alt

ভারত কি সত্যিই পাকিস্তানে নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ করতে পারবে?

বিবিসি : শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

কাশ্মীরে সাম্প্রতিক ভয়াবহ হামলার পর ভারত সিন্ধু অববাহিকার ছয়টি নদীর পানি ভাগাভাগি সংক্রান্ত ঐতিহাসিক চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে—ভারত কি সত্যিই সিন্ধু নদী এবং এর উপনদীর পানি পাকিস্তানে প্রবাহ বন্ধ করতে পারবে?

১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Waters Treaty - IWT) ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দুটি যুদ্ধের মধ্যেও টিকে ছিল। চুক্তির আওতায় তিনটি পূর্বাঞ্চলের নদী—রবি, বেয়াস এবং সুতলজ—ভারতের জন্য বরাদ্দ করা হয়, আর পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি নদী—সিন্ধু, ঝেলম ও চেনাবের—প্রায় ৮০% পানি পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত হয়।

ভারত দাবি করেছে, সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের ভূমিকার কারণে তারা চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যদিও ইসলামাবাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পাকিস্তান পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, পানি প্রবাহ বন্ধ করা হলে সেটি "যুদ্ধের কাজ" হিসেবে বিবেচিত হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের পক্ষে এখনই সিন্ধু অববাহিকার বিশাল পরিমাণ পানি আটকে রাখা বা পাকিস্তানে প্রবাহ বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ, ভারতের কাছে এত বড় জলাধার বা খাল অবকাঠামো নেই। বর্তমানে যেসব জলবিদ্যুৎ প্রকল্প আছে, সেগুলো মূলত ‘রান-অব-দ্য-রিভার’ প্রকল্প, যা পানির প্রবাহ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, বড় মাপের পানি সংরক্ষণ করে না।

ভারতীয় কর্মকর্তারা আগে থেকেই স্বীকার করেছেন যে, তারা নিজেরাই পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলির বরাদ্দ ২০% পানির পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারছেন না। তবে চুক্তি স্থগিতের ফলে এখন ভারত নতুন জলাধার বা পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো তৈরি করতে পারবে পাকিস্তানকে না জানিয়েই।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি ভারত শুকনো মৌসুমে পানি নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে, তবে পাকিস্তানের কৃষি ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড় প্রভাব পড়তে পারে। তবে দ্রুত বড় অবকাঠামো নির্মাণ করা ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জের হবে, কারণ প্রকল্পগুলোর জন্য কঠিন ভূপ্রকৃতি এবং স্থানীয় প্রতিবাদের মুখোমুখি হতে হযবে।

আরেকটি উদ্বেগের বিষয় হলো পানি "অস্ত্র" হিসেবে ব্যবহার করা—যেখানে উজানের দেশ হঠাৎ পানি আটকে পরে তা ছেড়ে দিয়ে ভাটির দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের ড্যামগুলি পাকিস্তান সীমান্ত থেকে অনেক দূরে হওয়ায় এমন পদক্ষেপ ভারতের নিজস্ব ভূখণ্ডেও প্লাবনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

এছাড়া, ভারত এখন পাকিস্তানের সঙ্গে বন্যার মৌসুমি তথ্যও আর ভাগাভাগি করবে না বলে জানিয়েছে। যদিও পাকিস্তান বলছে, ভারত আগে থেকেই সীমিত তথ্য দিত।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে এ ধরনের পানি-সংকট পরিস্থিতি আরও উত্তেজনা বাড়াতে পারে। উল্লেখ্য, সিন্ধু নদীর উৎপত্তি চীনের তিব্বতে এবং ভারতের ওপরও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় চীনের পানি নীতির প্রভাব রয়েছে।

ভারতের সাবেক সিন্ধু পানি চুক্তি কমিশনার প্রদীপ কুমার সাক্সেনা বলেছেন, "ভারত এখন চুক্তির বাধ্যবাধকতা ছাড়াই সিন্ধুর পানি ব্যবস্থাপনা করতে পারবে। তবে আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এত বিশাল পরিমাণ পানি আটকে রাখার মতো অবকাঠামো আমাদের নেই।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা আগে থেকেই আমাদের বরাদ্দকৃত ২০ শতাংশ পানির সম্পূর্ণ ব্যবহারও করতে পারিনি। তবে এখন নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে শুকনো মৌসুমে পানি নিয়ন্ত্রণের সুযোগ থাকবে।"

