মেক্সিকো কুখ্যাত মাদক সম্রাট রাফায়েল কারো কুইন্টেরোসহ ২৯ জন মাদক চক্রের সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করেছে। বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময়) মার্কিন বিচার বিভাগের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
কারো কুইন্টেরোকে মাদক চোরাচালানকারী দল গুয়াদালাজারা কার্টেলের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে মেক্সিকান কর্তৃপক্ষ। ১৯৮৫ সালে ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ডিইএ) বিশেষ এজেন্ট এনরিক ক্যামেরিনা সালাজারকে অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায়ও তিনি জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
ফেন্টানিল পাচার ও হত্যা মামলায় অন্যতম আসামি
ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, ১৯৮৪ সালে মেক্সিকো কর্তৃপক্ষ কারো কুইন্টেরোর আড়াই হাজার একরজুড়ে থাকা গাঁজার খামারে অভিযান চালায়। এর প্রতিশোধ হিসেবেই পরের বছর সালাজারকে হত্যা করা হয়।
ওই হত্যাকাণ্ডের দায়ে কারো কুইন্টেরো ২৮ বছর মেক্সিকোর কারাগারে ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি জামিনে মুক্তি পান, তবে পরে মেক্সিকোর সুপ্রিম কোর্ট তার জামিন বাতিল করে। এফবিআই জানায়, এরপর তিনি সিনালোয়া মাদক চক্রের শীর্ষ নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন।
২০২২ সালের জুলাইয়ে মেক্সিকান নৌবাহিনীর অভিযানে তিনি ধরা পড়েন। অভিযানের সময় ব্ল্যাক হক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ১৪ নৌসেনা নিহত হন। কুইন্টেরোকে ধরতে ব্যবহৃত হয় নৌবাহিনীর একটি প্রশিক্ষিত কুকুর।
যুক্তরাষ্ট্রে বিচার হবে
ড্রাগ এনফোর্সমেন্টের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক ডেরেক এস মাল্টজ বলেন, “চার দশক ধরে সহিংসতা, ধ্বংসযজ্ঞ ও খুনখারাবির জন্য কারো কুইন্টেরো এনফোর্সমেন্টের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকার শীর্ষে ছিলেন। আজ আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন, যেখানে ন্যায়বিচার হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই হস্তান্তরের মাধ্যমে প্রতিটি মাদক পাচারকারী এবং অপরাধী সংগঠনের জন্য বার্তা দেওয়া হলো— আপনি যত দূরেই পালান, বিচারের হাত আপনাকে খুঁজে বের করবে।”
২৯ জনকে হস্তান্তর
মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় জানিয়েছে, ২৯ জন অপরাধী সংগঠনের সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, যাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন মাদক চক্রের নেতা ও ব্যবস্থাপক। তাদের বিরুদ্ধে কোকেন, মেথামফেটামিন, ফেন্টানিল ও হেরোইন পাচারের পাশাপাশি সহিংস অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
হস্তান্তরিতদের মধ্যে সিনালোয়া কার্টেল, কার্টেল ডি জালিসকো নুভা জেনেরাসিওন (সিজেএনজি), কার্টেল দেল নরেস্টে (সাবেক লস জেটাস), লো নুয়েভা ফ্যামিলিয়া মিচোয়াকানা এবং উপসাগরীয় কার্টেলের সদস্যরা রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এই অপরাধী চক্রগুলোকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
মেক্সিকো কুখ্যাত মাদক সম্রাট রাফায়েল কারো কুইন্টেরোসহ ২৯ জন মাদক চক্রের সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করেছে। বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময়) মার্কিন বিচার বিভাগের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
কারো কুইন্টেরোকে মাদক চোরাচালানকারী দল গুয়াদালাজারা কার্টেলের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে মেক্সিকান কর্তৃপক্ষ। ১৯৮৫ সালে ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ডিইএ) বিশেষ এজেন্ট এনরিক ক্যামেরিনা সালাজারকে অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায়ও তিনি জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
ফেন্টানিল পাচার ও হত্যা মামলায় অন্যতম আসামি
ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, ১৯৮৪ সালে মেক্সিকো কর্তৃপক্ষ কারো কুইন্টেরোর আড়াই হাজার একরজুড়ে থাকা গাঁজার খামারে অভিযান চালায়। এর প্রতিশোধ হিসেবেই পরের বছর সালাজারকে হত্যা করা হয়।
ওই হত্যাকাণ্ডের দায়ে কারো কুইন্টেরো ২৮ বছর মেক্সিকোর কারাগারে ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি জামিনে মুক্তি পান, তবে পরে মেক্সিকোর সুপ্রিম কোর্ট তার জামিন বাতিল করে। এফবিআই জানায়, এরপর তিনি সিনালোয়া মাদক চক্রের শীর্ষ নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন।
২০২২ সালের জুলাইয়ে মেক্সিকান নৌবাহিনীর অভিযানে তিনি ধরা পড়েন। অভিযানের সময় ব্ল্যাক হক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ১৪ নৌসেনা নিহত হন। কুইন্টেরোকে ধরতে ব্যবহৃত হয় নৌবাহিনীর একটি প্রশিক্ষিত কুকুর।
যুক্তরাষ্ট্রে বিচার হবে
ড্রাগ এনফোর্সমেন্টের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক ডেরেক এস মাল্টজ বলেন, “চার দশক ধরে সহিংসতা, ধ্বংসযজ্ঞ ও খুনখারাবির জন্য কারো কুইন্টেরো এনফোর্সমেন্টের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকার শীর্ষে ছিলেন। আজ আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন, যেখানে ন্যায়বিচার হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই হস্তান্তরের মাধ্যমে প্রতিটি মাদক পাচারকারী এবং অপরাধী সংগঠনের জন্য বার্তা দেওয়া হলো— আপনি যত দূরেই পালান, বিচারের হাত আপনাকে খুঁজে বের করবে।”
২৯ জনকে হস্তান্তর
মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় জানিয়েছে, ২৯ জন অপরাধী সংগঠনের সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, যাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন মাদক চক্রের নেতা ও ব্যবস্থাপক। তাদের বিরুদ্ধে কোকেন, মেথামফেটামিন, ফেন্টানিল ও হেরোইন পাচারের পাশাপাশি সহিংস অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
হস্তান্তরিতদের মধ্যে সিনালোয়া কার্টেল, কার্টেল ডি জালিসকো নুভা জেনেরাসিওন (সিজেএনজি), কার্টেল দেল নরেস্টে (সাবেক লস জেটাস), লো নুয়েভা ফ্যামিলিয়া মিচোয়াকানা এবং উপসাগরীয় কার্টেলের সদস্যরা রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এই অপরাধী চক্রগুলোকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।