গভীর রাতে হঠাৎ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে উঠেছে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর। মঙ্গলবার রাতের ২৫ মিনিট ধরে নয়টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ভারত, যেগুলোকে ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা’ বলে দাবি করেছে দেশটি।
এই হামলার প্রতিবাদে পাকিস্তানও গোলাবর্ষণসহ সামরিক জবাব দিয়েছে। কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে যেসব জায়গায় হামলা চালানোর দাবি করেছে ভারত, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—
একটি ক্যাম্প, যেটি ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে এবং লস্কর-ই-তৈয়বার সদরদপ্তর ছিল বলে দাবি ভারতের। এই ক্যাম্পের সঙ্গে পেহেলগামের সাম্প্রতিক হামলার যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করা হয়। এখানেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলায় জড়িত আজমল কাসাব।
আরেকটি ক্যাম্প সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে, যা জইশ-ই-মুহাম্মদের প্রধান দপ্তর ছিল। এখানে সদস্য নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।
মেহমুনা জয়া ক্যাম্প, যা সীমান্ত থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং হিজবুল মুজাহিদীনের ঘাঁটি বলে দাবি ভারতের। পেহেলগামের হামলা এখান থেকেই পরিকল্পিত ও পরিচালিত হয় বলে ভারত জানায়। ২০১৬ সালে ভারতের বিমান ঘাঁটিতে হামলার সঙ্গেও এই ক্যাম্পের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ।
গুলপুর ক্যাম্প সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে, লস্কর-ই-তৈয়বার একটি ঘাঁটি। ভারতের দাবি, গত জুনে পুঞ্চ অঞ্চলে তীর্থযাত্রীদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীরা এখানেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এই ক্যাম্পে মাঝেমধ্যে যাতায়াত করতেন মুম্বাই হামলার পরিকল্পনাকারী জাকি-উর-রহমান লাখভি।
সরজল ক্যাম্প পাকিস্তানের ভেতরে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যেখানে প্রশিক্ষণ নিয়েই গত মার্চে জম্মু কাশ্মীরে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল বলে দাবি করেছে ভারত।
আব্বাস ক্যাম্প সীমান্ত থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে এবং লস্কর-ই-তৈয়বার আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের প্রধান কেন্দ্র বলে দাবি ভারতের।
সাইয়েদেনা বেলাল ক্যাম্প জইশ-ই-মুহাম্মদের ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত। এখানে অস্ত্র চালনা, বিস্ফোরক ব্যবহারের প্রশিক্ষণ এবং সন্ত্রাসীদের টিকে থাকার কৌশল শেখানো হয় বলে জানায় ভারত।
সাওয়াই নালা ক্যাম্প সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যা লস্কর-ই-তৈয়বার একটি প্রশিক্ষণ ঘাঁটি বলে দাবি করা হয়েছে।
বারনালা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরির পাশাপাশি জঙ্গলে টিকে থাকার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা পাকিস্তানের কোনো সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়নি, বরং শুধুই সন্ত্রাসীদের অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। তবে পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারত মুজাফফরাবাদ, কোটলি ও পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরে হামলা চালিয়েছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।
মঙ্গলবার রাতের পাল্টাপাল্টি হামলায় পাকিস্তানে ২৬ জন এবং ভারতে ১০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে ভারত দাবি করেছে, তারা ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে অন্তত ৭০ জনকে হত্যা করেছে।
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
গভীর রাতে হঠাৎ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে উঠেছে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর। মঙ্গলবার রাতের ২৫ মিনিট ধরে নয়টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ভারত, যেগুলোকে ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা’ বলে দাবি করেছে দেশটি।
এই হামলার প্রতিবাদে পাকিস্তানও গোলাবর্ষণসহ সামরিক জবাব দিয়েছে। কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে যেসব জায়গায় হামলা চালানোর দাবি করেছে ভারত, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—
একটি ক্যাম্প, যেটি ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে এবং লস্কর-ই-তৈয়বার সদরদপ্তর ছিল বলে দাবি ভারতের। এই ক্যাম্পের সঙ্গে পেহেলগামের সাম্প্রতিক হামলার যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করা হয়। এখানেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলায় জড়িত আজমল কাসাব।
আরেকটি ক্যাম্প সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে, যা জইশ-ই-মুহাম্মদের প্রধান দপ্তর ছিল। এখানে সদস্য নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।
মেহমুনা জয়া ক্যাম্প, যা সীমান্ত থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং হিজবুল মুজাহিদীনের ঘাঁটি বলে দাবি ভারতের। পেহেলগামের হামলা এখান থেকেই পরিকল্পিত ও পরিচালিত হয় বলে ভারত জানায়। ২০১৬ সালে ভারতের বিমান ঘাঁটিতে হামলার সঙ্গেও এই ক্যাম্পের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ।
গুলপুর ক্যাম্প সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে, লস্কর-ই-তৈয়বার একটি ঘাঁটি। ভারতের দাবি, গত জুনে পুঞ্চ অঞ্চলে তীর্থযাত্রীদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীরা এখানেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এই ক্যাম্পে মাঝেমধ্যে যাতায়াত করতেন মুম্বাই হামলার পরিকল্পনাকারী জাকি-উর-রহমান লাখভি।
সরজল ক্যাম্প পাকিস্তানের ভেতরে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যেখানে প্রশিক্ষণ নিয়েই গত মার্চে জম্মু কাশ্মীরে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল বলে দাবি করেছে ভারত।
আব্বাস ক্যাম্প সীমান্ত থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে এবং লস্কর-ই-তৈয়বার আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের প্রধান কেন্দ্র বলে দাবি ভারতের।
সাইয়েদেনা বেলাল ক্যাম্প জইশ-ই-মুহাম্মদের ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত। এখানে অস্ত্র চালনা, বিস্ফোরক ব্যবহারের প্রশিক্ষণ এবং সন্ত্রাসীদের টিকে থাকার কৌশল শেখানো হয় বলে জানায় ভারত।
সাওয়াই নালা ক্যাম্প সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যা লস্কর-ই-তৈয়বার একটি প্রশিক্ষণ ঘাঁটি বলে দাবি করা হয়েছে।
বারনালা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরির পাশাপাশি জঙ্গলে টিকে থাকার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা পাকিস্তানের কোনো সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়নি, বরং শুধুই সন্ত্রাসীদের অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। তবে পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারত মুজাফফরাবাদ, কোটলি ও পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরে হামলা চালিয়েছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।
মঙ্গলবার রাতের পাল্টাপাল্টি হামলায় পাকিস্তানে ২৬ জন এবং ভারতে ১০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে ভারত দাবি করেছে, তারা ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে অন্তত ৭০ জনকে হত্যা করেছে।