alt

ভারত-পাকিস্তান: সিমলা চুক্তি স্থগিত হলে কার লাভ, কার ক্ষতি

সংবাদ ডেস্ক : শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এ ঘটনার জেরে পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্তে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। একদিকে ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের কথা বলেছে, অন্যদিকে জবাবে পাকিস্তান ১৯৭২ সালের ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে।

সিমলা চুক্তি কী?

১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পরিণত পরিস্থিতির পর, ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে হিমাচল প্রদেশের সিমলায় এক ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো। এই বৈঠকে স্বাক্ষরিত হয় ‘সিমলা চুক্তি’, যা দুই দেশের মধ্যে শত্রুতার অবসান ঘটিয়ে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়।

চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭২ সালের ২ জুলাই তারিখে স্বাক্ষরিত বলে রেকর্ড করা হলেও, বাস্তবে এটি স্বাক্ষরিত হয় ৩ জুলাই সকালে। এর কয়েক মাস আগে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশে) ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। পাকিস্তানের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ৭৩ হাজার যুদ্ধবন্দি — যার মধ্যে ৪৫ হাজার সৈন্য এবং আধাসামরিক বাহিনী অন্তর্ভুক্ত — ভারতের হেফাজতে ছিল। সেইসঙ্গে ভারতের দখলে ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের প্রায় ৫ হাজার বর্গমাইল এলাকা।

সিমলা চুক্তি অনুযায়ী, ভারত ও পাকিস্তান সকল দ্বিপাক্ষিক সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথে এগোবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। চুক্তির আওতায় গঠিত হয় নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অফ কন্ট্রোল বা এলওসি), যা দুই দেশ সম্মান জানাতে রাজি হয়। একইসঙ্গে তারা একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করার প্রতিশ্রুতিও দেয়। এই নিয়ন্ত্রণ রেখাকে ভিত্তি করে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়েও ঐক্যমতে পৌঁছায় দুই পক্ষ।

সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের ‘জবাব’

ভারতের সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তের পর পাকিস্তানে রাজনৈতিক ও জনপর্যায়ে দাবি ওঠে, সিমলা চুক্তিও বাতিল করা উচিত। পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের সাবেক ‘প্রধানমন্ত্রী’ রাজা ফারুক হায়দার বলেন, “ভারত যখন একতরফাভাবে সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল করতে পারে, তখন পাকিস্তানও সিমলা চুক্তি থেকে সরে যেতে পারে।”

পাকিস্তানি সাংবাদিক হামিদ মীর তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এই চুক্তির মধ্যস্থতায় কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা নেই। তাই পাকিস্তান চাইলে তা বাতিল করতেই পারে।”

ভারতের ওপর প্রভাব পড়বে?

নয়া দিল্লিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওআরএফ-এর সিনিয়র ফেলো সুশান্ত সারিন বলেন, “সিমলা চুক্তি থেকে পাকিস্তানের বেরিয়ে যাওয়া মোটেও ভারতের জন্য বড় কোনো ধাক্কা নয়। কাশ্মীর ইস্যুতে বড় সিদ্ধান্ত নিতে বরং এটা ভারতকে সাহায্য করবে। মজার ব্যাপার হলো, পাকিস্তান অনেক আগেই সিমলা চুক্তি থেকে সরে এসেছে। পাকিস্তান কখনোই এই চুক্তিতে অটল থাকেনি।”

অন্যদিকে, কাশ্মীরি গবেষক ও আইনবিদ মির্জা সায়ব বেগ বলেন, “সিমলা চুক্তি এখনো কার্যকর। এটি লঙ্ঘনের দায় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি পাকিস্তানের কূটনৈতিক দুর্বলতা।”

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহেন্দ্র পি লামা বলেন, “সিমলা চুক্তি স্থগিত হলে ভারতের কোনো ক্ষতি হবে না। বরং পাকিস্তান এই চুক্তিকে লঙ্ঘন করেই চলেছে। সুতরাং, এটিকে স্থগিত ঘোষণা করাটা শুধু আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।”

তিনি আরও বলেন, “সিন্ধু জল চুক্তি একটি কার্যকর আন্তর্জাতিক চুক্তি, যেখানে বিশ্বব্যাংক মধ্যস্থতাকারী। এর সঙ্গে সিমলা চুক্তির তুলনা চলে না।”

