যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য ফেডারেল সংস্থায় শিক্ষানবীস কর্মীদের গণছাঁটাইয়ের আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার এক ফেডারেল বিচারক।
বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময়) সান ফ্রান্সিসকোর ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক উইলিয়াম আলসাপ রায় দেন যে, শিক্ষানবীস কর্মীদের ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষমতা মার্কিন অফিস অব পারসোনেল ম্যানেজমেন্টের (ওপিএম) নেই।
ওপিএম গত ২০ জানুয়ারি একটি মেমো এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি ইমেইলের মাধ্যমে ফেডারেল সংস্থাগুলোকে শিক্ষানবীস কর্মীদের চিহ্নিত করে ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিল। এই নির্দেশের ভিত্তিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থা কর্মীদের চাকরিচ্যুত করার প্রস্তুতি নেয়।
তবে বিচারক আলসাপ তার রায়ে ওপিএমের এই নির্দেশনা বাতিল করেন। তিনি জানান, শিক্ষানবীস কর্মীদের ছাঁটাইয়ের ক্ষমতা সরাসরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংস্থার হাতে থাকলেও ওপিএমের এ ধরনের নির্দেশ দেওয়ার এখতিয়ার নেই।
তবে তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সংস্থাকে সরাসরি ছাঁটাই বন্ধের নির্দেশ দিতে পারেননি, কারণ একাধিক ইউনিয়ন ও অলাভজনক সংগঠনের করা মামলায় এসব সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাদী নয়।
৫,৫০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা
দিনকয়েক আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছিল, তারা প্রায় ৫,৫০০ শিক্ষানবীস কর্মীকে ছাঁটাই করতে যাচ্ছে। তবে বিচারকের আদেশের পর এই প্রক্রিয়া বাধার মুখে পড়েছে।
বিচারক আলসাপ বলেন, ন্যাশনাল পার্ক, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের সেবা সংস্থাসহ সরকারি বিভিন্ন বিভাগে কর্মীদের গণছাঁটাই দীর্ঘমেয়াদে ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে।
তিনি আরও বলেন,
“শিক্ষানবীস কর্মীরা আমাদের প্রশাসনের প্রাণশক্তি। তারা নিচের স্তর থেকে কাজ শুরু করে এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে উপরের স্তরে ওঠে। তাদের ছাঁটাই করা হলে দক্ষ জনবল তৈরিতে দীর্ঘমেয়াদে বিপর্যয় দেখা দেবে।”
রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব
বিচারক আলসাপের মতে, দুই সপ্তাহ আগে থেকেই মার্কিন বিভিন্ন সরকারি বিভাগে গণছাঁটাই শুরু হয়েছে, যা সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।
তিনি আরও বলেন,
“কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে জরুরি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে না এমন শিক্ষানবীস কর্মীদের ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত শুধু তাদের চাকরি নয়, সামগ্রিক প্রশাসনিক কার্যক্রমকেও বাধাগ্রস্ত করবে।”
বিচারকের এই আদেশের বিষয়ে হোয়াইট হাউস বা মার্কিন আইন মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এর আগে, ট্রাম্প প্রশাসনের ছাঁটাই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পেন্টাগন ও রাজস্ব বিভাগের ১১ হাজার কর্মীর চাকরি হারানোর খবর প্রকাশিত হয়।
এছাড়া, মার্কিন দূতাবাসগুলোকে কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য ফেডারেল সংস্থায় শিক্ষানবীস কর্মীদের গণছাঁটাইয়ের আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার এক ফেডারেল বিচারক।
বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময়) সান ফ্রান্সিসকোর ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক উইলিয়াম আলসাপ রায় দেন যে, শিক্ষানবীস কর্মীদের ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষমতা মার্কিন অফিস অব পারসোনেল ম্যানেজমেন্টের (ওপিএম) নেই।
ওপিএম গত ২০ জানুয়ারি একটি মেমো এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি ইমেইলের মাধ্যমে ফেডারেল সংস্থাগুলোকে শিক্ষানবীস কর্মীদের চিহ্নিত করে ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিল। এই নির্দেশের ভিত্তিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থা কর্মীদের চাকরিচ্যুত করার প্রস্তুতি নেয়।
তবে বিচারক আলসাপ তার রায়ে ওপিএমের এই নির্দেশনা বাতিল করেন। তিনি জানান, শিক্ষানবীস কর্মীদের ছাঁটাইয়ের ক্ষমতা সরাসরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংস্থার হাতে থাকলেও ওপিএমের এ ধরনের নির্দেশ দেওয়ার এখতিয়ার নেই।
তবে তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সংস্থাকে সরাসরি ছাঁটাই বন্ধের নির্দেশ দিতে পারেননি, কারণ একাধিক ইউনিয়ন ও অলাভজনক সংগঠনের করা মামলায় এসব সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাদী নয়।
৫,৫০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা
দিনকয়েক আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছিল, তারা প্রায় ৫,৫০০ শিক্ষানবীস কর্মীকে ছাঁটাই করতে যাচ্ছে। তবে বিচারকের আদেশের পর এই প্রক্রিয়া বাধার মুখে পড়েছে।
বিচারক আলসাপ বলেন, ন্যাশনাল পার্ক, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের সেবা সংস্থাসহ সরকারি বিভিন্ন বিভাগে কর্মীদের গণছাঁটাই দীর্ঘমেয়াদে ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে।
তিনি আরও বলেন,
“শিক্ষানবীস কর্মীরা আমাদের প্রশাসনের প্রাণশক্তি। তারা নিচের স্তর থেকে কাজ শুরু করে এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে উপরের স্তরে ওঠে। তাদের ছাঁটাই করা হলে দক্ষ জনবল তৈরিতে দীর্ঘমেয়াদে বিপর্যয় দেখা দেবে।”
রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব
বিচারক আলসাপের মতে, দুই সপ্তাহ আগে থেকেই মার্কিন বিভিন্ন সরকারি বিভাগে গণছাঁটাই শুরু হয়েছে, যা সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।
তিনি আরও বলেন,
“কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে জরুরি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে না এমন শিক্ষানবীস কর্মীদের ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত শুধু তাদের চাকরি নয়, সামগ্রিক প্রশাসনিক কার্যক্রমকেও বাধাগ্রস্ত করবে।”
বিচারকের এই আদেশের বিষয়ে হোয়াইট হাউস বা মার্কিন আইন মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এর আগে, ট্রাম্প প্রশাসনের ছাঁটাই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পেন্টাগন ও রাজস্ব বিভাগের ১১ হাজার কর্মীর চাকরি হারানোর খবর প্রকাশিত হয়।
এছাড়া, মার্কিন দূতাবাসগুলোকে কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে বলে জানা গেছে।