জার্মানির গোয়েন্দা সংস্থা দেশটির প্রধান বিরোধীদল অলটারনেটিভ ফর জার্মানিকে (এএফডি) ‘উগ্রবাদী’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর ফলে কট্টর ডানপন্থি এ দলটির ওপর ব্যাপক নজরদারি চালানো যাবে এবং দলটি নিষিদ্ধের দাবিও নতুন করে সামনে আসতে পারে। এএফডি এই পদক্ষেপকে ‘গণতন্ত্রের প্রতি আঘাত’ বলে মন্তব্য করেছে।
বিশেষজ্ঞদের এক হাজার ১০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে দলটিকে ‘বর্ণবাদী’ ও ‘মুসলিমবিরোধী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা বিএফভি। তালিকাভুক্ত হওয়ায় নিরাপত্তা বাহিনী এখন দলটির নেতাকর্মীদের ফোন ও ইমেইলে আড়ি পাততে পারবে এবং তাদের সম্পর্কে তথ্য জানতে চর নিয়োগের সুযোগও পাবে।
ইউরোপজুড়ে বিভিন্ন ডানপন্থি রাজনীতিক ও দল ছাড়াও, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বার্লিনের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
জার্মানির ‘উগ্রবাদী’ তালিকায় ইতোমধ্যে রয়েছে নব্য-নাৎসিবাদী ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), ইসলামিক স্টেটের (আইএস)-এর মতো সশস্ত্র ইসলামপন্থি সংগঠন এবং কট্টর-বাম মার্কসিস্ট-লেনিনিস্ট পার্টি অব জার্মানি। এর আগে বিএফভি এএফডিকে ‘সন্দেহভাজন উগ্রবাদী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল, তবে আদালতের দ্বারস্থ হয়েও দলটি অবস্থান পরিবর্তন করাতে পারেনি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইউরোপের কট্টর-ডানপন্থি দলগুলো একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে। ফ্রান্সে মারিন লো পেনকে ২০২৭ সালের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে এবং রোমানিয়ায় প্রথম রাউন্ডে এক ডানপন্থি প্রার্থী জেতার পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় এবার জার্মানিতেও এএফডিকে উগ্রবাদীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হলো।
এই সিদ্ধান্তকে ‘গণতন্ত্রের ছিনতাই’ বলে মন্তব্য করেছেন ইতালির কট্টর ডান দলের নেতা ও উপপ্রধানমন্ত্রী মাতিও সালভিনি। জেডি ভ্যান্স বলেছেন, জার্মান শাসকগোষ্ঠী এএফডিকে নির্মূল করতে চাইছে। তিনি বলেন, “পশ্চিমারা একত্রে বার্লিন ওয়াল ভেঙে ফেলেছিল। এখন সেটি পুনর্নির্মিত হচ্ছে জার্মান শাসকগোষ্ঠীর হাতেই।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, “এটা গণতন্ত্র নয়, ছদ্মবেশি নির্দয় শাসন।” তার পোস্টের জবাবে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “এটাই গণতন্ত্র।” তারা বলেছে, স্বাধীন ও বিশদ তদন্তের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। “ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে, ডানপন্থি উগ্রবাদ থামাতে হবে।”
এএফডির সমর্থক মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক বলেছেন, দলটি নিষিদ্ধ করা হলে তা হবে গণতন্ত্রের প্রতি ‘চরম আঘাত’। দলটি জানিয়েছে, তারা ‘গণতন্ত্রকে বিপদাপন্ন করে’ এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে।
সর্বশেষ নির্বাচনে এএফডি পার্লামেন্টের ৬৩০টি আসনের মধ্যে ১৫২টি জিতেছিল এবং মোট ভোটের ২০ দশমিক ৮ শতাংশ পেয়েছিল।
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
জার্মানির গোয়েন্দা সংস্থা দেশটির প্রধান বিরোধীদল অলটারনেটিভ ফর জার্মানিকে (এএফডি) ‘উগ্রবাদী’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর ফলে কট্টর ডানপন্থি এ দলটির ওপর ব্যাপক নজরদারি চালানো যাবে এবং দলটি নিষিদ্ধের দাবিও নতুন করে সামনে আসতে পারে। এএফডি এই পদক্ষেপকে ‘গণতন্ত্রের প্রতি আঘাত’ বলে মন্তব্য করেছে।
বিশেষজ্ঞদের এক হাজার ১০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে দলটিকে ‘বর্ণবাদী’ ও ‘মুসলিমবিরোধী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা বিএফভি। তালিকাভুক্ত হওয়ায় নিরাপত্তা বাহিনী এখন দলটির নেতাকর্মীদের ফোন ও ইমেইলে আড়ি পাততে পারবে এবং তাদের সম্পর্কে তথ্য জানতে চর নিয়োগের সুযোগও পাবে।
ইউরোপজুড়ে বিভিন্ন ডানপন্থি রাজনীতিক ও দল ছাড়াও, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বার্লিনের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
জার্মানির ‘উগ্রবাদী’ তালিকায় ইতোমধ্যে রয়েছে নব্য-নাৎসিবাদী ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), ইসলামিক স্টেটের (আইএস)-এর মতো সশস্ত্র ইসলামপন্থি সংগঠন এবং কট্টর-বাম মার্কসিস্ট-লেনিনিস্ট পার্টি অব জার্মানি। এর আগে বিএফভি এএফডিকে ‘সন্দেহভাজন উগ্রবাদী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল, তবে আদালতের দ্বারস্থ হয়েও দলটি অবস্থান পরিবর্তন করাতে পারেনি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইউরোপের কট্টর-ডানপন্থি দলগুলো একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে। ফ্রান্সে মারিন লো পেনকে ২০২৭ সালের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে এবং রোমানিয়ায় প্রথম রাউন্ডে এক ডানপন্থি প্রার্থী জেতার পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় এবার জার্মানিতেও এএফডিকে উগ্রবাদীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হলো।
এই সিদ্ধান্তকে ‘গণতন্ত্রের ছিনতাই’ বলে মন্তব্য করেছেন ইতালির কট্টর ডান দলের নেতা ও উপপ্রধানমন্ত্রী মাতিও সালভিনি। জেডি ভ্যান্স বলেছেন, জার্মান শাসকগোষ্ঠী এএফডিকে নির্মূল করতে চাইছে। তিনি বলেন, “পশ্চিমারা একত্রে বার্লিন ওয়াল ভেঙে ফেলেছিল। এখন সেটি পুনর্নির্মিত হচ্ছে জার্মান শাসকগোষ্ঠীর হাতেই।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, “এটা গণতন্ত্র নয়, ছদ্মবেশি নির্দয় শাসন।” তার পোস্টের জবাবে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “এটাই গণতন্ত্র।” তারা বলেছে, স্বাধীন ও বিশদ তদন্তের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। “ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে, ডানপন্থি উগ্রবাদ থামাতে হবে।”
এএফডির সমর্থক মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক বলেছেন, দলটি নিষিদ্ধ করা হলে তা হবে গণতন্ত্রের প্রতি ‘চরম আঘাত’। দলটি জানিয়েছে, তারা ‘গণতন্ত্রকে বিপদাপন্ন করে’ এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে।
সর্বশেষ নির্বাচনে এএফডি পার্লামেন্টের ৬৩০টি আসনের মধ্যে ১৫২টি জিতেছিল এবং মোট ভোটের ২০ দশমিক ৮ শতাংশ পেয়েছিল।