এদিকে পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে দুই দেশকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থার মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি ভারত ও পাকিস্তান পারস্পরিক আলোচনা ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সব সমস্যার সমাধান করতে পারে।”

তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা

ছবি

ট্রাম্প-জিনপিং শীর্ষ সম্মেলনের আশা ম্লান

ছবি

কোনো নতুন আক্রমণ হবে ‘আরেকটি ব্যর্থতা’: ইরান

ছবি

সহিংস বিক্ষোভে প্রাণহানি, টিএলপিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো পাকিস্তান

ছবি

ঝুঁকি মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোকে বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা কমাতে হবে

ছবি

যুদ্ধবিরতির পরও গাজার মানুষের ক্ষুধার যন্ত্রণা দূর হচ্ছে না

ছবি

একের পর এক অঞ্চল দখল করছে মায়ানমার জান্তা, কেন পিছু হটছে বিদ্রোহীরা

ছবি

ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক কেন ভেস্তে গেল, ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ কী

ছবি

রাশিয়ার দুটি প্রধান তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

আসিয়ান সম্মেলন এড়িয়ে যাচ্ছেন মোদি, যাবেন না মালয়েশিয়া

ছবি

চীনের সহায়তায় হারানো এলাকা পুনর্দখলে নিচ্ছে মায়ানমার সেনাবাহিনী

ছবি

বিশ্বের জন্য বড় হুমকি হয়ে আসছে ম্যালেরিয়া

ছবি

পাকিস্তান-তালেবান উত্তেজনায় অনিশ্চিত জীবন আফগান শরণার্থীদের

ছবি

রাশিয়ার দুই তেল কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

‘কয়েক প্রজন্ম ধরে’ চলবে গাজায় স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ১০ মাসে পাঁচ লাখ অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার

ছবি

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

ছবি

‘শারীরিক সম্পর্ক’ মানেই ধর্ষণ নয়, দিল্লি হাইকোর্টের রায়

ছবি

ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ‘বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের’ সমতুল্য: জাতিসংঘ

ছবি

আফগানিস্তানে ডায়রিয়ায় বছরে মৃত্যু ৯৭ হাজারের অধিক

ছবি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পের শান্তি আলোচনায় ইউরোপের সায়

ছবি

যুদ্ধবিরতি হলেও ভিন্ন আতঙ্কে গাজার বাসিন্দারা

ছবি

নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৩৫

ছবি

ইউক্রেইনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে রাশিয়ার কঠোর অবস্থান, অনিশ্চয়তায় ট্রাম্প–পুতিন বৈঠক

ছবি

বিরল খনিজের সরবরাহে চীনা দাপট ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়া-যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি

ছবি

শক্তিধরদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ অবসানের পর ইরান এখন কী করবে

ছবি

ট্রাম্পের জন্য বলরুম বানাতে ভাঙা হচ্ছে হোয়াইট হাউসের একাংশ

ছবি

জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী তাকাইচি

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতি এখনো বহাল, নাকি ভেস্তে গেছে

ছবি

পাকিস্তান-আফগানিস্তানের অস্ত্রবিরতি টিকবে তো?

ছবি

হংকংয়ে রানওয়ে থেকে সমুদ্রে ছিটকে পড়লো কার্গো বিমান

ছবি

ইইউ: ২০২৮ সালের মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি ধীরে ধীরে বন্ধের প্রস্তাব অনুমোদন

ছবি

বলিভিয়ায় দুই দশকের বামপন্থী শাসনের অবসান, নতুন প্রেসিডেন্ট মধ্যপন্থী পাজ

ছবি

রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে ভারতকে আবারও ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

ছবি

ফের জেলেনস্কিকে ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে বললেন ট্রাম্প

ছবি

দোহায় আলোচনার পর অস্ত্রবিরতিতে রাজি পাকিস্তান-আফগানিস্তান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন ঘিরে রাজনৈতিক সংঘাত তীব্র হচ্ছে

tab

ভারত-পাকিস্তান: সিমলা চুক্তি স্থগিত হলে কার লাভ, কার ক্ষতি

সংবাদ ডেস্ক

শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এ ঘটনার জেরে পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্তে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। একদিকে ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের কথা বলেছে, অন্যদিকে জবাবে পাকিস্তান ১৯৭২ সালের ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে।

সিমলা চুক্তি কী?

