সিরিয়ার উপকূলীয় এলাকায় দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত যোদ্ধাদের সঙ্গে বর্তমান শাসকদের অনুগত বাহিনীর তীব্র সংঘর্ষে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে।
ডিসেম্বরে আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে ইসলামপন্থি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর এটিই দেশটির সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ বলে জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের তথ্য অনুযায়ী, এই লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে।
লাতাকিয়া ও তারতুজ শহরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে কারফিউ জারি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় যখন লাতাকিয়ায় একটি নিরাপত্তা অভিযান চালানোর সময় সিরিয়ার সরকারি বাহিনী অতর্কিত হামলার সম্মুখীন হয়। পরে সরকার-সমর্থিত বাহিনী আরও সেনা মোতায়েন করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে গুলি বিনিময়ের দৃশ্য দেখা গেছে। উপকূলীয় এ অঞ্চলটি শিয়া আলাউইত সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র ও আসাদ পরিবারের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
সংঘর্ষে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সিরিয়াভিত্তিক বার্তা সংস্থা স্টেপ নিউজ জানায়, সরকারি বাহিনী আসাদপন্থি প্রায় ৭০ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং জাবালেহ ও আশপাশের এলাকা থেকে ২৫ জনের বেশি লোককে আটক করেছে।
অন্যদিকে, প্যারিসভিত্তিক আরেকটি সংবাদ সংস্থা বলছে, সংঘর্ষে মোট ৪৮ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জন সরকারি বাহিনীর সদস্য, ২৮ জন আসাদপন্থি যোদ্ধা এবং চারজন সাধারণ নাগরিক।
হোমস ও আলেপ্পোতেও সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে হোমসের আবাসিক এলাকায় প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে, তবে এসব তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল হাসান আবদুল গনি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে আসাদপন্থি যোদ্ধাদের সতর্ক করে বলেন, “অস্ত্র সমর্পণ করুন, নতুবা কঠোর পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকুন।”
আলাউইত সম্প্রদায়ের সদস্যরা বলছেন, আসাদের পতনের পর থেকে তারা ব্যাপক সহিংসতার শিকার হচ্ছেন, বিশেষ করে লাতাকিয়া ও হোমস এলাকায়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার জন্য লাতাকিয়া এবং এর আশপাশের অঞ্চলগুলো বড় ধরনের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। একই সঙ্গে, দক্ষিণ সিরিয়ায় দ্রুজ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সরকার-সমর্থিত বাহিনীর সংঘর্ষের খবরও পাওয়া গেছে, যা শারার সরকারের জন্য আরও একটি কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করছে।
শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫
সিরিয়ার উপকূলীয় এলাকায় দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত যোদ্ধাদের সঙ্গে বর্তমান শাসকদের অনুগত বাহিনীর তীব্র সংঘর্ষে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে।
ডিসেম্বরে আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে ইসলামপন্থি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর এটিই দেশটির সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ বলে জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের তথ্য অনুযায়ী, এই লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে।
লাতাকিয়া ও তারতুজ শহরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে কারফিউ জারি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় যখন লাতাকিয়ায় একটি নিরাপত্তা অভিযান চালানোর সময় সিরিয়ার সরকারি বাহিনী অতর্কিত হামলার সম্মুখীন হয়। পরে সরকার-সমর্থিত বাহিনী আরও সেনা মোতায়েন করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে গুলি বিনিময়ের দৃশ্য দেখা গেছে। উপকূলীয় এ অঞ্চলটি শিয়া আলাউইত সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র ও আসাদ পরিবারের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
সংঘর্ষে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সিরিয়াভিত্তিক বার্তা সংস্থা স্টেপ নিউজ জানায়, সরকারি বাহিনী আসাদপন্থি প্রায় ৭০ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং জাবালেহ ও আশপাশের এলাকা থেকে ২৫ জনের বেশি লোককে আটক করেছে।
অন্যদিকে, প্যারিসভিত্তিক আরেকটি সংবাদ সংস্থা বলছে, সংঘর্ষে মোট ৪৮ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জন সরকারি বাহিনীর সদস্য, ২৮ জন আসাদপন্থি যোদ্ধা এবং চারজন সাধারণ নাগরিক।
হোমস ও আলেপ্পোতেও সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে হোমসের আবাসিক এলাকায় প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে, তবে এসব তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল হাসান আবদুল গনি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে আসাদপন্থি যোদ্ধাদের সতর্ক করে বলেন, “অস্ত্র সমর্পণ করুন, নতুবা কঠোর পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকুন।”
আলাউইত সম্প্রদায়ের সদস্যরা বলছেন, আসাদের পতনের পর থেকে তারা ব্যাপক সহিংসতার শিকার হচ্ছেন, বিশেষ করে লাতাকিয়া ও হোমস এলাকায়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার জন্য লাতাকিয়া এবং এর আশপাশের অঞ্চলগুলো বড় ধরনের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। একই সঙ্গে, দক্ষিণ সিরিয়ায় দ্রুজ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সরকার-সমর্থিত বাহিনীর সংঘর্ষের খবরও পাওয়া গেছে, যা শারার সরকারের জন্য আরও একটি কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করছে।