alt

আন্তর্জাতিক

শজারুর তাণ্ডবে হুমকির মুখে কাশ্মীরের ৩৮৫ কোটি রুপির জাফরান শিল্প

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

স্থানীয় সময় ভোর ৪টা। তখনো আজান দেওয়ার সময় হয়নি। তার পরও ঘুমানোর মতো অবকাশ নেই ৫২ বছরের জাফরানচাষি বশির আহমেদের। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার পামপুরের বাসিন্দা তিনি। ঘুটঘুটে অন্ধকারে টর্চলাইট হাতে পাহারা দিচ্ছেন ফসল।

বিরক্তি আর হতাশা নিয়ে তিনি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেন, ‘এ যেন এক যুদ্ধ। জলবায়ু পরিবর্তন, দামের নিম্নগতি সব মোকাবিলা করেছি। কিন্তু শজারুদের সঙ্গেও লড়তে হবে, তা কে ভেবেছিল?’

সম্প্রতি শজারুর উপদ্রবে ধ্বংসের মুখে পামপুরের জাফরানশিল্প। শজারু (ইন্ডিয়ান ক্রেস্টেড পর্কিউপাইন) রাতের অন্ধকারে এসে খেয়ে যায় জাফরানের কন্দ বা আলুর মতো একধরনের মূল, যা চাষিদের নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।

ভারতের জাফরানশিল্পের কেন্দ্র কাশ্মীরের এই অঞ্চল। ইরান আর আফগানিস্তানের পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জাফরান উৎপাদনকারী এলাকা এটি। পামপুরে উৎপাদিত জাফরানে ক্রোসিনের (জাফরান ফুলের কেশরের রং ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মান নির্ধারণ করে এই উপাদান। ক্রোসিনের পরিমাণ যত বেশি, গুণমান তত ভালো) পরিমাণ ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। গাঢ় লালচে রং ও তীব্র সুবাসের কারণে বিখ্যাত কাশ্মীরি জাফরান।

আগে শজারুগুলো জঙ্গলে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন তারা জাফরানের খেতেও হানা দিচ্ছে। বন ধ্বংস, আবাসস্থল হারানো ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাণীগুলো বন ছেড়ে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। এই নিশাচর প্রাণীরা মাটির গভীরে খুঁড়ে জাফরানের কন্দ খেয়ে ফেলে।নানা কারণে আগে থেকেই ধুঁকছে কাশ্মীরের জাফরান উৎপাদন।

অনিয়মিত বৃষ্টি, পানির ঘাটতি ও কৃষিজমির দখলের কারণে ক্রমশ কমছিল উৎপাদন। ২০২১-২২ অর্থবছরে অঞ্চলটির জাফরানের কেশর উৎপাদন রেকর্ড করা হয়েছে মাত্র ৩ দশমিক ৪৮ টন। ২০২৪ সালে তা আরও কমে দাঁড়ায় মাত্র ২ দশমিক ৬ টনে। অথচ ১৯৯৭-৯৮ সালে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১৫ দশমিক ৯৭ টন।

আলজাজিরার হিসাব অনুসারে প্রতিবছর প্রায় ৩০ শতাংশ করে উৎপাদন কমছে অঞ্চলটিতে। কেশরচাষি বশির আহমেদের হিসাব অনুযায়ী, গত দুই বছরে শুধু শজারুর কারণে সাড়ে ৩ হাজার ডলার সমমূল্যের উৎপাদন কমেছে। তিনি বলেন, ‘৪৫ মিলিয়ন ডলারের (৩৮৫ কোটি রুপির বেশি) শিল্প এটি। কেশর উৎপাদনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কাশ্মীরের ৩২ হাজার পরিবারের জীবিকা, যা শজারুর কারণে ধ্বংসের মুখে।’

