alt

২০২৪ সালে আরও একদফা বেড়েছে সমুদ্রের উচ্চতা

রেকর্ড তাপমাত্রা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

বাৎসরিক তাপমাত্রার রেকর্ড রাখার রীতির প্রচলনের পর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে উষ্ণ বছরটি ছিল ২০২৪ সাল, অর্থাৎ গত বছর। ব্যাপক উষ্ণতা ও তাপমাত্রার জেরে উত্তর ও দক্ষিণমেরুসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অনেক হিমবাহ দ্রুতহারে গলছে, ফলে বিগত বছরগুলোর মতো ২০২৪ সালেও বেড়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা।

জাতিসংঘের জলবায়ু পর্যবেক্ষণ বিষয়ক অঙ্গসংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলোজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৪ সালে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এর আগের বছর ২০২৩ সালে যে পরিমাণ তাপমাত্রা বেড়েছে, তার চেয়ে দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বেড়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাও। ডব্লিউএমও’র তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালে সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় উচ্চতা ৪ দশমিক ৭ মিলিমিটার বেড়েছে।

বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডসহ বিভিন্ন গ্রিনহাউস গ্যাসের উপস্থিতি প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকাই উষ্ণতা বৃদ্ধির মূল কারণ। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ জীবশ্ম জ্বালানি পোড়ানো, বন-জঙ্গল ধ্বংস, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও নগরায়ন বাতাসে গ্রিন হাউস গ্যাসের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য দায়ী।

২০১৫ সালে প্যারিসে জাতিসংঘের উদ্যোগে যে জলবায়ু সম্মেলন হয়েছিল, সেখানে সদস্যরাষ্ট্রগুলো এই মর্মে একমত হয়েছিল যে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির বেশি বাড়তে দেওয়া যাবে না। এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেছিল সদস্যরাষ্ট্রগুলো। চুক্তিটি প্যারিস চুক্তি নামে পরিচিত।

সেই হিসেবে গত বছরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির তথ্য বেশ হতাশাজনক। তবে ডব্লিউএমও’র শীর্ষ বিজ্ঞানী, সমন্বয়ক ও এই প্রদিবেদেন প্রধান লেখক জন কেনেডি বলেছেন, “এক বছরে গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি বৃদ্ধি হতাশাজনক। তবে তার মানে এই নয় যে প্যারিস চুক্তি ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। যদি আমাদের সদিচ্ছা থাকে, তাহলে এখনও আমরা এই সংকট মোকাবিলায় অনেক কিছু করতে পারি।”

প্রসঙ্গত, তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে গত বছর বিশ্বজুড়ে ঝড়, অতিবর্ষণ, খরার, দীর্ঘমেয়াদী তাপপ্রবাহের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের হারও ছিল বেশি। জাতিসংঘের হিসেব অনুসারে, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ২০২৪ সালে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত ৮ লাখ মানুষ, যা ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ।

ছবি

২৬ মার্কিন ধনকুবেরের সোয়া দুই কোটি ডলারও মামদানির জয় ঠেকাতে পারেনি

ছবি

আফগানিস্তান-পাকিস্তান শান্তি আলোচনা ব্যর্থ, যুদ্ধবিরতি এখনও বহাল

ছবি

পুতিনের সঙ্গে এখনও বৈঠকের সুযোগ আছে : ট্রাম্প

ছবি

ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা

ছবি

সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের নাম মুছলো যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

অ্যান্টার্কটিকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে

ছবি

ভেস্তে গেলো আফগানিস্তান-পাকিস্তান আলোচনা

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত : রাজনাথ সিং

ছবি

প্রভাবশালী মার্কিন ডানপন্থিরা মামদানিকে আইএসের সঙ্গে জড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন

ছবি

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প

ছবি

ট্রাম্প-মামদানি কি সমানে সমান

ছবি

কেন দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন সুদানের নাগরিকরা

ছবি

গাজার নিরাপত্তায় আইএসএফ গঠনের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো জাতিসংঘ

ছবি

ইতিহাসের সবচেয়ে গরম বছরগুলোর একটি হতে যাচ্ছে ২০২৫

ছবি

ইতিহাসে সর্বোচ্চ বেতন-ভাতা মাস্কের

ছবি

পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির নির্দেশ পুতিনের

ছবি

মামদানির জয়, নিউইয়র্কের ইহুদিদের দেশে চলে আসতে বললেন ইসরায়েলি মন্ত্রী

ছবি

মামদানি সম্মানজনক আচরণ করলে তাঁকে সহায়তা করব: ট্রাম্প

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ প্রায় শেষ

ছবি

১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবে সৌদি আরব

ছবি

নিউইয়র্কে ইতিহাস: পাঁচ নারী নিয়ে মেয়র মামদানির প্রশাসনের সূচনা

ছবি

নিউইয়র্কের মেয়র মামদানি: নতুন ইতিহাস, ট্রাম্পের জন্য বড় ধাক্কা

ছবি

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রথম দিনই দিয়েছিলাম: ভারত

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে উড্ডয়নের পরপরই বিমান বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ৩

