অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান শারার
লাতাকিয়ায় সিরিয়ার ইসলামপন্থি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাহিনী -এএফপি
সিরিয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় বর্তমান ইসলামপন্থী অন্তর্বর্তী সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল-আসাদ সমর্থকদের তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত ১৮০ জন নিহত হয়েছে। সিরিয়ার নতুন নেতা আহমেদ আল-শারা অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন জানুয়ারিতে। তবে ক্ষমতা দখল করার পর চলমান এ বিদ্রোহকেই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শারা।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত সংখ্যালঘু আলাউইত অধ্যুষিত এলাকায় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের চলমান দুইদিনের সংঘাতেই ১৮০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আলাউইত শহরের আল মুখতারিয়ার দুই ডজন পুরুষ বাসিন্দাও আছেন। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস ও দুই আলাউইত অধিকারকর্মী অঞ্চলের স্থানীয় জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ ও ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন এই তথ্য। সংঘাত সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শারা বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল-আসাদ সরকারের শেষ দমন ও তাদের বিচারের আওতায় আনতে সরকারি বাহিনী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যারা বেসামরিকদের ওপর আক্রমণ করছে, তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বলেছেন, বৃহস্পতিবার আসাদ সমর্থকরা তাদের বাহিনীর ওপর সুপরিকল্পিত ও মারাত্মক আক্রমণ চালালে সহিংসতা শুরু হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক মাস আগে ক্ষমতা নেওয়া শারার প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তুলতে ও দক্ষিণপশ্চিমে ইসরায়েল সৃষ্ট নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এমনিতেই হিমশিম খাচ্ছিল। তার মধ্যে আলাউইত অঞ্চলে এ বিদ্রোহ অন্তর্বর্তী সরকারকে নতুন সংকটে ফেলেছে। সিরিয়ার তেলসমৃদ্ধ উত্তরপূর্ব এখনও সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সেটি দখলে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর। এদিকে শুক্রবার দামেস্ক ও অন্যান্য শহরে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থনে সমাবেশ হয়েছে।
সিরিয়ার মিত্র দেশ, সৌদি আরব ও তুরস্ক এ বিষয়ে জানিয়েছে, সরকারি বাহিনীর পক্ষেই আছেন তারা। এদিকে জাতিসংঘের সিরিয়া বিষয়ক দূত দেশে এমন সংঘাত, বেসামরিকদের মৃত্যু নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন। আসাদের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক রাশিয়া এখন নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক গড়তে বেশ আগ্রহী। লাতাকিয়া ও এর আশপাশের সংঘাতের ঘটনায় উদ্বিগ্ন মস্কো রক্তক্ষয় বন্ধে সিরিয়ার সব পক্ষের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আসাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ ইরান বলেছে, সিরিয়ার প্রতিটি গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের নিরীহ মানুষদের নিরাপত্তাহীনতা, সহিংসতা, হত্যাকা- ও ক্ষয়ক্ষতির তীব্র বিরোধিতা করছে।
আল মুখতারিয়া থেকে পাওয়া ছবি ও ভিডিওতে শহরের কেন্দ্রে রাস্তার ধারে কাছাকাছি পড়ে থাকা অন্তত ২০টি মরদেহ দেখা গেছে। কিছু কিছু মরদেহে রক্তও দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটির স্থান নিশ্চিত হতে পেরেছে রয়টার্স। তবে কখন বা কারা এই ভিডিও করেছে তা যাচাই করা যায়নি এখনও। আলাউইত সদস্যরা এই হত্যাকা-ের জন্য ইসলামপন্থী সরকারের সঙ্গে সংযুক্ত বন্দুকধারীদের দায়ী করছেন। নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে সিরীয় বার্তা সংস্থা সানা বলছে, সরকারি বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার পর উপকূলীয় এলাকাটিতে অসংগঠিত নানা গোষ্ঠী রওনা দেয়। তারপর থেকেই সেখানে ‘বিচ্ছিন্ন সহিংসতার’ খবর পাওয়া যাচ্ছে। সংস্থাটি বলছে, এসব থামাতে কাজ করছি আমরা। এছাড়া, পশ্চিম সিরিয়ার সাহলাব গ্রামে সুপরিচিত আলাউইত নেতা ৮৬ বছর বয়সী শেখ শাবান মনসুর ও তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দুটি আলাউইত সূত্র। এ হত্যাকা-ের জন্যও গ্রামের বাসিন্দারা দামেস্কঘনিষ্ঠ যোদ্ধাদের দায়ী করেছেন।