বশির আহমেদ আরও বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম ছাগল বা ভেড়া হয়তো খেয়ে ফেলেছে। কিন্তু যখন মাঠজুড়ে শজারুর কাঁটা দেখতে পেলাম, তখন বুঝলাম সমস্যা অনেক বড়।’ সমস্যা প্রকট হওয়ার পর স্থানীয় বন বিভাগ গত বছর একধরনের জৈব প্রতিরোধক স্প্রে দেয় কৃষকদের। কিন্তু প্রথম কদিন ওই স্প্রেতে কাজ হলেও পরে আবার ফিরে আসে নিশাচর প্রাণীগুলো। ঝোপজঙ্গল দিয়ে মাঠ ঘেরাও করা, রাত জেগে পাহারা দেওয়ার মতো পুরোনো পদ্ধতি অবলম্বন করেও দেখেছেন কৃষকেরা। কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না।

কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ নিয়ে আব্দুর রশিদ নামের এক কৃষক বলেন, ‘বন বিভাগের স্প্রেতে তেমন কোনো কাজই হয়নি। এখন আরও গভীরে খুঁড়ে খায় শজারুরা। এভাবে চললে কাশ্মীরি (জাফরানের) কেশর হারিয়ে যাবে।’ এই বুনো শজারুর সমস্যা শুধু স্থানীয় বিষয় নয়। কাশ্মীরি কেশর একটি আন্তর্জাতিক পণ্য এবং এর উৎপাদন ব্যাহত হলে বৈশ্বিক বাজারেও প্রভাব পড়বে। বিশ্বের ৮৫ শতাংশ কেশর উৎপাদন করে ইরান, কিন্তু তাদের কেশরের ক্রোসিন মাত্র ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ, যা কাশ্মীরি কেশরের তুলনায় অনেক কম। কাশ্মীরের ফলন কমে যাওয়ায় জাফরানের বাজারে ইরানের দখল আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কাশ্মীরি ব্যবসায়ীরা। কেশর ব্যবসায়ী বিলাল আহমেদ বলেন, ‘শুধু ৫ শতাংশ ফসল হারালেই ২৯ লাখ রুপি (৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার) ক্ষতি। এমন হতে থাকলে দাম অনেক বাড়বে এবং কাশ্মীরি কেশর বিলাসদ্রব্যে পরিণত হবে, সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে এটি।’

ছবি

দুই বছর পর মালিক পাচ্ছে ব্রিটিশ পত্রিকাগুলো, নিয়ন্ত্রণে আসছে রেডবার্ড

ছবি

তুরস্কে ৬৫ সেনা ও পুলিশ গ্রেপ্তার

ইউক্রেনের ১১২টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার, আহত ৮

ছবি

সিন্ধুসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি পাবে না পাকিস্তান: মোদি

হার্ভার্ডে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করলো চীন

ছবি

গাজায় ১৯ মাসে ১৭ হাজারের বেশি শিশু নিহত: জাতিসংঘ

ছবি

বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করল ট্রাম্প প্রশাসন, হার্ভার্ড বলল ‘বেআইনি’

ছবি

চীন-পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সম্পর্ক বাড়ছে, বেইজিংয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

ছবি

গাজা পুরোপুরি দখলের ঘোষণা নেতানিয়াহুর, যুদ্ধ বন্ধে অস্বীকৃতি

ছবি

ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বাঁচাবে ‘গোল্ডেন ডোম’

সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘পাকিস্তানের পক্ষে’ পোস্ট, ভারতে গ্রেপ্তার শতাধিক

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই ক্ষতিগ্রস্ত যুদ্ধজাহাজ, দায়ীদের শাস্তির হুঁশিয়ারি কিমের

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যা

ছবি

রামাফোসাকে ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা’ নিয়ে চাপে ফেললেন ট্রাম্প

ছবি

ওয়াশিংটনে গুলিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মী নিহত

গাজায় এখনো কোনো ত্রাণ বিতরণ হয়নি : জাতিসংঘ

ছবি

‘টুকরো টুকরো হওয়ার শঙ্কায় সিরিয়া, গৃহযুদ্ধ আসন্ন’

