ছবি : সংগৃহীত
পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ভারত। শুক্রবার দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়, পাকিস্তান থেকে উৎপাদিত বা রপ্তানিকৃত কোনো পণ্য আর ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না। আদেশটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও জননীতির স্বার্থে’ এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতির জন্য ভারতের সরকারের বিশেষ অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর চালানো হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এরপর থেকেই দিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্ক ফের চরম উত্তেজনায় যায়। ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে ওই হামলার জন্য দায়ী করে। যদিও ইসলামাবাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ভারত এখনো কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।
এই হামলার পর ভারতের পক্ষ থেকে একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তানিদের দেওয়া ভিসা বাতিল, সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধসহ সর্বশেষ পাকিস্তানি পণ্যের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন এবং সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন বলে খবর এসেছে। পাকিস্তানও পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় কূটনীতিক বহিষ্কার, শিমলা চুক্তি বাতিলের হুমকি, সীমান্তপথ বন্ধ এবং ভারতের উড়োজাহাজ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
উভয় দেশের সীমান্তে সেনা মোতায়েন ও গোলাগুলির খবরের মধ্যেই বৃহস্পতিবার নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় পূর্ণমাত্রার সামরিক মহড়া চালায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। পরদিনই আসে ভারতের এই নিষেধাজ্ঞা।
পাকিস্তানের দাবি, ভারতের পক্ষ থেকে শিগগিরই সামরিক হামলার আশঙ্কা রয়েছে—তাদের হাতে রয়েছে এমন ‘নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য’। এ অবস্থায় দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে ইতোমধ্যে মধ্যস্থতায় নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ছবি : সংগৃহীত
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ভারত। শুক্রবার দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়, পাকিস্তান থেকে উৎপাদিত বা রপ্তানিকৃত কোনো পণ্য আর ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না। আদেশটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও জননীতির স্বার্থে’ এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতির জন্য ভারতের সরকারের বিশেষ অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর চালানো হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এরপর থেকেই দিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্ক ফের চরম উত্তেজনায় যায়। ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে ওই হামলার জন্য দায়ী করে। যদিও ইসলামাবাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ভারত এখনো কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।
এই হামলার পর ভারতের পক্ষ থেকে একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তানিদের দেওয়া ভিসা বাতিল, সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধসহ সর্বশেষ পাকিস্তানি পণ্যের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন এবং সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন বলে খবর এসেছে। পাকিস্তানও পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় কূটনীতিক বহিষ্কার, শিমলা চুক্তি বাতিলের হুমকি, সীমান্তপথ বন্ধ এবং ভারতের উড়োজাহাজ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
উভয় দেশের সীমান্তে সেনা মোতায়েন ও গোলাগুলির খবরের মধ্যেই বৃহস্পতিবার নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় পূর্ণমাত্রার সামরিক মহড়া চালায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। পরদিনই আসে ভারতের এই নিষেধাজ্ঞা।
পাকিস্তানের দাবি, ভারতের পক্ষ থেকে শিগগিরই সামরিক হামলার আশঙ্কা রয়েছে—তাদের হাতে রয়েছে এমন ‘নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য’। এ অবস্থায় দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে ইতোমধ্যে মধ্যস্থতায় নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র।