ছবি

মামদানিকে সমর্থন দেয়া ইহুদিদের ‘স্টুপিড’ বললেন ট্রাম্প

ছবি

যুদ্ধবিরতি চললেও ত্রাণ প্রবেশে বাধা, ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী

ছবি

সুদানে গণহত্যার প্রমাণ লোপাটে ‘গণকবর’ দিচ্ছে আরএসএফ

ছবি

মামদানির ঐতিহাসিক জয়ের রহস্য কী

ছবি

ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন হচ্ছে কানাডার দরজা

ছবি

‘সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুদণ্ড’ বিল পাসের পথে ইসরায়েলি সংসদ

ছবি

নিউইয়র্কে মামদানি জিতলে ফেডারেল তহবিল কমানোর হুমকি ট্রাম্পের

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫ দিন ধরে অচল সরকার, বিমানবন্দরে তীব্র বিশৃঙ্খলা

ছবি

সুদানে ছড়িয়ে পড়ছে সংঘাত, পালাচ্ছে মানুষ

ছবি

গাজায় হাসপাতালে ধুঁকছে রোগী

tab

২০২৪ সালে আরও একদফা বেড়েছে সমুদ্রের উচ্চতা

রেকর্ড তাপমাত্রা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

বাৎসরিক তাপমাত্রার রেকর্ড রাখার রীতির প্রচলনের পর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে উষ্ণ বছরটি ছিল ২০২৪ সাল, অর্থাৎ গত বছর। ব্যাপক উষ্ণতা ও তাপমাত্রার জেরে উত্তর ও দক্ষিণমেরুসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অনেক হিমবাহ দ্রুতহারে গলছে, ফলে বিগত বছরগুলোর মতো ২০২৪ সালেও বেড়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা।

জাতিসংঘের জলবায়ু পর্যবেক্ষণ বিষয়ক অঙ্গসংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলোজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৪ সালে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এর আগের বছর ২০২৩ সালে যে পরিমাণ তাপমাত্রা বেড়েছে, তার চেয়ে দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বেড়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাও। ডব্লিউএমও’র তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালে সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় উচ্চতা ৪ দশমিক ৭ মিলিমিটার বেড়েছে।

বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডসহ বিভিন্ন গ্রিনহাউস গ্যাসের উপস্থিতি প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকাই উষ্ণতা বৃদ্ধির মূল কারণ। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ জীবশ্ম জ্বালানি পোড়ানো, বন-জঙ্গল ধ্বংস, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও নগরায়ন বাতাসে গ্রিন হাউস গ্যাসের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য দায়ী।

২০১৫ সালে প্যারিসে জাতিসংঘের উদ্যোগে যে জলবায়ু সম্মেলন হয়েছিল, সেখানে সদস্যরাষ্ট্রগুলো এই মর্মে একমত হয়েছিল যে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির বেশি বাড়তে দেওয়া যাবে না। এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেছিল সদস্যরাষ্ট্রগুলো। চুক্তিটি প্যারিস চুক্তি নামে পরিচিত।

সেই হিসেবে গত বছরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির তথ্য বেশ হতাশাজনক। তবে ডব্লিউএমও’র শীর্ষ বিজ্ঞানী, সমন্বয়ক ও এই প্রদিবেদেন প্রধান লেখক জন কেনেডি বলেছেন, “এক বছরে গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি বৃদ্ধি হতাশাজনক। তবে তার মানে এই নয় যে প্যারিস চুক্তি ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। যদি আমাদের সদিচ্ছা থাকে, তাহলে এখনও আমরা এই সংকট মোকাবিলায় অনেক কিছু করতে পারি।”

প্রসঙ্গত, তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে গত বছর বিশ্বজুড়ে ঝড়, অতিবর্ষণ, খরার, দীর্ঘমেয়াদী তাপপ্রবাহের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের হারও ছিল বেশি। জাতিসংঘের হিসেব অনুসারে, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ২০২৪ সালে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত ৮ লাখ মানুষ, যা ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ।

back to top