ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য প্রস্তাবিত শর্ত বা পরিকল্পনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন-হামাস। শনিবার হামাস এক মুখপাত্র হাজেম কাসেম আল-আরাবি টিভিকে জানিয়েছেন, গাজায় দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি নিয়ে বর্তমানে কোনো আলোচনা চলছে না। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় শেষ হয়েছে শনিবার। তবে মিসরে অনুষ্ঠিত আলোচনা থেকে পরবর্তী ধাপের কোনও অগ্রগতিও ঘোষণা করা হয়নি। স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের আলোচক দল কায়রো থেকে ফিরে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার নিরাপত্তা দলের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশর বৃহস্পতিবার বলেছে, যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে ‘নিবিড়’ আলোচনায় অংশ নিতে ইসরাইল, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল কায়রোতে অবস্থান করছে। কয়েক মাসের আলোচনার পরই কেবল প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা সম্ভব হয়েছিল। তবে প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ শেষ হলেও কায়রো থেকে আলোচনার কোনও অগ্রগতি ঘোষণা করা হয়নি। এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ইসরাইল-হামাস চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার জন্য আগামী দিনগুলো ‘গুরুত্বপূর্ণ’।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের গুতেরেস বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তি অবশ্যই বহাল থাকবে। আগামী দিনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই চুক্তির ভাঙন এড়াতে উভয়পক্ষকে প্রচেষ্টা ছাড়া যাবে না। ’ অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ গাজা যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য চলতি সপ্তাহেই মধ্যঞ্চলে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক দফায় বন্দি বিনিময় হয়। যদিও এই সময়ে উভয় পক্ষই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলের সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে এএফপির করা হিসাব অনুসারে হামলায় ১ হাজার ২১৮ জন নিহত হয়েছেন। জবাবে একই দিন গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে তখন থেকে চলা ওই যুদ্ধে ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলে হামাসের চালানো হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত পরিচালনা করেছে। শনিবার এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এক সেনা কর্মকর্তা নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের ওই প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু উল্লেখ করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ হামলা ঠেকাতে না পারাটা সম্পূর্ণভাবেই সেনাবাহিনীর ব্যর্থতা।
একই সংবাদ সম্মেলনে এক জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে যে তারা অতি আত্মবিশ্বাসী ছিল। হামলার আগে হামাসের সামরিক সক্ষমতা সম্পর্কে তাদের ভুল ধারণা ছিল। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর ইসরায়েলের সেনাপ্রধান জেনারেল হারজি হালেভি বলেন, ‘এ দায় আমার।’ ৭ অক্টোবরের হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতা স্বীকার করে গত মাসেই হালেভি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য প্রস্তাবিত শর্ত বা পরিকল্পনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন-হামাস। শনিবার হামাস এক মুখপাত্র হাজেম কাসেম আল-আরাবি টিভিকে জানিয়েছেন, গাজায় দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি নিয়ে বর্তমানে কোনো আলোচনা চলছে না। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় শেষ হয়েছে শনিবার। তবে মিসরে অনুষ্ঠিত আলোচনা থেকে পরবর্তী ধাপের কোনও অগ্রগতিও ঘোষণা করা হয়নি। স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের আলোচক দল কায়রো থেকে ফিরে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার নিরাপত্তা দলের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশর বৃহস্পতিবার বলেছে, যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে ‘নিবিড়’ আলোচনায় অংশ নিতে ইসরাইল, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল কায়রোতে অবস্থান করছে। কয়েক মাসের আলোচনার পরই কেবল প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা সম্ভব হয়েছিল। তবে প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ শেষ হলেও কায়রো থেকে আলোচনার কোনও অগ্রগতি ঘোষণা করা হয়নি। এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ইসরাইল-হামাস চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার জন্য আগামী দিনগুলো ‘গুরুত্বপূর্ণ’।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের গুতেরেস বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তি অবশ্যই বহাল থাকবে। আগামী দিনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই চুক্তির ভাঙন এড়াতে উভয়পক্ষকে প্রচেষ্টা ছাড়া যাবে না। ’ অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ গাজা যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য চলতি সপ্তাহেই মধ্যঞ্চলে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক দফায় বন্দি বিনিময় হয়। যদিও এই সময়ে উভয় পক্ষই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলের সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে এএফপির করা হিসাব অনুসারে হামলায় ১ হাজার ২১৮ জন নিহত হয়েছেন। জবাবে একই দিন গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে তখন থেকে চলা ওই যুদ্ধে ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলে হামাসের চালানো হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত পরিচালনা করেছে। শনিবার এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এক সেনা কর্মকর্তা নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের ওই প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু উল্লেখ করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ হামলা ঠেকাতে না পারাটা সম্পূর্ণভাবেই সেনাবাহিনীর ব্যর্থতা।
একই সংবাদ সম্মেলনে এক জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে যে তারা অতি আত্মবিশ্বাসী ছিল। হামলার আগে হামাসের সামরিক সক্ষমতা সম্পর্কে তাদের ভুল ধারণা ছিল। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর ইসরায়েলের সেনাপ্রধান জেনারেল হারজি হালেভি বলেন, ‘এ দায় আমার।’ ৭ অক্টোবরের হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতা স্বীকার করে গত মাসেই হালেভি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।