‘সার্বভৌমত্ব’ রক্ষায় পাকিস্তানের পাশে আছে চীন

ছবি

উচ্চ তাপপ্রবাহের ঝুঁকিতে ভারতের ৬০ শতাংশ এলাকা

ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত যুক্তরাজ্যের

ছবি

ইরানে হামলার ছক কষছে ইসরায়েল

ছবি

১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ‘গোল্ডেন ডোম’ নির্মাণে উদ্যোগ ট্রাম্পের, প্রশ্ন খরচ ও সময়সীমা নিয়ে

চীন-রাশিয়ার হুমকি ঠেকাতে ট্রাম্পের ‘গোল্ডেন ডোম’ প্রকল্প, ১৭.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের মহাকাশ ব্যুহ মোতায়েনের ঘোষণা

ছবি

গাজায় হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করল যুক্তরাজ্য, রাষ্ট্রদূত তলব

গাজায় লাগামহীন ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৫৩ হাজার ৬০০ ছুঁই ছুঁই

আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার জিতলেন ভারতীয় লেখক বানু মুশতাক

ভারতের হামলার জবাবে সফল নেতৃত্বে সম্মানিত হলেন আসিম মুনীর

ছবি

ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগে হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ

ছবি

২ দিনে গাজায় ১৪০০০ শিশুর মৃত্যু হতে পারে’

ছবি

ইসরায়েলকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের

ইসরায়েলের হাইফা বন্দরে সমুদ্র অবরোধের ঘোষণা হুথিদের

হার্ভার্ডের আরও ৬০ মিলিয়ন ডলারের অনুদান বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে জিতল কি চীন

দেশের প্রতিরক্ষায় জোর দিলেন তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট

ছবি

প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত জো বাইডেন, হাড়েও ছড়িয়েছে

ছবি

ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ: অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসছে রাশিয়া-ইউক্রেইন

tab

আন্তর্জাতিক

শজারুর তাণ্ডবে হুমকির মুখে কাশ্মীরের ৩৮৫ কোটি রুপির জাফরান শিল্প

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

স্থানীয় সময় ভোর ৪টা। তখনো আজান দেওয়ার সময় হয়নি। তার পরও ঘুমানোর মতো অবকাশ নেই ৫২ বছরের জাফরানচাষি বশির আহমেদের। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার পামপুরের বাসিন্দা তিনি। ঘুটঘুটে অন্ধকারে টর্চলাইট হাতে পাহারা দিচ্ছেন ফসল।

বিরক্তি আর হতাশা নিয়ে তিনি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেন, ‘এ যেন এক যুদ্ধ। জলবায়ু পরিবর্তন, দামের নিম্নগতি সব মোকাবিলা করেছি। কিন্তু শজারুদের সঙ্গেও লড়তে হবে, তা কে ভেবেছিল?’

সম্প্রতি শজারুর উপদ্রবে ধ্বংসের মুখে পামপুরের জাফরানশিল্প। শজারু (ইন্ডিয়ান ক্রেস্টেড পর্কিউপাইন) রাতের অন্ধকারে এসে খেয়ে যায় জাফরানের কন্দ বা আলুর মতো একধরনের মূল, যা চাষিদের নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।

ভারতের জাফরানশিল্পের কেন্দ্র কাশ্মীরের এই অঞ্চল। ইরান আর আফগানিস্তানের পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জাফরান উৎপাদনকারী এলাকা এটি। পামপুরে উৎপাদিত জাফরানে ক্রোসিনের (জাফরান ফুলের কেশরের রং ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মান নির্ধারণ করে এই উপাদান। ক্রোসিনের পরিমাণ যত বেশি, গুণমান তত ভালো) পরিমাণ ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। গাঢ় লালচে রং ও তীব্র সুবাসের কারণে বিখ্যাত কাশ্মীরি জাফরান।

