alt

আন্তর্জাতিক

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন

ট্রাম্পের ‘অন্যায়’ প্রস্তাবে না বলতে পারবে ইউক্রেন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে ইউক্রেনের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা জটিল রূপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, দেশটি যে সহায়তা দিয়েছে, তার বিনিময়ে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ, বন্দর ও অন্যান্য শিল্পখাত থেকে অর্জিত মুনাফার একটি বড় অংশ হস্তান্তর করতে হবে।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কিয়েভে এক বক্তব্যে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই শর্তকে ‘অন্যায়’ বলে তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেছেন, চুক্তিতে সামরিক সহায়তার নিশ্চয়তা না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। ইউক্রেনের এক কর্মকর্তা জানান, এই প্রস্তাব আসলে আলোচনা নয়, বরং ‘ব্ল্যাকমেইল’।

তিন দফায় প্রস্তাব

ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র তিনটি ভিন্ন শর্তে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথম প্রস্তাব ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে কিয়েভে উত্থাপন করা হয়, যেখানে ইউক্রেনকে এক ঘণ্টার মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের সময়সীমা দেওয়া হয়। এরপর মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে আরও একটি ‘উন্নত’ চুক্তির খসড়া দেওয়া হয়, যেখানে সামরিক সহায়তার উল্লেখ থাকলেও শর্তগুলো ছিল ইউক্রেনের জন্য বেশ কঠিন।

সবশেষ, গত ২০ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের কর্মকর্তারা আরও কঠোর একটি প্রস্তাব পান, যেখানে বলা হয় দেশটির ভবিষ্যৎ রাজস্ব আয়ের ৫০ শতাংশ একটি নতুন বিনিয়োগ তহবিলে যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে রাখতে হবে। এই তহবিলের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ বিলিয়ন ডলার, যা ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী ইউক্রেনের জন্য দেওয়া সহায়তার পরিমাণের সমান।

যুক্তরাষ্ট্রের চাপ, ইউক্রেনের উদ্বেগ

মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকের নেতৃত্বে আসা সবশেষ শর্তে বলা হয়েছে, আগের সব আলোচনার শর্ত বাতিল করতে হবে এবং ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সম্পদ ছেড়ে দিতে হবে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন যে, ট্রাম্প প্রশাসন কিয়েভকে আরও বড় চাপের মধ্যে ফেলতে পারে, এমনকি স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করার মতো পদক্ষেপও নিতে পারে।

জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে বলেছেন, তিনি ইউক্রেনকে বিক্রি করতে পারবেন না। তিনি বলেছেন, আমি ইউক্রেনের রক্ষা করছি, আমি আমাদের দেশকে বিক্রি করতে পারি না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন যদি ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে পারে, যা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কিয়েভের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

ছবি

গাজায় বেড়েই চলেছে প্রাণহানি, ধ্বংসস্তূপে মিলছে একের পর এক লাশ

ছবি

ট্রাম্পের মস্কোঘেঁষা নীতি, উদ্বেগে ইউরোপ

ছবি

নির্বাচনে জয়ী হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি সিডিইউ-সিএসইউ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেইন খনিজ সম্পদ নিয়ে চুক্তির দ্বারপ্রান্তে

ছবি

বাংলাদেশকে ঠিক করতে হবে ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চায়: জয়শঙ্কর

ছবি

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের অবসান হতে পারে ‘এই সপ্তাহে’: হোয়াইট হাউস

ছবি

ফেডারেল কর্মীদের কাজের হিসাব চাইলেন মাস্ক, নইলে চাকরি নেই

সম্প্রচারে ফিরছে আফগান নারীদের রেডিও স্টেশন

ইসরায়েল স্পষ্টত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে

পোপ ফ্রান্সিসের শারীরিক অবস্থা ‘গুরুতর’: ভ্যাটিকান

চলতি সপ্তাহেই শেষ হতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

ছবি

জার্মানির ভোট: কট্টর ডানপন্থিদের প্রবল উত্থান নিয়ে শঙ্কা

ছবি

ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি স্থগিত করেছে ইসরায়েল

ছবি

ইলন মাস্ককে ‘আরও আক্রমণাত্মক’ হতে বললেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় ধ্বংসস্তূপে অনবরত মিলছে লাশ, বেড়েই চলেছে নিহতের সংখ্যা

ছবি

ইউক্রেন শিগগিরই খনিজ চুক্তি মেনে নেবে, আশা ট্রাম্পের

ট্রাম্পের নির্দেশে ৫ হাজার ৪০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা পেন্টাগনের

