ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে স্বল্পপাল্লার ‘আবদালি’ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান। শনিবার চালানো এই পরীক্ষাকে বিশ্লেষকেরা ভারতের প্রতি ‘সতর্ক বার্তা’ হিসেবে দেখছেন।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, চলমান ‘এক্স সিন্ধু’ সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে এ পরীক্ষা চালানো হয়েছে। সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম এই ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র সেনাদের আভিযানিক প্রস্তুতি ও কারিগরি সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা করা হয়।
২২ এপ্রিল ভারতের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ২৬ জন, যাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন পর্যটক। নয়াদিল্লি হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত থাকার অভিযোগ তুললেও ইসলামাবাদ তা সরাসরি নাকচ করে আসছে।
এই হামলার মাত্র পাঁচ দিন পর ভারতও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। আর মোদি সরকারের পক্ষ থেকে সশস্ত্র বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’। এর জবাব হিসেবে পাকিস্তানও পাল্টা সামরিক প্রদর্শনী করছে বলে মত বিশ্লেষকদের।
হামলার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। ভারত ইতিমধ্যে পাকিস্তান থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে এবং ডাক ও পার্সেল পরিষেবাও বন্ধ করেছে। দিল্লি সফররত অ্যাঙ্গোলার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ত্রাসকে মানবতার জন্য ‘বড় হুমকি’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেওয়ার ঘোষণা দেন।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সময় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের আর্মি স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড, স্ট্র্যাটেজিক প্লানস ডিভিশনসহ সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা। বিশ্লেষক হাসান আসকারি রিজভী বলেন, “এটি শুধু ভারতের জন্যই নয়, গোটা বিশ্বের জন্যও বার্তা যে পাকিস্তান প্রস্তুত রয়েছে।”
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, “ভারতের উসকানিমূলক পদক্ষেপের পরও আমরা সংযত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি।” তিনি দাবি করেন, পেহেলগাম হামলায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ ভারত দেখাতে পারেনি এবং পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক তদন্ত প্রস্তাবও উপেক্ষা করা হয়েছে।
এদিকে উত্তেজনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগে রয়েছে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ। নিয়ন্ত্রণরেখা ঘেঁষা এলাকাগুলোর মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, পর্যটন ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছে। পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পর্যটন সমিতির সভাপতি রাজা ইফতিখার খান বলেন, “যুদ্ধ কেউ চায় না। কোনো বিবেকবান মানুষ তা চাইতে পারে না।”
রোববার, ০৪ মে ২০২৫
ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে স্বল্পপাল্লার ‘আবদালি’ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান। শনিবার চালানো এই পরীক্ষাকে বিশ্লেষকেরা ভারতের প্রতি ‘সতর্ক বার্তা’ হিসেবে দেখছেন।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, চলমান ‘এক্স সিন্ধু’ সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে এ পরীক্ষা চালানো হয়েছে। সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম এই ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র সেনাদের আভিযানিক প্রস্তুতি ও কারিগরি সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা করা হয়।
২২ এপ্রিল ভারতের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ২৬ জন, যাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন পর্যটক। নয়াদিল্লি হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত থাকার অভিযোগ তুললেও ইসলামাবাদ তা সরাসরি নাকচ করে আসছে।
এই হামলার মাত্র পাঁচ দিন পর ভারতও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। আর মোদি সরকারের পক্ষ থেকে সশস্ত্র বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’। এর জবাব হিসেবে পাকিস্তানও পাল্টা সামরিক প্রদর্শনী করছে বলে মত বিশ্লেষকদের।
হামলার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। ভারত ইতিমধ্যে পাকিস্তান থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে এবং ডাক ও পার্সেল পরিষেবাও বন্ধ করেছে। দিল্লি সফররত অ্যাঙ্গোলার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ত্রাসকে মানবতার জন্য ‘বড় হুমকি’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেওয়ার ঘোষণা দেন।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সময় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের আর্মি স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড, স্ট্র্যাটেজিক প্লানস ডিভিশনসহ সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা। বিশ্লেষক হাসান আসকারি রিজভী বলেন, “এটি শুধু ভারতের জন্যই নয়, গোটা বিশ্বের জন্যও বার্তা যে পাকিস্তান প্রস্তুত রয়েছে।”
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, “ভারতের উসকানিমূলক পদক্ষেপের পরও আমরা সংযত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি।” তিনি দাবি করেন, পেহেলগাম হামলায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ ভারত দেখাতে পারেনি এবং পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক তদন্ত প্রস্তাবও উপেক্ষা করা হয়েছে।
এদিকে উত্তেজনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগে রয়েছে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ। নিয়ন্ত্রণরেখা ঘেঁষা এলাকাগুলোর মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, পর্যটন ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছে। পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পর্যটন সমিতির সভাপতি রাজা ইফতিখার খান বলেন, “যুদ্ধ কেউ চায় না। কোনো বিবেকবান মানুষ তা চাইতে পারে না।”