রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্য দেওয়া বন্ধ করতে পারে আমেরিকা। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই আশঙ্কা বাড়ছিল। অস্ত্র সাহায্য বন্ধের উদ্বেগ নিয়েই শুক্রবার হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসের বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে নজিরবিহীন বিতণ্ডায় জড়ান জ়েলেনস্কি। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জে ডি ভান্সের সঙ্গে ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের বৈঠকের ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। বৈঠকে উত্তপ্ত পরিস্থিতির পর ইউক্রেনের জন্য মার্কিন অস্ত্র সাহায্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
২০২২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। তার পর থেকেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। সেই যুদ্ধে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছিল আমেরিকা-সহ ন্যাটো জোটের সদস্যরা। ফ্রান্স, জার্মানির মতো ইউরোপের একাধিক দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছিল। তবে আমেরিকার থেকেই সিংহভাগ যুদ্ধাস্ত্র পেয়েছিল ইউক্রেন। প্রায় ২ সপ্তাহ অন্তর বাইডেন প্রশাসন অস্ত্র পাঠিয়েছে ইউক্রেনে। সেই অস্ত্রের সাহায্যেই রাশিয়ার আক্রমণ এত দিন প্রতিহত করতে পেরেছে ইউক্রেন। তাই আমেরিকা অস্ত্র সাহায্য পুরোপুরি বন্ধ করলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া জ়েলেনস্কির পক্ষে কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সন্দিহান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞরা।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেনের অস্ত্র সাহায্য কমানোর কথা শোনা গিয়েছিল ট্রাম্পের মুখে। প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার দিন কয়েক আগে ইউক্রেনকে বড় অঙ্কের অস্ত্র সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র ইউক্রেনে এখনও পাঠায়নি ট্রাম্প প্রশাসন। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ওই অস্ত্র পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্যের বিষয়ে কোনও শব্দ খরচ করেননি ট্রাম্প। ট্রাম্প ও জ়েলেনস্কির হোয়াইট হাউসের বৈঠকের পর তা না পাঠানোর সম্ভাবনাই বেশি বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ মেটাতে উদ্যোগী হয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু আমেরিকার টাকায় ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ জিইয়ে রাখতে যে তিনি রাজি নন, সে কথাও জানিয়েছেন ট্রাম্প। শুক্রবার ওভাল অফিসের বৈঠকে জ়েলেনস্কিকে শান্তি ফেরানোর কথা বলেছেন ট্রাম্প। যুদ্ধ বন্ধ করে রফাসূত্র খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন। তা শুনে জেলেনস্কি অধৈর্য হয়ে তর্ক জুড়তেই ট্রাম্প তাঁকে বলেছেন, ‘আপনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলছেন।’
শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্য দেওয়া বন্ধ করতে পারে আমেরিকা। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই আশঙ্কা বাড়ছিল। অস্ত্র সাহায্য বন্ধের উদ্বেগ নিয়েই শুক্রবার হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসের বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে নজিরবিহীন বিতণ্ডায় জড়ান জ়েলেনস্কি। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জে ডি ভান্সের সঙ্গে ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের বৈঠকের ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। বৈঠকে উত্তপ্ত পরিস্থিতির পর ইউক্রেনের জন্য মার্কিন অস্ত্র সাহায্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
২০২২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। তার পর থেকেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। সেই যুদ্ধে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছিল আমেরিকা-সহ ন্যাটো জোটের সদস্যরা। ফ্রান্স, জার্মানির মতো ইউরোপের একাধিক দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছিল। তবে আমেরিকার থেকেই সিংহভাগ যুদ্ধাস্ত্র পেয়েছিল ইউক্রেন। প্রায় ২ সপ্তাহ অন্তর বাইডেন প্রশাসন অস্ত্র পাঠিয়েছে ইউক্রেনে। সেই অস্ত্রের সাহায্যেই রাশিয়ার আক্রমণ এত দিন প্রতিহত করতে পেরেছে ইউক্রেন। তাই আমেরিকা অস্ত্র সাহায্য পুরোপুরি বন্ধ করলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া জ়েলেনস্কির পক্ষে কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সন্দিহান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞরা।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেনের অস্ত্র সাহায্য কমানোর কথা শোনা গিয়েছিল ট্রাম্পের মুখে। প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার দিন কয়েক আগে ইউক্রেনকে বড় অঙ্কের অস্ত্র সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র ইউক্রেনে এখনও পাঠায়নি ট্রাম্প প্রশাসন। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ওই অস্ত্র পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্যের বিষয়ে কোনও শব্দ খরচ করেননি ট্রাম্প। ট্রাম্প ও জ়েলেনস্কির হোয়াইট হাউসের বৈঠকের পর তা না পাঠানোর সম্ভাবনাই বেশি বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ মেটাতে উদ্যোগী হয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু আমেরিকার টাকায় ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ জিইয়ে রাখতে যে তিনি রাজি নন, সে কথাও জানিয়েছেন ট্রাম্প। শুক্রবার ওভাল অফিসের বৈঠকে জ়েলেনস্কিকে শান্তি ফেরানোর কথা বলেছেন ট্রাম্প। যুদ্ধ বন্ধ করে রফাসূত্র খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন। তা শুনে জেলেনস্কি অধৈর্য হয়ে তর্ক জুড়তেই ট্রাম্প তাঁকে বলেছেন, ‘আপনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলছেন।’