গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডস সরকারের কঠোর অবস্থান চেয়ে লক্ষাধিক মানুষ রোববার (১৮ মে) হেগ শহরে অভূতপূর্ব এক বিক্ষোভ করেছে।আয়োজকরা বলেছেন, শহরের মধ্য দিয়ে ১ লাখেরও বেশি মানুষ মিছিল করছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা এরকম আয়োজন দেখিনি। এখানে সমাজের সকল স্তরের মানুষ আছেন। তারা নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন শহর থেকে এসেছেন।
বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই লাল পোশাক পরে প্রতিবাদ জানান। তারা চান, ডাচ সরকার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তার অবস্থানে একটি ‘লাল রেখা’ টেনে দিক, যার অর্থ: বাণিজ্য এবং অস্ত্র আমদানি ও রপ্তানির মাধ্যমে সমর্থন বন্ধ করা। মিছিলটি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের এলাকাও অতিক্রম করে। এই আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে একটি মামলার শুনানি চলছে।
সম্প্রতি নেদারল্যান্ডস সরকার ব্রাসেলসে একটি চিঠি পাঠিয়ে ইইউ-ইসরায়েল অ্যাসোসিয়েশন চুক্তি, অর্থাৎ ‘মুক্ত বাণিজ্য’ পর্যালোচনা করার অনুরোধ জানিয়েছে। কেননা তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকারী হিসেবে দেখছে। কিন্তু এই বিক্ষোভকারীদের মতে, এটি অনেক দেরি হয়ে গেছে এবং সরকারের উচিত অবিলম্বে চুক্তি বন্ধ করা। আগামী মঙ্গলবার ব্রাসেলসে এই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করার জন্য একটি সভা হবে। এই প্রতিবাদ অবশ্যই বৈঠকের আগে চাপ সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়ে ইসরায়েলের চালানো ভয়াবহ হামলায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
তুরস্কের ইস্তাম্বুল, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস, নিউইয়র্ক, লন্ডনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লাখ লাখ মানুষকে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। মজলুম ফিলিস্তিনিদের ডাকে সাড়া দিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন তারা।
এমনকি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে খোদ ইসরায়েলেও। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, মঙ্গলবার গাজা উপত্যকা ইসরায়েলের বিমান হামলার বিরোধিতা করে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে তেলআবিবের হাজার হাজার মানুষ। পবিত্র রমজান মাসে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি এই বিমান হামলায় ৪শ’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। হামলার পরপরই হোয়াইট হাউস জানায়, ট্রাম্পের সবুজ সংকেত পেয়েই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরায়েল। এরপরই মার্কিন আইনপ্রণেতারা এ ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডস সরকারের কঠোর অবস্থান চেয়ে লক্ষাধিক মানুষ রোববার (১৮ মে) হেগ শহরে অভূতপূর্ব এক বিক্ষোভ করেছে।আয়োজকরা বলেছেন, শহরের মধ্য দিয়ে ১ লাখেরও বেশি মানুষ মিছিল করছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা এরকম আয়োজন দেখিনি। এখানে সমাজের সকল স্তরের মানুষ আছেন। তারা নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন শহর থেকে এসেছেন।
বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই লাল পোশাক পরে প্রতিবাদ জানান। তারা চান, ডাচ সরকার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তার অবস্থানে একটি ‘লাল রেখা’ টেনে দিক, যার অর্থ: বাণিজ্য এবং অস্ত্র আমদানি ও রপ্তানির মাধ্যমে সমর্থন বন্ধ করা। মিছিলটি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের এলাকাও অতিক্রম করে। এই আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে একটি মামলার শুনানি চলছে।
সম্প্রতি নেদারল্যান্ডস সরকার ব্রাসেলসে একটি চিঠি পাঠিয়ে ইইউ-ইসরায়েল অ্যাসোসিয়েশন চুক্তি, অর্থাৎ ‘মুক্ত বাণিজ্য’ পর্যালোচনা করার অনুরোধ জানিয়েছে। কেননা তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকারী হিসেবে দেখছে। কিন্তু এই বিক্ষোভকারীদের মতে, এটি অনেক দেরি হয়ে গেছে এবং সরকারের উচিত অবিলম্বে চুক্তি বন্ধ করা। আগামী মঙ্গলবার ব্রাসেলসে এই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করার জন্য একটি সভা হবে। এই প্রতিবাদ অবশ্যই বৈঠকের আগে চাপ সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়ে ইসরায়েলের চালানো ভয়াবহ হামলায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
তুরস্কের ইস্তাম্বুল, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস, নিউইয়র্ক, লন্ডনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লাখ লাখ মানুষকে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। মজলুম ফিলিস্তিনিদের ডাকে সাড়া দিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন তারা।
এমনকি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে খোদ ইসরায়েলেও। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, মঙ্গলবার গাজা উপত্যকা ইসরায়েলের বিমান হামলার বিরোধিতা করে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে তেলআবিবের হাজার হাজার মানুষ। পবিত্র রমজান মাসে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি এই বিমান হামলায় ৪শ’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। হামলার পরপরই হোয়াইট হাউস জানায়, ট্রাম্পের সবুজ সংকেত পেয়েই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরায়েল। এরপরই মার্কিন আইনপ্রণেতারা এ ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।