বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ সিগন্যালে সামরিক পরিকল্পনাসংক্রান্ত চ্যাটে এক সাংবাদিক যুক্ত হওয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনাকে অনেক সংবাদমাধ্যম “সিগন্যাল-গেট” নামে অভিহিত করছে।
গতকাল মঙ্গলবার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের শুনানিতে তিন শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে কড়া জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়। তারা হলেন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড, সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ ও এফবিআই পরিচালক ক্যাশ প্যাটেল।
শুনানিতে ডেমোক্র্যাট সিনেটররা বিষয়টিকে গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে তুলে ধরেন এবং বিশৃঙ্খলা, অসতর্কতা ও অদক্ষতার অভিযোগ আনেন। তবে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা ঘটনাটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
সিগন্যাল চ্যাট গ্রুপে ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য। সেখানে ভুলবশত যুক্ত করা হয় দ্য আটলান্টিক পত্রিকার সাংবাদিক জেফরি গোল্ডবার্গকে।
এই চ্যাটে ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা নিয়ে আলোচনা হয়, যার ফলে হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই সাংবাদিকটি তথ্য পেয়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎজ ভুল করে গোল্ডবার্গকে গ্রুপে যুক্ত করেন।
ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার এই ঘটনায় দ্বিদলীয় তদন্তের দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “যুদ্ধ পরিকল্পনার এমন বিশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।”
তবে সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ শুনানিতে দাবি করেন, “ওই চ্যাটে গোপনীয় কোনো তথ্য ছিল না।” তিনি আরও বলেন, সিগন্যালের মাধ্যমে যোগাযোগের অনুমোদন আছে।
জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড শুরুতে স্বীকার না করলেও পরে বলেন, “অনিচ্ছাকৃত তথ্য প্রকাশ আর উদ্দেশ্যমূলক তথ্য ফাঁসের মধ্যে পার্থক্য আছে।”
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। হোয়াইট হাউসের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “চ্যাটে গোপনীয় কিছু ছিল না। হামলা সফল হয়েছে।”
তথ্য ফাঁসের ঘটনায় কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি সিগন্যাল অ্যাপ সম্পর্কে কিছু জানি না, তবে ভবিষ্যতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সম্ভবত এটি ব্যবহার করবেন না।”
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ সিগন্যালে সামরিক পরিকল্পনাসংক্রান্ত চ্যাটে এক সাংবাদিক যুক্ত হওয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনাকে অনেক সংবাদমাধ্যম “সিগন্যাল-গেট” নামে অভিহিত করছে।
গতকাল মঙ্গলবার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের শুনানিতে তিন শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে কড়া জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়। তারা হলেন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড, সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ ও এফবিআই পরিচালক ক্যাশ প্যাটেল।
শুনানিতে ডেমোক্র্যাট সিনেটররা বিষয়টিকে গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে তুলে ধরেন এবং বিশৃঙ্খলা, অসতর্কতা ও অদক্ষতার অভিযোগ আনেন। তবে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা ঘটনাটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
সিগন্যাল চ্যাট গ্রুপে ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য। সেখানে ভুলবশত যুক্ত করা হয় দ্য আটলান্টিক পত্রিকার সাংবাদিক জেফরি গোল্ডবার্গকে।
এই চ্যাটে ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা নিয়ে আলোচনা হয়, যার ফলে হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই সাংবাদিকটি তথ্য পেয়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎজ ভুল করে গোল্ডবার্গকে গ্রুপে যুক্ত করেন।
ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার এই ঘটনায় দ্বিদলীয় তদন্তের দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “যুদ্ধ পরিকল্পনার এমন বিশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।”
তবে সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ শুনানিতে দাবি করেন, “ওই চ্যাটে গোপনীয় কোনো তথ্য ছিল না।” তিনি আরও বলেন, সিগন্যালের মাধ্যমে যোগাযোগের অনুমোদন আছে।
জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড শুরুতে স্বীকার না করলেও পরে বলেন, “অনিচ্ছাকৃত তথ্য প্রকাশ আর উদ্দেশ্যমূলক তথ্য ফাঁসের মধ্যে পার্থক্য আছে।”
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। হোয়াইট হাউসের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “চ্যাটে গোপনীয় কিছু ছিল না। হামলা সফল হয়েছে।”
তথ্য ফাঁসের ঘটনায় কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি সিগন্যাল অ্যাপ সম্পর্কে কিছু জানি না, তবে ভবিষ্যতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সম্ভবত এটি ব্যবহার করবেন না।”