বিবিসি উর্দুকে বলেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার শিরাজ মেমন বলেন, "ভারত যদি শুকনো মৌসুমে পানি আটকে রাখে, তাহলে পাকিস্তানের কৃষি ও বিদ্যুৎ উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটি আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবিক নীতিমালার পরিপন্থী।"

টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হাসান এফ খান পাকিস্তানের ডন পত্রিকায় লিখেছেন, "সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো শুকনো মৌসুমে কি হবে—যখন নদীগুলিতে প্রবাহ কম থাকে, তখন পানির মজুদ এবং সঠিক সময়ে ছাড়াই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।"

ছবি

গাজায় দুই বছরের যুদ্ধে মৃত্যু ছাড়াল ৬৫ হাজার

ছবি

ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করে ‘মুক্ত’ হতে চান নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

তেল বিক্রি বন্ধে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

মায়ানমারে ১২১টি আসনে হবে না ভোটগ্রহণ, ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

ছবি

দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্য গেলেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় এবার স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল, হত্যাযজ্ঞ চলছে

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন রাশিয়া-বেলারুশ সামরিক মহড়ায় কেন

ছবি

দক্ষিণ এশিয়াই কি জেন জি বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে?

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ বাড়ছে: জাতিসংঘ

ছবি

ওএবার ইউরোপকে তাড়িয়ে বেড়ানোর হুমকি রাশিয়ার

ছবি

গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল : জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন

ছবি

মুসলিম বিশ্ব নেটোর আদলে সামরিক বাহিনী গঠনে একমত

ছবি

গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন

ছবি

ভেনেজুয়েলার মাদকবাহী জলযানে মার্কিন হামলা, নিহত ৩

ছবি

ইসরায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতে মুসলিম দেশগুলোকে যৌথ সামরিক জোটের আহ্বান ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর

ছবি

ইউরোপকে সতর্ক করল রাশিয়া

ছবি

ওয়াকফ সংশোধনী আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ছবি

তালেবান সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে জার্মানি

ছবি

১০ হাজার ইসরায়লি সেনাকে মানসিক রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে

ছবি

দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানে বিপুল সমর্থন, নারাজ যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল

ছবি

নেপালে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে আবারও রাস্তায় জেন জি

ছবি

নেপালে বিক্ষোভে সহিংসতা: নিহত ৭২, আহত দুই হাজারের বেশি

ছবি

তেল কেনা বন্ধ করলেই রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে চার্লি কার্কের সমালোচনাকারীদের ওপর ক্ষুব্ধ আইনপ্রণেতারা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া ‘খারাপ পরিণতি’ ডেকে আনবে

ছবি

লন্ডনে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে এক লাখের বেশি মানুষ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি

গাজা ছেড়েছে আরও আড়াই লাখ মানুষ

ছবি

বিপর্যস্ত নেপালের পর্যটন খাত, ২ দিনে ক্ষতি ২৫০০ কোটি রুপি

ছবি

নেপাল: দায়িত্ব নিয়েই নির্বাচনের তারিখ জানিয়ে দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান

ছবি

আফগানিস্তানে বন্দি থাকা মার্কিন নাগরিকদের বিষয় নিয়ে কাবুলে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা

ছবি

রাশিয়ার ড্রোন হামলা কোনো ভুল ছিল না: পোল্যান্ড

ছবি

উত্তর কোরিয়ায় বিদেশি চলচ্চিত্র দেখলেও মৃত্যুদণ্ড

ছবি

ইসরায়েলি হামলার পর ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী

ছবি

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কারকি

ছবি

হামাসমুক্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ভোট

ছবি

কেন নেপালের এ সংকট দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

tab

ভারত কি সত্যিই পাকিস্তানে নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ করতে পারবে?

বিবিসি

শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

কাশ্মীরে সাম্প্রতিক ভয়াবহ হামলার পর ভারত সিন্ধু অববাহিকার ছয়টি নদীর পানি ভাগাভাগি সংক্রান্ত ঐতিহাসিক চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে—ভারত কি সত্যিই সিন্ধু নদী এবং এর উপনদীর পানি পাকিস্তানে প্রবাহ বন্ধ করতে পারবে?