আগে শজারুগুলো জঙ্গলে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন তারা জাফরানের খেতেও হানা দিচ্ছে। বন ধ্বংস, আবাসস্থল হারানো ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাণীগুলো বন ছেড়ে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। এই নিশাচর প্রাণীরা মাটির গভীরে খুঁড়ে জাফরানের কন্দ খেয়ে ফেলে।নানা কারণে আগে থেকেই ধুঁকছে কাশ্মীরের জাফরান উৎপাদন।

অনিয়মিত বৃষ্টি, পানির ঘাটতি ও কৃষিজমির দখলের কারণে ক্রমশ কমছিল উৎপাদন। ২০২১-২২ অর্থবছরে অঞ্চলটির জাফরানের কেশর উৎপাদন রেকর্ড করা হয়েছে মাত্র ৩ দশমিক ৪৮ টন। ২০২৪ সালে তা আরও কমে দাঁড়ায় মাত্র ২ দশমিক ৬ টনে। অথচ ১৯৯৭-৯৮ সালে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১৫ দশমিক ৯৭ টন।

আলজাজিরার হিসাব অনুসারে প্রতিবছর প্রায় ৩০ শতাংশ করে উৎপাদন কমছে অঞ্চলটিতে। কেশরচাষি বশির আহমেদের হিসাব অনুযায়ী, গত দুই বছরে শুধু শজারুর কারণে সাড়ে ৩ হাজার ডলার সমমূল্যের উৎপাদন কমেছে। তিনি বলেন, ‘৪৫ মিলিয়ন ডলারের (৩৮৫ কোটি রুপির বেশি) শিল্প এটি। কেশর উৎপাদনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কাশ্মীরের ৩২ হাজার পরিবারের জীবিকা, যা শজারুর কারণে ধ্বংসের মুখে।’

বশির আহমেদ আরও বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম ছাগল বা ভেড়া হয়তো খেয়ে ফেলেছে। কিন্তু যখন মাঠজুড়ে শজারুর কাঁটা দেখতে পেলাম, তখন বুঝলাম সমস্যা অনেক বড়।’ সমস্যা প্রকট হওয়ার পর স্থানীয় বন বিভাগ গত বছর একধরনের জৈব প্রতিরোধক স্প্রে দেয় কৃষকদের। কিন্তু প্রথম কদিন ওই স্প্রেতে কাজ হলেও পরে আবার ফিরে আসে নিশাচর প্রাণীগুলো। ঝোপজঙ্গল দিয়ে মাঠ ঘেরাও করা, রাত জেগে পাহারা দেওয়ার মতো পুরোনো পদ্ধতি অবলম্বন করেও দেখেছেন কৃষকেরা। কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না।

কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ নিয়ে আব্দুর রশিদ নামের এক কৃষক বলেন, ‘বন বিভাগের স্প্রেতে তেমন কোনো কাজই হয়নি। এখন আরও গভীরে খুঁড়ে খায় শজারুরা। এভাবে চললে কাশ্মীরি (জাফরানের) কেশর হারিয়ে যাবে।’ এই বুনো শজারুর সমস্যা শুধু স্থানীয় বিষয় নয়। কাশ্মীরি কেশর একটি আন্তর্জাতিক পণ্য এবং এর উৎপাদন ব্যাহত হলে বৈশ্বিক বাজারেও প্রভাব পড়বে। বিশ্বের ৮৫ শতাংশ কেশর উৎপাদন করে ইরান, কিন্তু তাদের কেশরের ক্রোসিন মাত্র ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ, যা কাশ্মীরি কেশরের তুলনায় অনেক কম। কাশ্মীরের ফলন কমে যাওয়ায় জাফরানের বাজারে ইরানের দখল আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কাশ্মীরি ব্যবসায়ীরা। কেশর ব্যবসায়ী বিলাল আহমেদ বলেন, ‘শুধু ৫ শতাংশ ফসল হারালেই ২৯ লাখ রুপি (৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার) ক্ষতি। এমন হতে থাকলে দাম অনেক বাড়বে এবং কাশ্মীরি কেশর বিলাসদ্রব্যে পরিণত হবে, সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে এটি।’

back to top