মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস প্রথম বিষয়টি প্রকাশ্যে আনে। তাদের প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট দিনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে সূত্রের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্ট জানিয়েছে, উইটকফ ৫০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিয়েছেন।
এক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি কয়েক সপ্তাহ বাড়ানোর জন্য একটি পরিমার্জিত মার্কিন প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। এ বিষয়ে অবগত চারটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, এই ধাপে হামাস বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা পুনরায় চালু করা হবে।
জেরুসালেম পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত রূপরেখার অংশ হিসেবে হামাস পাঁচ জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং ৯ মৃত জিম্মির দেহ হস্তান্তর করবে। বিনিময়ে ইসরায়েল ১ মার্চ থেকে শুরু করে ৫০ দিনের যুদ্ধবিরতি মঞ্জুর করবে। এই ৫০ দিনের যুদ্ধবিরতি ২০ এপ্রিল শেষ হবে এবং এই সময়েই যুদ্ধবিরতি চুক্তির ধারাবাহিকতা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
সূত্রটি জেরুসালেম পোস্টকে জানিয়েছে, তারা ‘চুক্তি হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী’ এবং ‘বিভিন্ন পক্ষের আলোচক দলগুলোর কাতারে থেকে যাওয়াকে’ তিনি ‘ভালো লক্ষণ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এদিকে, এক্সিওসকে দুটি সূত্র জানিয়েছে, এই প্রস্তাব মূলত ট্রাম্প প্রশাসনেরই বর্ধিত প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে আলোচনার জন্য আরও সময় বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে এবং পবিত্র রমজান মাস ও ইহুদি উৎসব পাসওভারের সময় যুদ্ধ যাতে পুনরায় শুরু না হয় তা ঠেকানোর চেষ্টা করা হবে।
এর আগে, গাজায় ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি ১ মার্চ শেষ হয়েছে। এরপর যুদ্ধ পুনরায় শুরু না হলেও, ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে জিম্মি মুক্তি দিতে রাজি করাতে হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে। গাজায় এখনো ৫৯ জন জিম্মি আটক আছেন। ইসরায়েলি ও মার্কিন কর্মকর্তাদের অনুমান, এদের মধ্যে ২২ জন জীবিত এবং এদের মধ্য একজন মার্কিন নাগরিক এডান আলেকজান্ডার।
উইটকফ মঙ্গলবার রাতে দোহায় পৌঁছান এবং কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের পাশাপাশি দোহায় অবস্থানরত ইসরায়েলি আলোচকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি কাতারের প্রধানমন্ত্রী এবং মিসর, জর্ডান ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করেন। বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এবং ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের একজন ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মিসরের গাজা-পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস প্রথম বিষয়টি প্রকাশ্যে আনে। তাদের প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট দিনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে সূত্রের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্ট জানিয়েছে, উইটকফ ৫০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিয়েছেন।
এক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি কয়েক সপ্তাহ বাড়ানোর জন্য একটি পরিমার্জিত মার্কিন প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। এ বিষয়ে অবগত চারটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, এই ধাপে হামাস বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা পুনরায় চালু করা হবে।
জেরুসালেম পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত রূপরেখার অংশ হিসেবে হামাস পাঁচ জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং ৯ মৃত জিম্মির দেহ হস্তান্তর করবে। বিনিময়ে ইসরায়েল ১ মার্চ থেকে শুরু করে ৫০ দিনের যুদ্ধবিরতি মঞ্জুর করবে। এই ৫০ দিনের যুদ্ধবিরতি ২০ এপ্রিল শেষ হবে এবং এই সময়েই যুদ্ধবিরতি চুক্তির ধারাবাহিকতা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
সূত্রটি জেরুসালেম পোস্টকে জানিয়েছে, তারা ‘চুক্তি হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী’ এবং ‘বিভিন্ন পক্ষের আলোচক দলগুলোর কাতারে থেকে যাওয়াকে’ তিনি ‘ভালো লক্ষণ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এদিকে, এক্সিওসকে দুটি সূত্র জানিয়েছে, এই প্রস্তাব মূলত ট্রাম্প প্রশাসনেরই বর্ধিত প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে আলোচনার জন্য আরও সময় বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে এবং পবিত্র রমজান মাস ও ইহুদি উৎসব পাসওভারের সময় যুদ্ধ যাতে পুনরায় শুরু না হয় তা ঠেকানোর চেষ্টা করা হবে।
এর আগে, গাজায় ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি ১ মার্চ শেষ হয়েছে। এরপর যুদ্ধ পুনরায় শুরু না হলেও, ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে জিম্মি মুক্তি দিতে রাজি করাতে হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে। গাজায় এখনো ৫৯ জন জিম্মি আটক আছেন। ইসরায়েলি ও মার্কিন কর্মকর্তাদের অনুমান, এদের মধ্যে ২২ জন জীবিত এবং এদের মধ্য একজন মার্কিন নাগরিক এডান আলেকজান্ডার।
উইটকফ মঙ্গলবার রাতে দোহায় পৌঁছান এবং কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের পাশাপাশি দোহায় অবস্থানরত ইসরায়েলি আলোচকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি কাতারের প্রধানমন্ত্রী এবং মিসর, জর্ডান ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করেন। বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এবং ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের একজন ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মিসরের গাজা-পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।