alt

আন্তর্জাতিক

দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘একগুঁয়ে’ প্রেসিডেন্টের বিদায়

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত রায় দিয়েছে যে, ইউন সুক ইওল গত ডিসেম্বরে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়ে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এজন্য তাকে স্থায়ীভাবে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হলো। দক্ষিণ কোরিয়া সব সময় একটি শান্তিপূর্ণ এবং গর্বিত গণতন্ত্র চর্চা করে আসছে। এই দেশটির কোথাও কখনো সামরিক দখলদারিত্ব হতে পারে, এমনটা কেউ আশাও করেনি। এ কারণে, যখন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ই-ল সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন, তার সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের আদেশ দেন, তখন গোটা দেশ ও বিশ্বের সবাই স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। বিক্ষোভের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে তিনি আদেশটি বাতিল করতে বাধ্য হন।

দক্ষিণ কোরিয়ার এই প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে কাছের কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি। যাতে বোঝা যায় যে, কী কারণে একসময়কার সফল এবং নীতিবান প্রসিকিউটর (আইনপ্রণেতা), যিনি সঠিক এবং ভুলের পার্থক্য করার জন্য পরিচিত ছিলেন, তিনি কেন স্বৈরশাসন শুরু করতে বাধ্য হলেন। যে সিদ্ধান্ত তার দেশকে বিপথগামী করতে পারত, তার আন্তর্জাতিক খ্যাতি নষ্ট করতে পারত এবং তার ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে পারত।

ছোটবেলা থেকে, ইউন ‘জয়ের ব্যাপারে মরিয়া ছিল’, তার সবচেয়ে পুরোনো বন্ধু, চুলউ লি সামরিক আইন ঘোষণার পরবর্তী সপ্তাহগুলোয় বিবিসিকে এ কথা বলেন।

তিনি জানান, ইউন একবার কোনো সিদ্ধান্ত নিলে, সেটা বাস্তবায়ন করতে একরোখা থাকত। তার ন্যায়ের প্রতি শক্ত বিশ্বাস ছিল। একজন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর হিসেবে, ইউন নিজের খ্যাতি গড়ে তোলেন একজন বিস্ফোরক চরিত্র হিসেবে। যিনি সঠিক এবং ভুলের সহজাত বোধকে কঠোরভাবে মেনে চলতেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ইউনের তদন্তগুলো অযথাই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। ইউন ২০১৩ সালে তিনি তার বসের নির্দেশ অমান্য করে গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করেন। লির মতে, জনগণ ইউনকে সাহসী মনে করত, কারণ তিনি রাজনৈতিক চাপ উপেক্ষা করতে পেরেছিলেন। যখন তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হো এর বিচার করে তাকে কারাবন্দি করেন, তখন তিনি বামপন্থিদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন। এ কারণে, তাকে বামপন্থি সরকারে প্রধান প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু, তিনি সুসম্পর্ক তৈরির বদলে, সরকারের এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন। ইউনের দৃঢ়, পক্ষপাতহীন মনোভাব তাকে অনেক জনসমর্থন এনে দেয়।

ছবি

বিক্ষোভে উত্তাল ভারত, বিজেপি নেতার বাড়িতে আগুন

ছবি

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক

হামে দ্বিতীয় মার্কিন শিশুর মৃত্যু, আক্রান্ত ৬৫০

ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোয় ভারতে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী বরখাস্ত

ছবি

গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে দেশে দেশে বিক্ষোভ

ছবি

গাজা থেকে ইসরায়েলে হামাসের রকেট হামলা, আহত ৩

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্প–ইলন মাস্কবিরোধী সমাবেশ, অংশ নিল লাখো মানুষ

ছবি

ট্রাম্প-মাস্কের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপজুড়ে বিক্ষোভ

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় দরপতন ঠেকালো মিউচুয়াল ফান্ড

পফের ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু

ছবি

বিতর্কিত ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছে ভারতীয় মুসলিমরা

ছবি

গাজায় নিহত ১৭ হাজার শিশু, অনাথ ৩৯ হাজার

আবাসন সংকটে ভুগছে স্পেন, দেশজুড়ে বিক্ষোভ

দুই ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাকে আটক করেছে ইসরায়েল

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ

ছবি

মায়ানমারে ভূমিকম্পে প্রাণহানি বেড়ে ৩৪৭১

ছবি

গাজায় ১৫ স্বাস্থ্যকর্মী হত্যায় ইসরায়েলের ভুল স্বীকার

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক, অংশ নিচ্ছে দেড় শতাধিক সংগঠন

ছবি

ট্রাম্প-মাস্কের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ১২০০ বিক্ষোভের প্রস্তুতি

ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৯ শিশুসহ নিহত ১৮

ছবি

গাজায় প্রতিদিন হতাহত হচ্ছে ১০০ শিশু

ছবি

চীনের পাল্টা শুল্ক আরোপ, সতর্ক করলেন ট্রাম্প

টিকটককে যুক্তরাষ্ট্রে আরও ৭৫ দিন সময় দিলেন ট্রাম্প

৭ দশমিক এক মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাপুয়া নিউগিনি

ছবি

সাগাইংয়ের বাতাসে লাশের গন্ধ, বাইরে বাঁচার লড়াই

ছবি

ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধ: কোন পণ্যে মার্কিনীদের খরচ বাড়বে

ছবি

চীনের পাল্টা শুল্কে ‘ভুল করেছে তারা, আতঙ্কে পড়েছে’: ট্রাম্প

ছবি

মার্কিন পণ্যে অতিরিক্ত ৩৪% শুল্ক বসাচ্ছে চীন, রপ্তানিতেও আসছে নিয়ন্ত্রণ

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের ক্রিভি রিহে শিশুসহ নিহত ১৪

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১১২ জন নিহত

ছবি

দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে অপসারণ, ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন

যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ স্থগিত করতে ইউরোপের প্রতি আহ্বান মাখোঁর

ছবি

মায়ানমারে ভূমিকম্পে গৃহহীন ৩০ লাখ মানুষ

বাণিজ্য যুদ্ধে কেউ-ই বিজয়ী হয় না : ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ছবি

ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্ফ বিল পাস, কী আছে এতে

ছবি

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসনে আদালতের অনুমোদন

tab

আন্তর্জাতিক

দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘একগুঁয়ে’ প্রেসিডেন্টের বিদায়

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত রায় দিয়েছে যে, ইউন সুক ইওল গত ডিসেম্বরে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়ে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এজন্য তাকে স্থায়ীভাবে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হলো। দক্ষিণ কোরিয়া সব সময় একটি শান্তিপূর্ণ এবং গর্বিত গণতন্ত্র চর্চা করে আসছে। এই দেশটির কোথাও কখনো সামরিক দখলদারিত্ব হতে পারে, এমনটা কেউ আশাও করেনি। এ কারণে, যখন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ই-ল সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন, তার সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের আদেশ দেন, তখন গোটা দেশ ও বিশ্বের সবাই স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। বিক্ষোভের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে তিনি আদেশটি বাতিল করতে বাধ্য হন।

দক্ষিণ কোরিয়ার এই প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে কাছের কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি। যাতে বোঝা যায় যে, কী কারণে একসময়কার সফল এবং নীতিবান প্রসিকিউটর (আইনপ্রণেতা), যিনি সঠিক এবং ভুলের পার্থক্য করার জন্য পরিচিত ছিলেন, তিনি কেন স্বৈরশাসন শুরু করতে বাধ্য হলেন। যে সিদ্ধান্ত তার দেশকে বিপথগামী করতে পারত, তার আন্তর্জাতিক খ্যাতি নষ্ট করতে পারত এবং তার ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে পারত।

ছোটবেলা থেকে, ইউন ‘জয়ের ব্যাপারে মরিয়া ছিল’, তার সবচেয়ে পুরোনো বন্ধু, চুলউ লি সামরিক আইন ঘোষণার পরবর্তী সপ্তাহগুলোয় বিবিসিকে এ কথা বলেন।

তিনি জানান, ইউন একবার কোনো সিদ্ধান্ত নিলে, সেটা বাস্তবায়ন করতে একরোখা থাকত। তার ন্যায়ের প্রতি শক্ত বিশ্বাস ছিল। একজন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর হিসেবে, ইউন নিজের খ্যাতি গড়ে তোলেন একজন বিস্ফোরক চরিত্র হিসেবে। যিনি সঠিক এবং ভুলের সহজাত বোধকে কঠোরভাবে মেনে চলতেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ইউনের তদন্তগুলো অযথাই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। ইউন ২০১৩ সালে তিনি তার বসের নির্দেশ অমান্য করে গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করেন। লির মতে, জনগণ ইউনকে সাহসী মনে করত, কারণ তিনি রাজনৈতিক চাপ উপেক্ষা করতে পেরেছিলেন। যখন তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হো এর বিচার করে তাকে কারাবন্দি করেন, তখন তিনি বামপন্থিদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন। এ কারণে, তাকে বামপন্থি সরকারে প্রধান প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু, তিনি সুসম্পর্ক তৈরির বদলে, সরকারের এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন। ইউনের দৃঢ়, পক্ষপাতহীন মনোভাব তাকে অনেক জনসমর্থন এনে দেয়।

back to top