ছবি

বাদুড়ের শরীরে নতুন করোনার সন্ধান, ফের মহামারির শঙ্কা

ছবি

আমাজন শহরে বিশাল সিংকহোল, জরুরি অবস্থা ঘোষণা

ফের যুদ্ধ বাঁধার শঙ্কা কাটল, ইসরায়েলে গেলো সঠিক মরদেহ

মার্কিন সামরিক নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন আনলেন ট্রাম্প

ছবি

জার্মানিতে নির্বাচন আজ, জোট ছাড়া বিকল্প থাকছে না

ছবি

পেন্টাগনে ট্রাম্পের ঝাঁকুনি, শীর্ষ এক জেনারেল ও নৌপ্রধান বরখাস্ত

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী প্রধানকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

ছবি

জেলেনস্কি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নয়, বললেন ট্রাম্প

৫০ বছরের মধ্যে সর্বাধিক কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা সিআইএর

ছবি

সাগরের তলদেশে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট ক্যাবল স্থাপন করছে মেটা

ছবি

মায়ানমারে আরেকটি জান্তা ঘাঁটির পতন, অন্যটি দখলে তীব্র লড়াই

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত ৫০ শিশুকে আশ্রয় দেবে কোস্টারিকা

ছবি

ইউরোপের ক্ষুব্ধ নেতারা কীভাবে সাড়া দিচ্ছেন

ছবি

বাস বিস্ফোরণ: পশ্চিম তীরে সেনা অভিযানের নির্দেশ নেতানিয়াহুর

ছবি

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ খুব বেশি দূরে নয় : ট্রাম্প

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে সতর্ক করলেন ট্রাম্প

ছবি

তুতানখামুনের পর প্রথমবারের মতো মিসরে ফারাওয়ের সমাধি আবিষ্কার

ছবি

দিল্লি সরকারের নেতৃত্বে ফের নারী মুখ্যমন্ত্রী

বার্ড ফ্লু : যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ হাজার টন ডিম পাঠাচ্ছে তুরস্ক

tab

আন্তর্জাতিক

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন

ট্রাম্পের ‘অন্যায়’ প্রস্তাবে না বলতে পারবে ইউক্রেন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে ইউক্রেনের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা জটিল রূপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, দেশটি যে সহায়তা দিয়েছে, তার বিনিময়ে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ, বন্দর ও অন্যান্য শিল্পখাত থেকে অর্জিত মুনাফার একটি বড় অংশ হস্তান্তর করতে হবে।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কিয়েভে এক বক্তব্যে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই শর্তকে ‘অন্যায়’ বলে তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেছেন, চুক্তিতে সামরিক সহায়তার নিশ্চয়তা না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। ইউক্রেনের এক কর্মকর্তা জানান, এই প্রস্তাব আসলে আলোচনা নয়, বরং ‘ব্ল্যাকমেইল’।

তিন দফায় প্রস্তাব

ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র তিনটি ভিন্ন শর্তে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথম প্রস্তাব ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে কিয়েভে উত্থাপন করা হয়, যেখানে ইউক্রেনকে এক ঘণ্টার মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের সময়সীমা দেওয়া হয়। এরপর মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে আরও একটি ‘উন্নত’ চুক্তির খসড়া দেওয়া হয়, যেখানে সামরিক সহায়তার উল্লেখ থাকলেও শর্তগুলো ছিল ইউক্রেনের জন্য বেশ কঠিন।

সবশেষ, গত ২০ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের কর্মকর্তারা আরও কঠোর একটি প্রস্তাব পান, যেখানে বলা হয় দেশটির ভবিষ্যৎ রাজস্ব আয়ের ৫০ শতাংশ একটি নতুন বিনিয়োগ তহবিলে যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে রাখতে হবে। এই তহবিলের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ বিলিয়ন ডলার, যা ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী ইউক্রেনের জন্য দেওয়া সহায়তার পরিমাণের সমান।

যুক্তরাষ্ট্রের চাপ, ইউক্রেনের উদ্বেগ

মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকের নেতৃত্বে আসা সবশেষ শর্তে বলা হয়েছে, আগের সব আলোচনার শর্ত বাতিল করতে হবে এবং ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সম্পদ ছেড়ে দিতে হবে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন যে, ট্রাম্প প্রশাসন কিয়েভকে আরও বড় চাপের মধ্যে ফেলতে পারে, এমনকি স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করার মতো পদক্ষেপও নিতে পারে।

জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে বলেছেন, তিনি ইউক্রেনকে বিক্রি করতে পারবেন না। তিনি বলেছেন, আমি ইউক্রেনের রক্ষা করছি, আমি আমাদের দেশকে বিক্রি করতে পারি না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন যদি ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে পারে, যা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কিয়েভের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

back to top