যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়া ও চীনের মতো প্রতিপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি মোকাবেলায় তিনি ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের একটি মহাকাশভিত্তিক প্রতিরক্ষা প্রকল্প ‘গোল্ডেন ডোম’ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার ভাষায়, এটি হবে যুক্তরাষ্ট্রের ‘মাতৃভূমির রক্ষাকবচ’।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের নেতৃত্বে থাকবেন মার্কিন মহাকাশ বাহিনীর জেনারেল মাইকেল গ্যেটলাইন। ট্রাম্প বলেন, “অনেক বছর আগে রোনাল্ড রিগান এটা করতে চেয়েছিলেন। তখন সেই প্রযুক্তি ছিল না। এখন আমাদের আছে।”
ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ট্রাম্পের ‘গোল্ডেন ডোম’ আরও বিস্তৃত ও প্রযুক্তিনির্ভর। এতে থাকবে শত শত নজরদারি স্যাটেলাইট, মহাকাশে মোতায়েন আক্রমণকারী উপগ্রহের বহর, যা শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলোকে গুলি করে ধ্বংস করবে।
এই সিস্টেম ২০২৯ সালের জানুয়ারির মধ্যেই মোতায়েন করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়েই তিনি ক্ষমতার দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলেও জানান।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ তৈরিতে প্রতিযোগিতায় রয়েছে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্যালান্টিয়ার ও সামরিক কৌশলভিত্তিক কোম্পানি অ্যানডুরিল। এই তিন প্রতিষ্ঠানই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা খাতে বড় বিনিয়োগ ও প্রভাবশালী অংশীদার।
তবে ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা এই প্রকল্পে ইলন মাস্কের সম্পৃক্ততা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়াও ‘গোল্ডেন ডোম’ সংক্রান্ত ক্রয়প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
এই প্রকল্পে সম্ভাব্য খরচ ও সময়সীমা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতভেদ রয়েছে। কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে আগামী দুই দশকে খরচ হতে পারে প্রায় ৮৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার। তবে প্রাথমিকভাবে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের বাজেট অনুমোদনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
এদিকে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেন, “এই বিনিয়োগ অনুমোদন না হলে পুরো প্রকল্পের সময়সীমা পিছিয়ে যাবে, এমনকি এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখেও পড়তে পারে।”
ট্রাম্প জানিয়েছেন, কানাডাও এই প্রতিরক্ষা চুক্তির অংশ হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির দপ্তর থেকেও এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ে চলমান আলোচনায় নোরাড ও গোল্ডেন ডোম প্রকল্পের কথাও এসেছে।
এই প্রকল্পের সম্ভাব্য ঠিকাদার হিসেবে এলথ্রিহ্যারিস টেকনোলজিস, লকহিড মার্টিন ও আরটিএক্সের নাম সামনে এসেছে। এরই মধ্যে এলথ্রি ইন্ডিয়ানায় একটি স্যাটেলাইট কারখানায় ১৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে, যেখানে হাইপারসনিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তকারী স্যাটেলাইট তৈরির কাজ চলছে।
বুধবার, ২১ মে ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়া ও চীনের মতো প্রতিপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি মোকাবেলায় তিনি ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের একটি মহাকাশভিত্তিক প্রতিরক্ষা প্রকল্প ‘গোল্ডেন ডোম’ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার ভাষায়, এটি হবে যুক্তরাষ্ট্রের ‘মাতৃভূমির রক্ষাকবচ’।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের নেতৃত্বে থাকবেন মার্কিন মহাকাশ বাহিনীর জেনারেল মাইকেল গ্যেটলাইন। ট্রাম্প বলেন, “অনেক বছর আগে রোনাল্ড রিগান এটা করতে চেয়েছিলেন। তখন সেই প্রযুক্তি ছিল না। এখন আমাদের আছে।”
ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ট্রাম্পের ‘গোল্ডেন ডোম’ আরও বিস্তৃত ও প্রযুক্তিনির্ভর। এতে থাকবে শত শত নজরদারি স্যাটেলাইট, মহাকাশে মোতায়েন আক্রমণকারী উপগ্রহের বহর, যা শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলোকে গুলি করে ধ্বংস করবে।
এই সিস্টেম ২০২৯ সালের জানুয়ারির মধ্যেই মোতায়েন করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়েই তিনি ক্ষমতার দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলেও জানান।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ তৈরিতে প্রতিযোগিতায় রয়েছে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্যালান্টিয়ার ও সামরিক কৌশলভিত্তিক কোম্পানি অ্যানডুরিল। এই তিন প্রতিষ্ঠানই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা খাতে বড় বিনিয়োগ ও প্রভাবশালী অংশীদার।
তবে ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা এই প্রকল্পে ইলন মাস্কের সম্পৃক্ততা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়াও ‘গোল্ডেন ডোম’ সংক্রান্ত ক্রয়প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
এই প্রকল্পে সম্ভাব্য খরচ ও সময়সীমা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতভেদ রয়েছে। কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে আগামী দুই দশকে খরচ হতে পারে প্রায় ৮৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার। তবে প্রাথমিকভাবে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের বাজেট অনুমোদনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
এদিকে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেন, “এই বিনিয়োগ অনুমোদন না হলে পুরো প্রকল্পের সময়সীমা পিছিয়ে যাবে, এমনকি এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখেও পড়তে পারে।”
ট্রাম্প জানিয়েছেন, কানাডাও এই প্রতিরক্ষা চুক্তির অংশ হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির দপ্তর থেকেও এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ে চলমান আলোচনায় নোরাড ও গোল্ডেন ডোম প্রকল্পের কথাও এসেছে।
এই প্রকল্পের সম্ভাব্য ঠিকাদার হিসেবে এলথ্রিহ্যারিস টেকনোলজিস, লকহিড মার্টিন ও আরটিএক্সের নাম সামনে এসেছে। এরই মধ্যে এলথ্রি ইন্ডিয়ানায় একটি স্যাটেলাইট কারখানায় ১৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে, যেখানে হাইপারসনিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তকারী স্যাটেলাইট তৈরির কাজ চলছে।