রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে অনিচ্ছা প্রকাশ করার পর যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা ইউক্রেইন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনায় আর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে থাকছে না।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বৃহস্পতিবার বলেন, “আমরা সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো, তবে আমরা আর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে গিয়ে বৈঠকে অংশ নেবো না।” লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান এমন এক সময় এলো, যখন ইউক্রেইনের সঙ্গে দেশটির খনিজ সম্পদ বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ ছাড়া ডনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেইনে অস্ত্র সরবরাহে তার প্রশাসনকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
ট্রাম্প এর আগে ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে শান্তি আলোচনায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুললেও, সাম্প্রতিক সময় তার অবস্থানে কিছুটা নমনীয়তা দেখা যাচ্ছে। এর বিপরীতে পুতিনের ভূমিকা নিয়ে তার অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে।
ক্রেমলিন ইউক্রেইনের সঙ্গে সরাসরি শান্তি আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও, যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি যে প্রস্তাব দিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে মস্কো। প্রস্তাবে ইউক্রেইনের রুশ-অধিকৃত অঞ্চলগুলোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়টি ছিল না।
অন্যদিকে ইউক্রেইন বারবার বলছে, তারা তাদের ভূখণ্ডের দাবি ছাড়বে না। কিয়েভের দাবি, এসব এলাকা রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিলে পুতিনের আগ্রাসনকে পুরস্কৃত করা হবে। বর্তমানে ইউক্রেইনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ট্যামি ব্রুস বলেন, “এখন কিইভ ও মস্কোকে যুদ্ধ বন্ধে একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নিয়ে আসতে হবে এবং মুখোমুখি আলোচনায় বসতে হবে।”
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও স্বীকার করেছেন, পরিস্থিতি এখন যা, তাতে ইউক্রেইন যুদ্ধ সহসাই শেষ হচ্ছে না। তিনি বলেন, “উভয় পক্ষই জানে শান্তির শর্ত কী হতে পারে। এখন চুক্তি ও সংঘাতের অবসানের সিদ্ধান্ত একান্তই তাদের ওপর নির্ভর করছে।”
তিনি আরও বলেন, “হ্যাঁ, ইউক্রেনীয়রা নিশ্চয়ই রাগান্বিত, কারণ তারাই আক্রান্ত। কিন্তু এভাবে হাজার হাজার সৈন্য হারিয়ে কি আমরা কয়েক মাইল জমির জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাবো?”
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে অনিচ্ছা প্রকাশ করার পর যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা ইউক্রেইন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনায় আর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে থাকছে না।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বৃহস্পতিবার বলেন, “আমরা সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো, তবে আমরা আর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে গিয়ে বৈঠকে অংশ নেবো না।” লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান এমন এক সময় এলো, যখন ইউক্রেইনের সঙ্গে দেশটির খনিজ সম্পদ বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ ছাড়া ডনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেইনে অস্ত্র সরবরাহে তার প্রশাসনকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
ট্রাম্প এর আগে ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে শান্তি আলোচনায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুললেও, সাম্প্রতিক সময় তার অবস্থানে কিছুটা নমনীয়তা দেখা যাচ্ছে। এর বিপরীতে পুতিনের ভূমিকা নিয়ে তার অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে।
ক্রেমলিন ইউক্রেইনের সঙ্গে সরাসরি শান্তি আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও, যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি যে প্রস্তাব দিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে মস্কো। প্রস্তাবে ইউক্রেইনের রুশ-অধিকৃত অঞ্চলগুলোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়টি ছিল না।
অন্যদিকে ইউক্রেইন বারবার বলছে, তারা তাদের ভূখণ্ডের দাবি ছাড়বে না। কিয়েভের দাবি, এসব এলাকা রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিলে পুতিনের আগ্রাসনকে পুরস্কৃত করা হবে। বর্তমানে ইউক্রেইনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ট্যামি ব্রুস বলেন, “এখন কিইভ ও মস্কোকে যুদ্ধ বন্ধে একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নিয়ে আসতে হবে এবং মুখোমুখি আলোচনায় বসতে হবে।”
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও স্বীকার করেছেন, পরিস্থিতি এখন যা, তাতে ইউক্রেইন যুদ্ধ সহসাই শেষ হচ্ছে না। তিনি বলেন, “উভয় পক্ষই জানে শান্তির শর্ত কী হতে পারে। এখন চুক্তি ও সংঘাতের অবসানের সিদ্ধান্ত একান্তই তাদের ওপর নির্ভর করছে।”
তিনি আরও বলেন, “হ্যাঁ, ইউক্রেনীয়রা নিশ্চয়ই রাগান্বিত, কারণ তারাই আক্রান্ত। কিন্তু এভাবে হাজার হাজার সৈন্য হারিয়ে কি আমরা কয়েক মাইল জমির জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাবো?”