১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পরিণত পরিস্থিতির পর, ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে হিমাচল প্রদেশের সিমলায় এক ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো। এই বৈঠকে স্বাক্ষরিত হয় ‘সিমলা চুক্তি’, যা দুই দেশের মধ্যে শত্রুতার অবসান ঘটিয়ে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়।

চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭২ সালের ২ জুলাই তারিখে স্বাক্ষরিত বলে রেকর্ড করা হলেও, বাস্তবে এটি স্বাক্ষরিত হয় ৩ জুলাই সকালে। এর কয়েক মাস আগে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশে) ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। পাকিস্তানের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ৭৩ হাজার যুদ্ধবন্দি — যার মধ্যে ৪৫ হাজার সৈন্য এবং আধাসামরিক বাহিনী অন্তর্ভুক্ত — ভারতের হেফাজতে ছিল। সেইসঙ্গে ভারতের দখলে ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের প্রায় ৫ হাজার বর্গমাইল এলাকা।

সিমলা চুক্তি অনুযায়ী, ভারত ও পাকিস্তান সকল দ্বিপাক্ষিক সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথে এগোবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। চুক্তির আওতায় গঠিত হয় নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অফ কন্ট্রোল বা এলওসি), যা দুই দেশ সম্মান জানাতে রাজি হয়। একইসঙ্গে তারা একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করার প্রতিশ্রুতিও দেয়। এই নিয়ন্ত্রণ রেখাকে ভিত্তি করে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়েও ঐক্যমতে পৌঁছায় দুই পক্ষ।

সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের ‘জবাব’

ভারতের সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তের পর পাকিস্তানে রাজনৈতিক ও জনপর্যায়ে দাবি ওঠে, সিমলা চুক্তিও বাতিল করা উচিত। পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের সাবেক ‘প্রধানমন্ত্রী’ রাজা ফারুক হায়দার বলেন, “ভারত যখন একতরফাভাবে সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল করতে পারে, তখন পাকিস্তানও সিমলা চুক্তি থেকে সরে যেতে পারে।”

পাকিস্তানি সাংবাদিক হামিদ মীর তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এই চুক্তির মধ্যস্থতায় কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা নেই। তাই পাকিস্তান চাইলে তা বাতিল করতেই পারে।”

ভারতের ওপর প্রভাব পড়বে?

নয়া দিল্লিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওআরএফ-এর সিনিয়র ফেলো সুশান্ত সারিন বলেন, “সিমলা চুক্তি থেকে পাকিস্তানের বেরিয়ে যাওয়া মোটেও ভারতের জন্য বড় কোনো ধাক্কা নয়। কাশ্মীর ইস্যুতে বড় সিদ্ধান্ত নিতে বরং এটা ভারতকে সাহায্য করবে। মজার ব্যাপার হলো, পাকিস্তান অনেক আগেই সিমলা চুক্তি থেকে সরে এসেছে। পাকিস্তান কখনোই এই চুক্তিতে অটল থাকেনি।”

অন্যদিকে, কাশ্মীরি গবেষক ও আইনবিদ মির্জা সায়ব বেগ বলেন, “সিমলা চুক্তি এখনো কার্যকর। এটি লঙ্ঘনের দায় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি পাকিস্তানের কূটনৈতিক দুর্বলতা।”

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহেন্দ্র পি লামা বলেন, “সিমলা চুক্তি স্থগিত হলে ভারতের কোনো ক্ষতি হবে না। বরং পাকিস্তান এই চুক্তিকে লঙ্ঘন করেই চলেছে। সুতরাং, এটিকে স্থগিত ঘোষণা করাটা শুধু আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।”

তিনি আরও বলেন, “সিন্ধু জল চুক্তি একটি কার্যকর আন্তর্জাতিক চুক্তি, যেখানে বিশ্বব্যাংক মধ্যস্থতাকারী। এর সঙ্গে সিমলা চুক্তির তুলনা চলে না।”

এদিকে পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে দুই দেশকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থার মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি ভারত ও পাকিস্তান পারস্পরিক আলোচনা ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সব সমস্যার সমাধান করতে পারে।”

তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা

back to top