এদিকে, বিদ্রোহীদের অস্ত্র জমা ও আত্মসমর্পণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির নতুন শাসকদের ওপর বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটার পর এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে শারা বলেন, ‘আপনারা সব সিরীয় নাগরিককে আক্রমণ এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। প্রতিশোধ নিতে গেলে আপনারা তা সহ্য করতে পারেননি। আপনাদের অস্ত্রগুলো জমা দিন এবং দেরি হওয়ার আগেই আত্মসমর্পণ করুন।’
সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে শারার বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে প্রচার করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সিরিয়ার পশ্চিম উপকূলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর এ পর্যন্ত ২৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
গত ডিসেম্বরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের জোট বাশার আল–আসাদ সরকারকে উৎখাত করে। এ জোটকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শারা। তাঁর নেতৃত্বাধীন সিরিয়ার নতুন কর্তৃপক্ষের সামনে এখন যে জটিল কাজগুলো আছে, তার একটি দেশে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা। শুক্রবারের ভাষণে শারা ‘একচেটিয়াভাবে রাষ্ট্রের হাতে অস্ত্র রাখার’ লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় আর কোনো অস্ত্র থাকবে না।’
সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, শুক্রবার সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে পাঁচটি পৃথক ঘটনায় ১৬২ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ও অধিকার কর্মীদের প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, একটি বাড়ির বাইরে বেসামরিক পোশাক পরা বেশ কয়েকটি মৃতদেহকে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। কাছাকাছি রক্তের দাগ এবং নারীদের কাঁদতে দেখা গেছে। অন্য ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, সামরিক পোশাক পরা মানুষেরা কাছ থেকে মানুষকে গুলি করছেন।
অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান শারার
লাতাকিয়ায় সিরিয়ার ইসলামপন্থি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাহিনী -এএফপি
শনিবার, ০৮ মার্চ ২০২৫
সিরিয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় বর্তমান ইসলামপন্থী অন্তর্বর্তী সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল-আসাদ সমর্থকদের তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত ১৮০ জন নিহত হয়েছে। সিরিয়ার নতুন নেতা আহমেদ আল-শারা অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন জানুয়ারিতে। তবে ক্ষমতা দখল করার পর চলমান এ বিদ্রোহকেই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শারা।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত সংখ্যালঘু আলাউইত অধ্যুষিত এলাকায় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের চলমান দুইদিনের সংঘাতেই ১৮০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আলাউইত শহরের আল মুখতারিয়ার দুই ডজন পুরুষ বাসিন্দাও আছেন। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস ও দুই আলাউইত অধিকারকর্মী অঞ্চলের স্থানীয় জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ ও ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন এই তথ্য। সংঘাত সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শারা বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল-আসাদ সরকারের শেষ দমন ও তাদের বিচারের আওতায় আনতে সরকারি বাহিনী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যারা বেসামরিকদের ওপর আক্রমণ করছে, তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বলেছেন, বৃহস্পতিবার আসাদ সমর্থকরা তাদের বাহিনীর ওপর সুপরিকল্পিত ও মারাত্মক আক্রমণ চালালে সহিংসতা শুরু হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক মাস আগে ক্ষমতা নেওয়া শারার প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তুলতে ও দক্ষিণপশ্চিমে ইসরায়েল সৃষ্ট নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এমনিতেই হিমশিম খাচ্ছিল। তার মধ্যে আলাউইত অঞ্চলে এ বিদ্রোহ অন্তর্বর্তী সরকারকে নতুন সংকটে ফেলেছে। সিরিয়ার তেলসমৃদ্ধ উত্তরপূর্ব এখনও সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সেটি দখলে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর। এদিকে শুক্রবার দামেস্ক ও অন্যান্য শহরে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থনে সমাবেশ হয়েছে।