১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Waters Treaty - IWT) ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দুটি যুদ্ধের মধ্যেও টিকে ছিল। চুক্তির আওতায় তিনটি পূর্বাঞ্চলের নদী—রবি, বেয়াস এবং সুতলজ—ভারতের জন্য বরাদ্দ করা হয়, আর পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি নদী—সিন্ধু, ঝেলম ও চেনাবের—প্রায় ৮০% পানি পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত হয়।

ভারত দাবি করেছে, সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের ভূমিকার কারণে তারা চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যদিও ইসলামাবাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পাকিস্তান পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, পানি প্রবাহ বন্ধ করা হলে সেটি "যুদ্ধের কাজ" হিসেবে বিবেচিত হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের পক্ষে এখনই সিন্ধু অববাহিকার বিশাল পরিমাণ পানি আটকে রাখা বা পাকিস্তানে প্রবাহ বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ, ভারতের কাছে এত বড় জলাধার বা খাল অবকাঠামো নেই। বর্তমানে যেসব জলবিদ্যুৎ প্রকল্প আছে, সেগুলো মূলত ‘রান-অব-দ্য-রিভার’ প্রকল্প, যা পানির প্রবাহ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, বড় মাপের পানি সংরক্ষণ করে না।

ভারতীয় কর্মকর্তারা আগে থেকেই স্বীকার করেছেন যে, তারা নিজেরাই পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলির বরাদ্দ ২০% পানির পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারছেন না। তবে চুক্তি স্থগিতের ফলে এখন ভারত নতুন জলাধার বা পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো তৈরি করতে পারবে পাকিস্তানকে না জানিয়েই।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি ভারত শুকনো মৌসুমে পানি নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে, তবে পাকিস্তানের কৃষি ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড় প্রভাব পড়তে পারে। তবে দ্রুত বড় অবকাঠামো নির্মাণ করা ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জের হবে, কারণ প্রকল্পগুলোর জন্য কঠিন ভূপ্রকৃতি এবং স্থানীয় প্রতিবাদের মুখোমুখি হতে হযবে।

আরেকটি উদ্বেগের বিষয় হলো পানি "অস্ত্র" হিসেবে ব্যবহার করা—যেখানে উজানের দেশ হঠাৎ পানি আটকে পরে তা ছেড়ে দিয়ে ভাটির দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের ড্যামগুলি পাকিস্তান সীমান্ত থেকে অনেক দূরে হওয়ায় এমন পদক্ষেপ ভারতের নিজস্ব ভূখণ্ডেও প্লাবনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

এছাড়া, ভারত এখন পাকিস্তানের সঙ্গে বন্যার মৌসুমি তথ্যও আর ভাগাভাগি করবে না বলে জানিয়েছে। যদিও পাকিস্তান বলছে, ভারত আগে থেকেই সীমিত তথ্য দিত।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে এ ধরনের পানি-সংকট পরিস্থিতি আরও উত্তেজনা বাড়াতে পারে। উল্লেখ্য, সিন্ধু নদীর উৎপত্তি চীনের তিব্বতে এবং ভারতের ওপরও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় চীনের পানি নীতির প্রভাব রয়েছে।

ভারতের সাবেক সিন্ধু পানি চুক্তি কমিশনার প্রদীপ কুমার সাক্সেনা বলেছেন, "ভারত এখন চুক্তির বাধ্যবাধকতা ছাড়াই সিন্ধুর পানি ব্যবস্থাপনা করতে পারবে। তবে আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এত বিশাল পরিমাণ পানি আটকে রাখার মতো অবকাঠামো আমাদের নেই।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা আগে থেকেই আমাদের বরাদ্দকৃত ২০ শতাংশ পানির সম্পূর্ণ ব্যবহারও করতে পারিনি। তবে এখন নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে শুকনো মৌসুমে পানি নিয়ন্ত্রণের সুযোগ থাকবে।"

বিবিসি উর্দুকে বলেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার শিরাজ মেমন বলেন, "ভারত যদি শুকনো মৌসুমে পানি আটকে রাখে, তাহলে পাকিস্তানের কৃষি ও বিদ্যুৎ উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটি আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবিক নীতিমালার পরিপন্থী।"

টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হাসান এফ খান পাকিস্তানের ডন পত্রিকায় লিখেছেন, "সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো শুকনো মৌসুমে কি হবে—যখন নদীগুলিতে প্রবাহ কম থাকে, তখন পানির মজুদ এবং সঠিক সময়ে ছাড়াই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।"

back to top