ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার বনাঞ্চলে বন্দুকযুদ্ধে চার পুলিশ সদস্য ও দুই সন্দেহভাজন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘রাইজিং স্টার কর্পস’ জানায়, জম্মুর দক্ষিণাঞ্চলের বনাঞ্চলে ‘নিরবচ্ছিন্ন অভিযান’ চালিয়ে ‘দুই সন্ত্রাসীকে নির্মূল’ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ‘আমরা তিনজন পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছি এবং আরও এক পুলিশ সদস্য ও দুই বিদ্রোহীর মরদেহ বনাঞ্চলে পড়ে থাকতে দেখেছি।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ওই এলাকা থেকে দুটি গ্রেনেড, একটি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, খালি কার্তুজ ও কিছু অ্যাসল্ট রাইফেলের ম্যাগাজিনসহ বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর বিদ্রোহীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের স্থানের কাছে টহল দিচ্ছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
কাশ্মীর অঞ্চলে সর্বশেষ সহিংসতা শুরু হয় বৃহস্পতিবার, যখন জম্মুর দক্ষিণ অঞ্চলের কাঠুয়া শহরের নিকটবর্তী বনাঞ্চলে এক পুলিশ টহল দলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। পুলিশপ্রধান নলিন প্রভাত জানান, নিরাপত্তা বাহিনী চার দিন আগে যে বিদ্রোহীদের ঘিরে রেখেছিল, তারা পালিয়ে গিয়েছিল এবং পরবর্তীতে এই হামলা চালিয়েছে।
প্রভাত দাবি করেন, হামলাকারীরা পাকিস্তান থেকে এসেছিল, তবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
মুসলিম-অধ্যুষিত কাশ্মীর অঞ্চলটি গত ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে। উভয় দেশই পুরো কাশ্মীরের ওপর দাবি করে আসছে।
ভারত নিয়মিতভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে যে, তারা কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে যোদ্ধাদের পাঠায়, যারা ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং জানায় যে, তারা কেবল কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের লড়াইকে সমর্থন করে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীরের স্বাধীনতা বা পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত হওয়ার দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার বনাঞ্চলে বন্দুকযুদ্ধে চার পুলিশ সদস্য ও দুই সন্দেহভাজন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘রাইজিং স্টার কর্পস’ জানায়, জম্মুর দক্ষিণাঞ্চলের বনাঞ্চলে ‘নিরবচ্ছিন্ন অভিযান’ চালিয়ে ‘দুই সন্ত্রাসীকে নির্মূল’ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ‘আমরা তিনজন পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছি এবং আরও এক পুলিশ সদস্য ও দুই বিদ্রোহীর মরদেহ বনাঞ্চলে পড়ে থাকতে দেখেছি।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ওই এলাকা থেকে দুটি গ্রেনেড, একটি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, খালি কার্তুজ ও কিছু অ্যাসল্ট রাইফেলের ম্যাগাজিনসহ বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর বিদ্রোহীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের স্থানের কাছে টহল দিচ্ছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
কাশ্মীর অঞ্চলে সর্বশেষ সহিংসতা শুরু হয় বৃহস্পতিবার, যখন জম্মুর দক্ষিণ অঞ্চলের কাঠুয়া শহরের নিকটবর্তী বনাঞ্চলে এক পুলিশ টহল দলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। পুলিশপ্রধান নলিন প্রভাত জানান, নিরাপত্তা বাহিনী চার দিন আগে যে বিদ্রোহীদের ঘিরে রেখেছিল, তারা পালিয়ে গিয়েছিল এবং পরবর্তীতে এই হামলা চালিয়েছে।
প্রভাত দাবি করেন, হামলাকারীরা পাকিস্তান থেকে এসেছিল, তবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
মুসলিম-অধ্যুষিত কাশ্মীর অঞ্চলটি গত ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে। উভয় দেশই পুরো কাশ্মীরের ওপর দাবি করে আসছে।
ভারত নিয়মিতভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে যে, তারা কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে যোদ্ধাদের পাঠায়, যারা ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং জানায় যে, তারা কেবল কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের লড়াইকে সমর্থন করে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীরের স্বাধীনতা বা পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত হওয়ার দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।