গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণে বালির নিচে একটি কবর থেকে রেড ক্রিসেন্ট, ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স ও জাতিসংঘের ১৫ উদ্ধারকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার জানান, মৃতদেহগুলো বিধ্বস্ত ও চিহ্নিত করা যায় এমন যানবাহনের কাছেই কবর দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, “তারা যখন জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন, তখনই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হন। আমরা এর ব্যাখ্যা ও ন্যায়বিচার চাই।”
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সরাসরি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও পরে জানায়, ‘সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্র’ থেকে মরদেহ সরিয়ে নিতে তারা সহায়তা করছে। তবে মরদেহগুলো কেন বালির নিচে পাওয়া গেছে বা যানবাহনগুলো বিধ্বস্ত অবস্থায় কেন ছিল, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট উত্তর দেয়নি।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, একই জায়গা থেকে ছয়জন সিভিল ডিফেন্স সদস্য ও এক জাতিসংঘ কর্মীর মরদেহও উদ্ধার করা হয়েছে, যারা ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছিলেন।
রোববার রাতে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) এক বিবৃতিতে জানায়, “আমরা এই ঘটনায় স্তম্ভিত। নিহতরা জীবন বিপন্ন করে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতেন।” রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তাদের নয় সদস্যের আটজনের মরদেহ পাওয়া গেলেও একজন এখনও নিখোঁজ।
২৩ মার্চ আহতদের সহায়তা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন তারা। ইসরায়েলি বাহিনী সোমবার জানিয়েছে, ওই দিন তাদের সেনারা অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার ট্রাকসহ একটি গাড়িবহরে গুলি চালায়, যা আগেভাগে সমন্বয় না করেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল। এতে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারাও নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।
জাতিসংঘের গাজা কার্যালয়ের প্রধান জনাথন হুইটল জানান, মরদেহগুলো বিধ্বস্ত অ্যাম্বুলেন্স থেকে নেওয়া একটি ইমার্জেন্সি লাইট দিয়ে চিহ্নিত গণকবরে পাওয়া গেছে। প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, রেড ক্রসের উদ্ধারকর্মীরা বিধ্বস্ত ফায়ার ট্রাক ও জাতিসংঘের গাড়ির পাশে বালি খুঁড়ে মরদেহ খুঁজছেন।
জাতিসংঘের এক মুখপাত্র জানান, মরদেহ যেখানে পাওয়া গেছে, তা দেখে মনে হয়েছে, এটি বুলডোজার বা অনুরূপ যন্ত্রপাতি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, বিস্ফোরণের ফলে নয়। তিনি আরও জানান, ইসরায়েলি বাহিনী ২৩ মার্চ প্রথমে উদ্ধারকারীদের হত্যা করে, এরপর নিখোঁজ সহকর্মীদের খুঁজতে আসা আরও কর্মীরা হামলার শিকার হন।
আইএফআরসি জানিয়েছে, এটি ২০১৭ সালের পর রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট কর্মীদের ওপর সবচেয়ে মারাত্মক হামলা। সংস্থাটির সেক্রেটারি জেনারেল জাগান চাপাগেইন বলেন, “এই নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরা আহতদের সেবা করছিলেন, তাদের সুরক্ষার প্রতীক ছিল, কিন্তু তাও তাদের হত্যা করা হলো।”
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১,০৬০ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী নিহত হয়েছেন। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে সংস্থাটি গাজায় তাদের আন্তর্জাতিক কর্মীর সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫
গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণে বালির নিচে একটি কবর থেকে রেড ক্রিসেন্ট, ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স ও জাতিসংঘের ১৫ উদ্ধারকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার জানান, মৃতদেহগুলো বিধ্বস্ত ও চিহ্নিত করা যায় এমন যানবাহনের কাছেই কবর দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, “তারা যখন জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন, তখনই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হন। আমরা এর ব্যাখ্যা ও ন্যায়বিচার চাই।”
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সরাসরি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও পরে জানায়, ‘সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্র’ থেকে মরদেহ সরিয়ে নিতে তারা সহায়তা করছে। তবে মরদেহগুলো কেন বালির নিচে পাওয়া গেছে বা যানবাহনগুলো বিধ্বস্ত অবস্থায় কেন ছিল, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট উত্তর দেয়নি।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, একই জায়গা থেকে ছয়জন সিভিল ডিফেন্স সদস্য ও এক জাতিসংঘ কর্মীর মরদেহও উদ্ধার করা হয়েছে, যারা ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছিলেন।
রোববার রাতে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) এক বিবৃতিতে জানায়, “আমরা এই ঘটনায় স্তম্ভিত। নিহতরা জীবন বিপন্ন করে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতেন।” রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তাদের নয় সদস্যের আটজনের মরদেহ পাওয়া গেলেও একজন এখনও নিখোঁজ।
২৩ মার্চ আহতদের সহায়তা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন তারা। ইসরায়েলি বাহিনী সোমবার জানিয়েছে, ওই দিন তাদের সেনারা অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার ট্রাকসহ একটি গাড়িবহরে গুলি চালায়, যা আগেভাগে সমন্বয় না করেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল। এতে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারাও নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।
জাতিসংঘের গাজা কার্যালয়ের প্রধান জনাথন হুইটল জানান, মরদেহগুলো বিধ্বস্ত অ্যাম্বুলেন্স থেকে নেওয়া একটি ইমার্জেন্সি লাইট দিয়ে চিহ্নিত গণকবরে পাওয়া গেছে। প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, রেড ক্রসের উদ্ধারকর্মীরা বিধ্বস্ত ফায়ার ট্রাক ও জাতিসংঘের গাড়ির পাশে বালি খুঁড়ে মরদেহ খুঁজছেন।
জাতিসংঘের এক মুখপাত্র জানান, মরদেহ যেখানে পাওয়া গেছে, তা দেখে মনে হয়েছে, এটি বুলডোজার বা অনুরূপ যন্ত্রপাতি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, বিস্ফোরণের ফলে নয়। তিনি আরও জানান, ইসরায়েলি বাহিনী ২৩ মার্চ প্রথমে উদ্ধারকারীদের হত্যা করে, এরপর নিখোঁজ সহকর্মীদের খুঁজতে আসা আরও কর্মীরা হামলার শিকার হন।
আইএফআরসি জানিয়েছে, এটি ২০১৭ সালের পর রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট কর্মীদের ওপর সবচেয়ে মারাত্মক হামলা। সংস্থাটির সেক্রেটারি জেনারেল জাগান চাপাগেইন বলেন, “এই নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরা আহতদের সেবা করছিলেন, তাদের সুরক্ষার প্রতীক ছিল, কিন্তু তাও তাদের হত্যা করা হলো।”
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১,০৬০ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী নিহত হয়েছেন। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে সংস্থাটি গাজায় তাদের আন্তর্জাতিক কর্মীর সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।