দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে ইউক্রেনের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা জটিল রূপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, দেশটি যে সহায়তা দিয়েছে, তার বিনিময়ে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ, বন্দর ও অন্যান্য শিল্পখাত থেকে অর্জিত মুনাফার একটি বড় অংশ হস্তান্তর করতে হবে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কিয়েভে এক বক্তব্যে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই শর্তকে ‘অন্যায়’ বলে তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেছেন, চুক্তিতে সামরিক সহায়তার নিশ্চয়তা না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। ইউক্রেনের এক কর্মকর্তা জানান, এই প্রস্তাব আসলে আলোচনা নয়, বরং ‘ব্ল্যাকমেইল’।
তিন দফায় প্রস্তাব
ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র তিনটি ভিন্ন শর্তে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথম প্রস্তাব ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে কিয়েভে উত্থাপন করা হয়, যেখানে ইউক্রেনকে এক ঘণ্টার মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের সময়সীমা দেওয়া হয়। এরপর মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে আরও একটি ‘উন্নত’ চুক্তির খসড়া দেওয়া হয়, যেখানে সামরিক সহায়তার উল্লেখ থাকলেও শর্তগুলো ছিল ইউক্রেনের জন্য বেশ কঠিন।
সবশেষ, গত ২০ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের কর্মকর্তারা আরও কঠোর একটি প্রস্তাব পান, যেখানে বলা হয় দেশটির ভবিষ্যৎ রাজস্ব আয়ের ৫০ শতাংশ একটি নতুন বিনিয়োগ তহবিলে যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে রাখতে হবে। এই তহবিলের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ বিলিয়ন ডলার, যা ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী ইউক্রেনের জন্য দেওয়া সহায়তার পরিমাণের সমান।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপ, ইউক্রেনের উদ্বেগ
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকের নেতৃত্বে আসা সবশেষ শর্তে বলা হয়েছে, আগের সব আলোচনার শর্ত বাতিল করতে হবে এবং ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সম্পদ ছেড়ে দিতে হবে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন যে, ট্রাম্প প্রশাসন কিয়েভকে আরও বড় চাপের মধ্যে ফেলতে পারে, এমনকি স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করার মতো পদক্ষেপও নিতে পারে।
জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে বলেছেন, তিনি ইউক্রেনকে বিক্রি করতে পারবেন না। তিনি বলেছেন, আমি ইউক্রেনের রক্ষা করছি, আমি আমাদের দেশকে বিক্রি করতে পারি না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন যদি ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে পারে, যা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কিয়েভের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে ইউক্রেনের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা জটিল রূপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, দেশটি যে সহায়তা দিয়েছে, তার বিনিময়ে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ, বন্দর ও অন্যান্য শিল্পখাত থেকে অর্জিত মুনাফার একটি বড় অংশ হস্তান্তর করতে হবে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কিয়েভে এক বক্তব্যে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই শর্তকে ‘অন্যায়’ বলে তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেছেন, চুক্তিতে সামরিক সহায়তার নিশ্চয়তা না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। ইউক্রেনের এক কর্মকর্তা জানান, এই প্রস্তাব আসলে আলোচনা নয়, বরং ‘ব্ল্যাকমেইল’।
তিন দফায় প্রস্তাব
ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র তিনটি ভিন্ন শর্তে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথম প্রস্তাব ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে কিয়েভে উত্থাপন করা হয়, যেখানে ইউক্রেনকে এক ঘণ্টার মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের সময়সীমা দেওয়া হয়। এরপর মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে আরও একটি ‘উন্নত’ চুক্তির খসড়া দেওয়া হয়, যেখানে সামরিক সহায়তার উল্লেখ থাকলেও শর্তগুলো ছিল ইউক্রেনের জন্য বেশ কঠিন।
সবশেষ, গত ২০ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের কর্মকর্তারা আরও কঠোর একটি প্রস্তাব পান, যেখানে বলা হয় দেশটির ভবিষ্যৎ রাজস্ব আয়ের ৫০ শতাংশ একটি নতুন বিনিয়োগ তহবিলে যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে রাখতে হবে। এই তহবিলের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ বিলিয়ন ডলার, যা ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী ইউক্রেনের জন্য দেওয়া সহায়তার পরিমাণের সমান।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপ, ইউক্রেনের উদ্বেগ
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকের নেতৃত্বে আসা সবশেষ শর্তে বলা হয়েছে, আগের সব আলোচনার শর্ত বাতিল করতে হবে এবং ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সম্পদ ছেড়ে দিতে হবে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন যে, ট্রাম্প প্রশাসন কিয়েভকে আরও বড় চাপের মধ্যে ফেলতে পারে, এমনকি স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করার মতো পদক্ষেপও নিতে পারে।
জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে বলেছেন, তিনি ইউক্রেনকে বিক্রি করতে পারবেন না। তিনি বলেছেন, আমি ইউক্রেনের রক্ষা করছি, আমি আমাদের দেশকে বিক্রি করতে পারি না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন যদি ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে পারে, যা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কিয়েভের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।