সিঙ্গাপুরের জাতীয় নির্বাচনে আবারও নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন পিপল’স অ্যাকশন পার্টি (পিএপি)। পার্লামেন্টের ৯৭টি আসনের মধ্যে ৮৭টি আসনে জয় পেয়ে দলটি তাদের ছয় দশকের একচ্ছত্র শাসন অব্যাহত রাখল।
স্বাধীনতার আগ ১৯৫৯ সাল থেকে দেশের নেতৃত্বে থাকা পিএপির জয় অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিল। এবারের নির্বাচনে দলের নতুন নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওংয়ের নেতৃত্বে অংশ নেয় দলটি। দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই ছিল ওংয়ের প্রথম নির্বাচন, যেখানে তিনি আগের তুলনায় ভোটের হার বাড়িয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, এবার পিএপি পেয়েছে ৬৫.৫৭ শতাংশ ভোট, যা ২০২০ সালের ৬০.১ শতাংশের তুলনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। তবে সেই নির্বাচনে বিরোধীদল ওয়ার্কার্স পার্টি ইতিহাস গড়ে ১০টি আসন পেয়েছিল, যা ছিল পিএপির জন্য সবচেয়ে খারাপ ফলাফল।
বিরোধীদল ওয়ার্কার্স পার্টি এবার মাত্র ২৬টি আসনে প্রার্থী দেয়, যা সংখ্যার দিক থেকে সরকার দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে এক অসম লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেয়। তবু তারা কিছু আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা জোরদার করেছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
মাত্র নয় দিনের নির্বাচনী প্রচারপর্বে ভোটারদের মুখ্য উদ্বেগ ছিল জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি ও বাসস্থান সংকট। সিঙ্গাপুর বিশ্বের ব্যয়বহুল শহরগুলোর একটি, যেখানে সাধারণ মানুষের জন্য আবাসনের চাহিদা ক্রমেই চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।
তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবেও সিঙ্গাপুরের বাণিজ্যনির্ভর অর্থনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, যা এবারের নির্বাচনে ভোটারদের মনোভাব গঠনে ভূমিকা রেখেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
৬০ লাখ মানুষের দেশ সিঙ্গাপুরে এখন পর্যন্ত পিএপি ছাড়া অন্য কোনো দলের সরকার গঠনের অভিজ্ঞতা নেই। এবারও আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশের আগেই তাদের বিজয়ের ধারা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
রোববার, ০৪ মে ২০২৫
সিঙ্গাপুরের জাতীয় নির্বাচনে আবারও নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন পিপল’স অ্যাকশন পার্টি (পিএপি)। পার্লামেন্টের ৯৭টি আসনের মধ্যে ৮৭টি আসনে জয় পেয়ে দলটি তাদের ছয় দশকের একচ্ছত্র শাসন অব্যাহত রাখল।
স্বাধীনতার আগ ১৯৫৯ সাল থেকে দেশের নেতৃত্বে থাকা পিএপির জয় অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিল। এবারের নির্বাচনে দলের নতুন নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওংয়ের নেতৃত্বে অংশ নেয় দলটি। দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই ছিল ওংয়ের প্রথম নির্বাচন, যেখানে তিনি আগের তুলনায় ভোটের হার বাড়িয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, এবার পিএপি পেয়েছে ৬৫.৫৭ শতাংশ ভোট, যা ২০২০ সালের ৬০.১ শতাংশের তুলনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। তবে সেই নির্বাচনে বিরোধীদল ওয়ার্কার্স পার্টি ইতিহাস গড়ে ১০টি আসন পেয়েছিল, যা ছিল পিএপির জন্য সবচেয়ে খারাপ ফলাফল।
বিরোধীদল ওয়ার্কার্স পার্টি এবার মাত্র ২৬টি আসনে প্রার্থী দেয়, যা সংখ্যার দিক থেকে সরকার দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে এক অসম লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেয়। তবু তারা কিছু আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা জোরদার করেছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
মাত্র নয় দিনের নির্বাচনী প্রচারপর্বে ভোটারদের মুখ্য উদ্বেগ ছিল জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি ও বাসস্থান সংকট। সিঙ্গাপুর বিশ্বের ব্যয়বহুল শহরগুলোর একটি, যেখানে সাধারণ মানুষের জন্য আবাসনের চাহিদা ক্রমেই চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।
তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবেও সিঙ্গাপুরের বাণিজ্যনির্ভর অর্থনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, যা এবারের নির্বাচনে ভোটারদের মনোভাব গঠনে ভূমিকা রেখেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
৬০ লাখ মানুষের দেশ সিঙ্গাপুরে এখন পর্যন্ত পিএপি ছাড়া অন্য কোনো দলের সরকার গঠনের অভিজ্ঞতা নেই। এবারও আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশের আগেই তাদের বিজয়ের ধারা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।