পারমাণবিক সমস্যা নিয়ে ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বছরে চীন। আজ শুক্রবার বেইজিংয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে ইরান ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেবেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। জানুয়ারিতে দুই দেশের একটি কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। উভয় দেশের সঙ্গে চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বুধবার নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মা ঝাওসু ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে ইরানের ইউরেনিয়াম মজুত সম্প্রসারণের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।
ইরানের সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের আলাপ-আলোচনায় যোগসূত্র হিসেবে কাজ করতে রাজি হয়েছে রাশিয়া এমন খবর প্রকাশের পর সপ্তাহে দেশটি বলেছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার বিষয়ে রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ মস্কোয় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত কাজেম জালালির সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ২০১৫ সালে ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরান একটি যৌথ কর্মপরিকল্পনা চুক্তিতে পৌঁছেছিল। এর ফলে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে বিধিনিষেধ আরোপের বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন এই পরিকল্পনা থেকে বেরিয়ে আসে এবং ইরান তার পারমাণবিক-সম্পর্কিত প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসতে শুরু করে। চীন বলেছে, তারা ইরানের বৈধ অধিকার রক্ষা এবং ইরানের পারমাণবিক চুক্তি দ্রুত পুনরায় চালু করার বিষয়টিকে সমর্থন করে।
এদিকে, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তেহরান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে একটি চিঠি পাওয়ার খবর নিশ্চিত করার পর তিনি এ কথা জানিয়েছেন। সপ্তাহে ট্রাম্প বলেছিলেন, ওই চিঠিতে এমন একটি চুক্তির বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র গ্রহণ করা থেকে বিরত রাখবে এবং দেশটি সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের সম্মুখীন হওয়া এড়াতে সক্ষম হবে।
যদিও খামেনি বলেছেন, তিনি চিঠিটি দেখেননি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে এটি পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ভ্রান্ত জনমত তৈরি করবে বলে এটি উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। যখন আমরা জানি তারা (যুক্তরাষ্ট্র) এটির সম্মান করবে না, তাহলে এ আলোচনার কি কোনো অর্থ আছে?
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রথম মেয়াদে ২০১৫ সালে সই হওয়া ইরানের পারমাণবিক চুক্তি থেকে তাঁর দেশকে বের করে নিয়ে আসেন। সেদিকে ইঙ্গিত করে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘যখন আমরা জানি, তারা এটির সম্মান করবে না, তাহলে এ আলোচনার কি কোনো অর্থ আছে?’ ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় হামলা চালালে এর প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন আয়াতুল্লাহ খামেনি। তিনি বলেন, ‘ইরান যুদ্ধ চায় না। তবে মার্কিনরা বা তাঁদের এজেন্টরা যদি কোনো ভুল পদক্ষেপ নেয়, আমাদের জবাব হবে চূড়ান্ত ও নিশ্চিত। আর এতে বেশি ক্ষতির শিকার হবে যুক্তরাষ্ট্র।’
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
পারমাণবিক সমস্যা নিয়ে ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বছরে চীন। আজ শুক্রবার বেইজিংয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে ইরান ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেবেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। জানুয়ারিতে দুই দেশের একটি কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। উভয় দেশের সঙ্গে চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বুধবার নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মা ঝাওসু ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে ইরানের ইউরেনিয়াম মজুত সম্প্রসারণের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।
ইরানের সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের আলাপ-আলোচনায় যোগসূত্র হিসেবে কাজ করতে রাজি হয়েছে রাশিয়া এমন খবর প্রকাশের পর সপ্তাহে দেশটি বলেছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার বিষয়ে রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ মস্কোয় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত কাজেম জালালির সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ২০১৫ সালে ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরান একটি যৌথ কর্মপরিকল্পনা চুক্তিতে পৌঁছেছিল। এর ফলে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে বিধিনিষেধ আরোপের বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন এই পরিকল্পনা থেকে বেরিয়ে আসে এবং ইরান তার পারমাণবিক-সম্পর্কিত প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসতে শুরু করে। চীন বলেছে, তারা ইরানের বৈধ অধিকার রক্ষা এবং ইরানের পারমাণবিক চুক্তি দ্রুত পুনরায় চালু করার বিষয়টিকে সমর্থন করে।
এদিকে, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তেহরান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে একটি চিঠি পাওয়ার খবর নিশ্চিত করার পর তিনি এ কথা জানিয়েছেন। সপ্তাহে ট্রাম্প বলেছিলেন, ওই চিঠিতে এমন একটি চুক্তির বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র গ্রহণ করা থেকে বিরত রাখবে এবং দেশটি সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের সম্মুখীন হওয়া এড়াতে সক্ষম হবে।
যদিও খামেনি বলেছেন, তিনি চিঠিটি দেখেননি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে এটি পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ভ্রান্ত জনমত তৈরি করবে বলে এটি উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। যখন আমরা জানি তারা (যুক্তরাষ্ট্র) এটির সম্মান করবে না, তাহলে এ আলোচনার কি কোনো অর্থ আছে?
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রথম মেয়াদে ২০১৫ সালে সই হওয়া ইরানের পারমাণবিক চুক্তি থেকে তাঁর দেশকে বের করে নিয়ে আসেন। সেদিকে ইঙ্গিত করে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘যখন আমরা জানি, তারা এটির সম্মান করবে না, তাহলে এ আলোচনার কি কোনো অর্থ আছে?’ ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় হামলা চালালে এর প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন আয়াতুল্লাহ খামেনি। তিনি বলেন, ‘ইরান যুদ্ধ চায় না। তবে মার্কিনরা বা তাঁদের এজেন্টরা যদি কোনো ভুল পদক্ষেপ নেয়, আমাদের জবাব হবে চূড়ান্ত ও নিশ্চিত। আর এতে বেশি ক্ষতির শিকার হবে যুক্তরাষ্ট্র।’