মায়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের জীবিত উদ্ধারে এখনও জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। সোমবারও কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে, থাইল্যান্ডের ধ্বংসস্তূপের নিচেও মিলেছে প্রাণের স্পন্দন।
২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা সামরিক জান্তার শাসনে থাকা মায়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধ উদ্ধারকাজকে কঠিন করে তুলেছে। বিশেষ করে সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বাধার কারণে উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারছেন না।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিকম্পকবলিত মান্দালয় থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া ভবনগুলো থেকে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও একটি মেয়েকে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছেন।
মায়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) আশঙ্কা করেছে যে, মায়ানমারে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াতে পারে।
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ধসে পড়া একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ভবন ধসে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। দেশজুড়ে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ জনে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৭৫ জন।
উদ্ধারকাজে সহায়তা করতে চীন, ভারত, থাইল্যান্ডসহ প্রতিবেশী দেশগুলো মায়ানমারে ত্রাণ সামগ্রী ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও রাশিয়াও।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বেঁচে যাওয়া মানুষদের দ্রুত ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে। তবে, ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট মানবিক সংকটের মধ্যেও মায়ানমারের সামরিক বাহিনী শহর ও গ্রামগুলোতে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোর কারণে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপে ভরা জনপদে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হচ্ছে বহু মানুষকে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটসহ নানা সমস্যার মুখোমুখি তারা।
মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫
মায়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের জীবিত উদ্ধারে এখনও জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। সোমবারও কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে, থাইল্যান্ডের ধ্বংসস্তূপের নিচেও মিলেছে প্রাণের স্পন্দন।
২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা সামরিক জান্তার শাসনে থাকা মায়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধ উদ্ধারকাজকে কঠিন করে তুলেছে। বিশেষ করে সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বাধার কারণে উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারছেন না।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিকম্পকবলিত মান্দালয় থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া ভবনগুলো থেকে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও একটি মেয়েকে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছেন।
মায়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) আশঙ্কা করেছে যে, মায়ানমারে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াতে পারে।
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ধসে পড়া একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ভবন ধসে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। দেশজুড়ে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ জনে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৭৫ জন।
উদ্ধারকাজে সহায়তা করতে চীন, ভারত, থাইল্যান্ডসহ প্রতিবেশী দেশগুলো মায়ানমারে ত্রাণ সামগ্রী ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও রাশিয়াও।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বেঁচে যাওয়া মানুষদের দ্রুত ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে। তবে, ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট মানবিক সংকটের মধ্যেও মায়ানমারের সামরিক বাহিনী শহর ও গ্রামগুলোতে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোর কারণে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপে ভরা জনপদে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হচ্ছে বহু মানুষকে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটসহ নানা সমস্যার মুখোমুখি তারা।