলা চালাচ্ছে। জান্তা বাহিনীও প্রচ-ভাবে প্রতিরোধ করছে।
কেআইএ’র মুখপাত্র কর্নেল নাও বু বুধবার ইরাবতিকে নিশ্চিত করেছেন, কেআইএ এবং মিত্র বাহিনী পদাতিক ব্যাটালিয়ন ২৩৬ এবং আর্টিলারি ব্যাটালিয়ন ৩৬৬ এর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং শিগগিরই পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এমওসি-২১ এর পাশাপাশি কেআইএ ও তাদের মিত্ররা অবশিষ্ট জান্তা অবস্থানগুলোতেও আক্রমণ করছে। যার মধ্যে রয়েছে পদাতিক ব্যাটালিয়ন ৪৭, একটি সামরিক প্রশিক্ষণ স্কুল এবং একটি বিমান বিধ্বংসী আর্টিলারি ব্যাটালিয়ন।
কেআইএ এবং তার মিত্ররা ৪ ডিসেম্বর ভামো টাউনশিপে আক্রমণ শুরু করে। এরপর থেকে সাঁজোয়া ব্যাটালিয়ন ৭০০৬, ট্যাংক ব্যাটালিয়ন ৫০১৪, ভামো বিমানবন্দর, আর্টিলারি ব্যাটালিয়ন ৩৬৬, পদাতিক ব্যাটালিয়ন ২৩৬ এবং আরও অনেক ছোট ছোট সামরিক ও পুলিশি অবস্থান হারিয়েছে জান্তা বাহিনী। ইরাবতি জানিয়েছে, এরপর থেকে কেআইএ ও মিত্রদের প্রতিরোধ অবস্থানগুলোতে আর্টিলারি, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন থেকে গোলাবর্ষণ করছে জান্তা সেনারা। ভামো এখন একটি ভুতুড়ে শহর। প্রায় সমস্ত বাসিন্দা গত দুই মাসে গ্রামীণ অঞ্চল এবং নিকটবর্তী জনপদে পালিয়ে গেছে।
গত মাসের শুরুর দিকে কেআইএ ও তার মিত্ররা কাচিন রাজ্যের মানসি শহর দখল করে নেয় এবং ওই এলাকায় চিকিৎসাধীন জান্তা সেনাদের ওপর হামলা চালায়।
এ পর্যন্ত কেআইএ ও তার মিত্ররা কাচিন রাজ্যে তিন শতাধিক জান্তা পোস্ট ও ঘাঁটি দখল করে নিয়েছে। তারা প্রায় ১৫টি শহর এবং চীন সীমান্তে বিরল খনির কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে।
উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের দুটি শহরও দখল করেছে কেআইএ।
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
মায়ানমারের কাচিন রাজ্যের ভামো শহরে অবস্থিত জান্তা সেনাদের ‘পদাতিক ব্যাটালিয়ন ২৩৬’ দখল করে নিয়েছে কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ) ও তার মিত্ররা। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে, মঙ্গলবার এই ঘাঁটির পতন হয়। সেই সঙ্গে ‘আর্টিলারি ব্যাটালিয়ন ৩৬৬’ পুনর্দখল করতে তীব্র লড়াই চলছে।
প্রতিবেদন বলছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে কেআইএ ও তার মিত্ররা ‘৩৬৬’ ঘাঁটিটি দখল করে নেয়। কিন্তু জান্তা সেনারা ঘাঁটিটি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কয়েকদিন পর বিদ্রোহী যোদ্ধারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। তবে গোষ্ঠীগুলো মঙ্গলবার পদাতিক সেই ঘাঁটির অধিকাংশ আবার দখল করতে সক্ষম হয়। বিদ্রোহীরা এখন জান্তার ‘মিলিটারি অপারেশনস কমান্ড ২১’ (এমওসি-২১) এর ওপর তীব্রভাবে হামলা চালাচ্ছে। জান্তা বাহিনীও প্রচ-ভাবে প্রতিরোধ করছে।
কেআইএ’র মুখপাত্র কর্নেল নাও বু বুধবার ইরাবতিকে নিশ্চিত করেছেন, কেআইএ এবং মিত্র বাহিনী পদাতিক ব্যাটালিয়ন ২৩৬ এবং আর্টিলারি ব্যাটালিয়ন ৩৬৬ এর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং শিগগিরই পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এমওসি-২১ এর পাশাপাশি কেআইএ ও তাদের মিত্ররা অবশিষ্ট জান্তা অবস্থানগুলোতেও আক্রমণ করছে। যার মধ্যে রয়েছে পদাতিক ব্যাটালিয়ন ৪৭, একটি সামরিক প্রশিক্ষণ স্কুল এবং একটি বিমান বিধ্বংসী আর্টিলারি ব্যাটালিয়ন।
কেআইএ এবং তার মিত্ররা ৪ ডিসেম্বর ভামো টাউনশিপে আক্রমণ শুরু করে। এরপর থেকে সাঁজোয়া ব্যাটালিয়ন ৭০০৬, ট্যাংক ব্যাটালিয়ন ৫০১৪, ভামো বিমানবন্দর, আর্টিলারি ব্যাটালিয়ন ৩৬৬, পদাতিক ব্যাটালিয়ন ২৩৬ এবং আরও অনেক ছোট ছোট সামরিক ও পুলিশি অবস্থান হারিয়েছে জান্তা বাহিনী। ইরাবতি জানিয়েছে, এরপর থেকে কেআইএ ও মিত্রদের প্রতিরোধ অবস্থানগুলোতে আর্টিলারি, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন থেকে গোলাবর্ষণ করছে জান্তা সেনারা। ভামো এখন একটি ভুতুড়ে শহর। প্রায় সমস্ত বাসিন্দা গত দুই মাসে গ্রামীণ অঞ্চল এবং নিকটবর্তী জনপদে পালিয়ে গেছে।
গত মাসের শুরুর দিকে কেআইএ ও তার মিত্ররা কাচিন রাজ্যের মানসি শহর দখল করে নেয় এবং ওই এলাকায় চিকিৎসাধীন জান্তা সেনাদের ওপর হামলা চালায়।
এ পর্যন্ত কেআইএ ও তার মিত্ররা কাচিন রাজ্যে তিন শতাধিক জান্তা পোস্ট ও ঘাঁটি দখল করে নিয়েছে। তারা প্রায় ১৫টি শহর এবং চীন সীমান্তে বিরল খনির কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে।
উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের দুটি শহরও দখল করেছে কেআইএ।