সিরিয়ার মিত্র দেশ, সৌদি আরব ও তুরস্ক এ বিষয়ে জানিয়েছে, সরকারি বাহিনীর পক্ষেই আছেন তারা। এদিকে জাতিসংঘের সিরিয়া বিষয়ক দূত দেশে এমন সংঘাত, বেসামরিকদের মৃত্যু নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন। আসাদের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক রাশিয়া এখন নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক গড়তে বেশ আগ্রহী। লাতাকিয়া ও এর আশপাশের সংঘাতের ঘটনায় উদ্বিগ্ন মস্কো রক্তক্ষয় বন্ধে সিরিয়ার সব পক্ষের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আসাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ ইরান বলেছে, সিরিয়ার প্রতিটি গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের নিরীহ মানুষদের নিরাপত্তাহীনতা, সহিংসতা, হত্যাকা- ও ক্ষয়ক্ষতির তীব্র বিরোধিতা করছে।
আল মুখতারিয়া থেকে পাওয়া ছবি ও ভিডিওতে শহরের কেন্দ্রে রাস্তার ধারে কাছাকাছি পড়ে থাকা অন্তত ২০টি মরদেহ দেখা গেছে। কিছু কিছু মরদেহে রক্তও দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটির স্থান নিশ্চিত হতে পেরেছে রয়টার্স। তবে কখন বা কারা এই ভিডিও করেছে তা যাচাই করা যায়নি এখনও। আলাউইত সদস্যরা এই হত্যাকা-ের জন্য ইসলামপন্থী সরকারের সঙ্গে সংযুক্ত বন্দুকধারীদের দায়ী করছেন। নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে সিরীয় বার্তা সংস্থা সানা বলছে, সরকারি বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার পর উপকূলীয় এলাকাটিতে অসংগঠিত নানা গোষ্ঠী রওনা দেয়। তারপর থেকেই সেখানে ‘বিচ্ছিন্ন সহিংসতার’ খবর পাওয়া যাচ্ছে। সংস্থাটি বলছে, এসব থামাতে কাজ করছি আমরা। এছাড়া, পশ্চিম সিরিয়ার সাহলাব গ্রামে সুপরিচিত আলাউইত নেতা ৮৬ বছর বয়সী শেখ শাবান মনসুর ও তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দুটি আলাউইত সূত্র। এ হত্যাকা-ের জন্যও গ্রামের বাসিন্দারা দামেস্কঘনিষ্ঠ যোদ্ধাদের দায়ী করেছেন।
এদিকে, বিদ্রোহীদের অস্ত্র জমা ও আত্মসমর্পণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির নতুন শাসকদের ওপর বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটার পর এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে শারা বলেন, ‘আপনারা সব সিরীয় নাগরিককে আক্রমণ এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। প্রতিশোধ নিতে গেলে আপনারা তা সহ্য করতে পারেননি। আপনাদের অস্ত্রগুলো জমা দিন এবং দেরি হওয়ার আগেই আত্মসমর্পণ করুন।’
সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে শারার বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে প্রচার করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সিরিয়ার পশ্চিম উপকূলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর এ পর্যন্ত ২৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
গত ডিসেম্বরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের জোট বাশার আল–আসাদ সরকারকে উৎখাত করে। এ জোটকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শারা। তাঁর নেতৃত্বাধীন সিরিয়ার নতুন কর্তৃপক্ষের সামনে এখন যে জটিল কাজগুলো আছে, তার একটি দেশে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা। শুক্রবারের ভাষণে শারা ‘একচেটিয়াভাবে রাষ্ট্রের হাতে অস্ত্র রাখার’ লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় আর কোনো অস্ত্র থাকবে না।’
সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, শুক্রবার সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে পাঁচটি পৃথক ঘটনায় ১৬২ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ও অধিকার কর্মীদের প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, একটি বাড়ির বাইরে বেসামরিক পোশাক পরা বেশ কয়েকটি মৃতদেহকে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। কাছাকাছি রক্তের দাগ এবং নারীদের কাঁদতে দেখা গেছে। অন্য ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, সামরিক পোশাক পরা মানুষেরা কাছ থেকে মানুষকে গুলি করছেন।