ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভ্যালেরি জালুঝনি ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ফাইল ছবি : রয়টার্স
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভ্যালেরি জালুঝনি অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যমান বিশ্বব্যবস্থা ধ্বংস করছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে এক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জালুঝনি বলেন, “শুধু রাশিয়াই নয়, যুক্তরাষ্ট্রও এখন বিশ্বব্যবস্থা ভেঙে দিচ্ছে।”** তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, হোয়াইট হাউস পশ্চিমা বিশ্বের ঐক্যকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। এরপর কিয়েভ সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উদ্যোগ নেয়। তবে জালুঝনির বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, ইউক্রেন এখনো ওয়াশিংটনের অবস্থানে অসন্তুষ্ট।
ন্যাটো বিলুপ্তির শঙ্কা
সাবেক সেনাপ্রধান জালুঝনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলের ফলে সামরিক জোট ন্যাটো বিলুপ্ত হতে পারে। পাশাপাশি, রাশিয়ার পরবর্তী লক্ষ্য ইউরোপ হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
ট্রাম্প প্রশাসনের ‘গোপন আলোচনা’
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধিরা ইউক্রেনের বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। তাদের মতে, জেলেনস্কির সরে দাঁড়ানো উচিত।
জনমত জরিপ যা বলছে
ইউক্রেনের সর্বশেষ জনমতে দেখা গেছে:
* ৭০% সমর্থন রয়েছে জালুঝনির পক্ষে
* ৫৭% সমর্থন জেলেনস্কির পক্ষে
* ২০% সমর্থন সাবেক প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কোর পক্ষে
শান্তিচুক্তি নাকি চাপ?
ট্রাম্প প্রশাসন চায় ইউক্রেন শান্তিচুক্তিতে বাধ্য হোক। তবে কিয়েভ আশঙ্কা করছে, এতে রাশিয়াকে ছাড় দেওয়া হবে, কিন্তু ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা মিলবে না।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভ্যালেরি জালুঝনি ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ফাইল ছবি : রয়টার্স
শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভ্যালেরি জালুঝনি অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যমান বিশ্বব্যবস্থা ধ্বংস করছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে এক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জালুঝনি বলেন, “শুধু রাশিয়াই নয়, যুক্তরাষ্ট্রও এখন বিশ্বব্যবস্থা ভেঙে দিচ্ছে।”** তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, হোয়াইট হাউস পশ্চিমা বিশ্বের ঐক্যকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। এরপর কিয়েভ সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উদ্যোগ নেয়। তবে জালুঝনির বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, ইউক্রেন এখনো ওয়াশিংটনের অবস্থানে অসন্তুষ্ট।
ন্যাটো বিলুপ্তির শঙ্কা
সাবেক সেনাপ্রধান জালুঝনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলের ফলে সামরিক জোট ন্যাটো বিলুপ্ত হতে পারে। পাশাপাশি, রাশিয়ার পরবর্তী লক্ষ্য ইউরোপ হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
ট্রাম্প প্রশাসনের ‘গোপন আলোচনা’
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধিরা ইউক্রেনের বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। তাদের মতে, জেলেনস্কির সরে দাঁড়ানো উচিত।
জনমত জরিপ যা বলছে
ইউক্রেনের সর্বশেষ জনমতে দেখা গেছে:
* ৭০% সমর্থন রয়েছে জালুঝনির পক্ষে
* ৫৭% সমর্থন জেলেনস্কির পক্ষে
* ২০% সমর্থন সাবেক প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কোর পক্ষে
শান্তিচুক্তি নাকি চাপ?
ট্রাম্প প্রশাসন চায় ইউক্রেন শান্তিচুক্তিতে বাধ্য হোক। তবে কিয়েভ আশঙ্কা করছে, এতে রাশিয়াকে ছাড় দেওয়া হবে, কিন্তু ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা মিলবে না।